দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১১ দিন ধরে ভারত থেকে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে পাথর সরবরাহ ঠিকমতো করতে না পারায় বিপাকে রয়েছেন বন্দরের চুক্তিবদ্ধ পাথর ব্যবসায়ীরা।
এ কারণে পাথরের অভাবে চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার দেখা দিয়েছে। ভারতে পার্কিং চার্জ বৃদ্ধি ও ওভারলোডিং বন্ধসহ নানা কারণে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সূত্রে জানান যায়, বর্তমানে ৫-৮ ও ৩-৪ সাইজের পাথর ৩ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১-৪ ও ১-২ সাইজের পাথর ৩ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাথর কিনতে এসে অনেকে না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। কিন্তু চিপস ও পাথরের ট্রাক প্রবেশ করছে না। চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে মাঝে দুই দিন অল্পসংখ্যক আমদানি হলেও এরপর থেকে একেবারে বন্ধ আমদানি। এদিকে পাথর আমদানি বন্ধের ফলে সরবরাহ সংকটে দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কয়েক বার আলোচনা করেছি।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের ডিপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, গত জুলাই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৭ টন চিপস পাথর আমদানি হয়েছিল। হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের মূল উপাদান পাথর। কিন্তু বন্দর দিয়ে এখন শুধু বোল্ডার পাথর আমদানি হচ্ছে। এতে গড়ে প্রতিদিন চিপস পাথর থেকে যে ২০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব আসত, সেটা বন্ধ রয়েছে। যদি পূর্বের মতো ভারত থেকে চিপস পাথর আমদানি স্বাভাবিক হয় তবে সরকারের রাজস্ব আবার বৃদ্ধি পাবে।