মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ভিড়ল ৬৪৭৭০ টন কয়লাবাহী জাহাজ
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৭৭০ টন কয়লা নিয়ে পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি জিসিএল পারাডিপ’ নামের জাহাজটি ভিড়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে ছেড়ে এসে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা জেটিতে ভিড়েছে। এটি দেশের কোনো বন্দরে ভেড়া এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোর একটি।
ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী জানান, বুধবার সকালে ৬৪ হাজার ৭৭০ টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। এটা কয়লা নিয়ে ভেড়া চতুর্থ বড় জাহাজ। তবে এর চেয়ে বড় কোনো জাহাজ এখনও ভেড়েনি। শুরুতে ২৫ এপ্রিল বড় একটি জাহাজ আসে। এর পরের মাসে আরও চারটি জাহাজ কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ী আসে।
মন্তব্য করুন
সারজিস ও হাসনাতকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রংপুর সেন্ট্রাল রোড জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জেলা ও মহানগরের যৌথ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছে- তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাবো।’
ফেসবুকে সারজিস ও হাসনাতের লেখার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রংপুরের মাটিতে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনও প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার- আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা নয়। রংপুরে কোনও রাজনৈতিক সংলাপে যদি জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয়, সম্মান দেওয়া না হয়- তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই অধিকার আদায় করে নেবে। এর জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গত ৭ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেছিলেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?’
হাসনাত লিখেছিলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
আরটিভি/এসএপি
রামপুরা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝে দীর্ঘদিন তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
আরটিভি/এমকে
দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের।
এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। নিহত মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ডেমি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে।
মাওলানা রুহুলের হিলালপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সব টাকা ওই নারী তার স্বামীর কাছে দিতেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিল না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম রুহুল আমীন অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় স্ত্রীর। শুক্রবার রাতের কোনো একসময় রুহুল আমীনকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন স্ত্রী নাদিয়া। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্ত্রী। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন তিনি।
পরে শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রুহুল আমীনকে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন৷
আরটিভি/ এমকে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
পটুয়াখালীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার কাঠপট্টি এলাকার তালতলী রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আফরোজা আক্তার খাদিজা (২৫) পটুয়াখালী করিম মৃধা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে খাদিজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। পরে দুপুর ২টায় নিজ ঘরে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন ঘরে তার বাবা, মা এবং ভাই কেউ ছিলেন না। পরে আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার ছোট ভাই চিৎকার দিলে স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরটিভি/এএএ
ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ২ যুবক আটক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, গত রোববার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন—হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)। তারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার এক ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ৬ যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢোকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে আরও বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে ও অন্যরা তার মেয়েকে বসত-ঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর
৯ লাখ খরচ করে ‘কৃষি ট্রেনে’ আয় ৩৬০ টাকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কৃষিপণ্যের দাম কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি এড়িয়ে কম খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য পৌঁছে দিতে চালু করা হয়েছে বিশেষ ট্রেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ে এমনই এক ট্রেন। ঢাকায় পৌঁছাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই ট্রেনের পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৯ লাখ টাকা। অথচ আয় হয়েছে মাত্র ৩৬০ টাকা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এ দূরত্বে ট্রেন পরিবহনে খরচ হয় ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩২ টাকা। কিন্তু গতকাল প্রথম দিন রাজশাহী থেকে ট্রেনটিতে গেছে ডিমের ১৫০ কেজি ফাঁকা খাঁচি (ক্যারেট)। যা থেকে রেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া আদায় করেছে ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ এ দিনে লোকসান হয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭২ টাকা।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, এই ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে মাছ, মাংসসহ পচনশীল পণ্য পরিবহন করা যাবে। রহনপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি পণ্যের ভাড়া পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
তবে কৃষকরা এতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ট্রাক-পিকআপের চেয়ে ট্রেনের ভাড়া কম। কিন্তু ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে কুলি খরচ, ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়কপথে ট্রাকে মাল পরিবহন করতে কেজিপ্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা খরচ পড়ে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পাইকারি কাঁচাবাজার সমিতির সভাপতি ফাইজুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে অল্প খরচে সবজি পরিবহন করা গেলে অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো হবে। তবে ট্রেনটি যে চালু হবে, সেটি আমরা জানি না। জানলে হয়তো কিছু মাল পাঠাতে পারতাম।
রেল কর্মকর্তাদের দাবি, যথেষ্ট প্রচার চালালেও ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তবে ভবিষ্যতে সাড়া মিলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ এই ট্রেনটি সপ্তাহের মঙ্গলবার খুলনা থেকে ঢাকা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় থেকে ঢাকা এবং শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকা রুটে চলাচল করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কয়েক দিন ধরে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছি। কৃষি বিপণন ও কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমেও প্রচার করেছি। মূলত কৃষকদের সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সমন্বয় নেই। পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো নেই, তাই হয়তো কৃষক ফসল সংগ্রহ করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সঙ্গে যদি ঢাকার ব্যবসায়ীদের সমন্বয় করা যায়, তবে এই ট্রেন সাড়া ফেলবে।
আরটিভি/আইএম/এআর
ভিডিওকলে নববধূ ও প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা, অতঃপর...
কুমিল্লায় বিয়ের ১২ দিন পর স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন নববধূ। একই সময় ওই নববধূকে ভিডিওকলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন তার প্রবাসী প্রেমিক।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলার লালমাইয়ে উপজেলার বেতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের বেতুয়া (কৃষ্ণপুর) গ্রামের রংমিস্ত্রি আরিফুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় সদর দক্ষিণ থানাধীন মাটিয়ারা গ্রামের জামাল হোসেনের মেয়ে নিহত গৃহবধূ খাদিজা আক্তার ঊর্মির (১৬)। অন্যদিকে তার প্রেমিক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে সাফায়েত হোসেন। ঊর্মির বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় প্রবাসী প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ওই সময় তার ওমানপ্রবাসী প্রেমিক সাফায়েত হোসেনও আত্মহত্যা করেন। তাদের দুজনের কাছ থেকেই চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে একসঙ্গে দাফনের আকুতি জানিয়েছেন নববধূ।
ঊর্মির মরদেহের কাছ থেকে পাওয়া চিরকুটে লেখো ছিল, ‘চাইছিলাম দুজনে একসঙ্গে বেঁচে থাকতে। বাঁচতে দিল না। এটা সত্যি, ও আমার প্রথম সাথি। ওরে আমি বিয়ে করছি। কিন্তু ওর জায়গায় আমি অন্য কাউরে দিতে পারি নাই, পারবও না। তোমরা সুখে থেকো। আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। ও বেঁচে থাকলেও তোমরা ওকে খুন করতে এবং ওর ফ্যামিলিকে জেলের ভাত খাওয়াইতে। তাই নিজেও দুনিয়া ছাড়লাম। ওরে আমার সঙ্গে নিয়ে গেলাম। আপনাদের কাছে একটা শেষ ইচ্ছা থাকবে। বাবা-মা ও ভাই-বোনের কাছে একটা আবদার, দুনিয়াতে যেহেতু একসঙ্গে থাকতে দেও নাই, আমাদের দাফনটা যেন একসঙ্গে হয়। এক দিন আগে-পরে হলেও একই কবরস্থানে যেন দাফন করে। সে চাওয়াটা যেন পূরণ করেন আপনারা।’
অন্যদিকে প্রবাসী সাফায়াত মৃত্যুর আগে চিরকুটে লিখেছেন, শেষ ইচ্ছে পূরণ করার দায়িত্ব আপনাদের। আমার মৃত্যুর কারণ একমাত্র ওর ফ্যামিলি। আমার মোবাইলে সব রেকর্ড করা আছে। সব কিছু ভিডিও করা আছে। আমার মৃত্যুর জন্য কে কে দায়ী সব কিছু আমার মোবাইলে রেকর্ড করা আছে আর ভিডিও করা আছে। আমার মোবাইল তার প্রমাণ। আমার মোবাইল চেক করলে সব পাবেন। রেকর্ড অপশনে আর গ্যালারিতে সব আছে। গ্যালারিতে আমার আটটা ভিডিও আছে। সবগুলো দেখবেন। লক খুলে রেকর্ড অপশনে ঢুকবেন, ইমোতে দুইটা আর বাকিগুলো গ্যালারিতে পাবেন। তার দেওয়া চিঠি আছে আরিফ নামের আইডিতে। আমাদের মৃত্যুর কারণ তারা। কোনো দিন ক্ষমা করব না।
ঊর্মির মা নুরুন্নাহার জানান, তার মেয়ে ঊর্মির সঙ্গে সাফায়াত নামের একজন প্রবাসী ছেলের সম্পর্ক ছিল। গত ১৪ অক্টোবর সম্মতি নিয়েই মেয়েকে বিয়ে দেন তারা। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে হাসি-খুশিতেই ছিল সে। শনিবার রাতে হঠাৎ তার খবর পান ঊর্মি ও তার প্রেমিক সাফায়াত ভিডিওকলে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। প্রবাসী ছেলেটাই তার মেয়ের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।
সাফায়াতের বাবা আবদুল খালেক জানান, গত বছর তিনি ছেলেকে ওমান পাঠিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে তার ছেলে হঠাৎ বিদেশে কর্মস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। খবর নিয়ে শুনেছিলেন, ফেসবুকে তার ছেলের সঙ্গে ঊর্মি নামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। হঠাৎ মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সাফায়াত অসুস্থ হয়ে গেছে। শনিবার রাতে সেই মেয়ে তার ছেলের সঙ্গে ভিডিওকলে চিরকুট লিখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছেন তিনি।
এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, নববধূ প্রবাসী প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন। প্রবাসী প্রেমিকও একইভাবে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার মা-বাবার উদ্দেশে এটি লিখেছিল। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি