লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ১৯ জনকে আগাম জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীনের বরাত দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৯ জন।
বিএনপি নেতা হাছিবুর রহমান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালিয়েছে। পুলিশ গুলি চালিয়ে বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে। ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে আমাদের কৃষকদল নেতা সজিব হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে আমাদের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৯ জনকে জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বাকি নেতাকর্মীও জামিন পেয়ে যাবেন।
১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে ৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। সজিবের মেজো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আর বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।