বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। তারা সবসময় প্রভাব বিস্তার, লুটপাট ও মানুষকে জিম্মি করে ক্ষমতায় ছিল।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ভালো ছিল না। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে অত্যাচার করেছে। দুর্নীতি করেছে। তখন দেশে দুঃশাসন ও দুর্ভিক্ষ ছিল। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ বের হয়ে আসেনি। পূর্বের ন্যায় বিগত ১৭ বছরেও দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট, বিরোধী মতের লোকদের দমন-পীড়ন করেছে। ওরা কখনো সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। করার চিন্তাও করেনি। তারা সব সময় প্রভাব বিস্তার, লুটপাট ও মানুষকে জিম্মি করে ক্ষমতায় ছিল। এরা অত্যাচারিত দল। খুনির দল। এজন্যই জুলাই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এখন শুধু হাসিনাদের বিচারের অপেক্ষায় মানুষ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা। ১০ মাসেও সেটি করেনি। তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু আমাদের (বিএনপি) প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে উনার সাথে দেখা করার। আগামীর দেশ পরিচালনা, হাসিনার বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলার। যাই হোক হয়নি, তবে বিএনপি আশাবাদী আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকার তা করবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুবই ভালো মানুষ। কয়েকদিন পূর্বে তিনি লন্ডন সফর করেছেন। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে উনার বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছিল। এতে শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষ আনন্দিত। তারেক রহমানের সঙ্গে বিদেশে বসে কথা বলা কোনো অপরাধ নয়। বরং আরও আগে কথা বলা দরকার ছিল। কারণ বিএনপি একটি বড় দল, জিয়াউর রহমানের দল, আপসহীন নেত্রীর দল। তাহলে এত বড় দলের নেতার সঙ্গে কথা বলবে এটাতো স্বাভাবিক। বুঝতে হবে তারেক রহমান বিদেশে বেড়াতে যাননি। বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করেছেন। তার সাথে বৈঠক হয়েছে, এটি আমাদের চাওয়া-পাওয়া ছিল।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, লন্ডনের ওই বৈঠকটি দু-চারজন মেনে নিতে পারছে না। তারা বলার চেষ্টা করছে, বিদেশে কেন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা বলবো, এ কথা বলা তাদের ঠিক হয়নি, দরকার ছিল না। কারণ আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন করেছিলাম। জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো রাখা। সে লক্ষ্যই ছিল লন্ডনের বৈঠক।
আরটিভি/এফএ