এক ট্রলারে ধরা পড়ল ৫২ লাক্ষা মাছ, ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার এক ট্রলারের জেলেদের জালে ৫২টি বড় আকারের লাক্ষা মাছ ধরা পড়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এফবি সাইফ-৪ নামে একটি ট্রলারের জেলেদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে মাছগুলো বিক্রি করতে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে প্রতিমণ ৮০ হাজার টাকা করে মোট ১১ লাখ ৮ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করা হয়।
সরেজমিনে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন সমুদ্রে মাছ ধরা শেষে ছোট বড় অসংখ্য ট্রলারে জেলেরা মাছ বিক্রি করতে ঘাটে আসেন। বর্তমানে সমুদ্রে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছে না। তবে এক সপ্তাহ আগে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে যেন লটারির টিকিট পেয়েছেন এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের জেলেরা। বিভিন্ন মাছের সঙ্গে তাদের জালে ধরা পড়েছে ৫২টি লাক্ষা মাছ। বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় বড় সাইজের এসব লাক্ষা মাছ বেশি দামে বিক্রি হয়। এতে খুশি ওই ট্রলারের জেলেরা।
এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের জেলে ফারুক হাওলাদার বলেন, ঈদের আগে সমুদ্রে ধরতে গিয়ে বড় সাইজের লাক্ষা মাছ পেয়ে আমরা খুশি। ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পেরেছি। এখন একটু হলেও আমরা আমাদের দেনা পরিশোধ করতে পারব।
এফবি সাইফ-৪ ট্রলারের মাঝি মো. বেল্লাল বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমরা মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যাই। পরে সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে সাত দিনে মোট ৫২টি লাক্ষা মাছ পেয়েছি। এখন ঘাটে মাছগুলো বিক্রি করা হবে। এরপর আবার চট্টগ্রাম পাঠানো হবে সেখান থেকে মাছগুলো বিদেশে পাঠানো হবে। ঈদের আগে সমুদ্রে এই মাছ পাওয়ায় আমরা জেলেরা আনন্দিত।
এ বিষেয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী মার্কেটিং অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লাক্ষা মাছ গভীর সমুদ্রের মাছ হলেও এগুলো আমাদের সুন্দরবন এলাকায় বেড়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে বন থেকে খাবার খায় এরা। এ কারণে আমাদের এ অঞ্চলে লাক্ষা মাছ পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিদেশে এ মাছের পেটের মধ্যে থাকা বালিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে বালিশ ছাড়া আমাদের দেশে এ মাছ ৬০০ থকে ৭০০ টাকা কেজি এবং বালিশসহ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন