পঞ্চগড়ে অভিযান চালিয়ে ৮০ হাজার জাল ইউএস ডলারসহ চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল পৌনে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পঞ্চগড় এবং দেবীগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা গ্রামের মৃত: হামিদুল হকের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), শতগ্রাম গ্রামের মৃত. প্রভাতের ছেলে রমেশ চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের মৃত. মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল ইসলাম (৩৪), পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলামবাগ এলাকার সুলতান আলীর ছেলে হোসেন আলী (৩৬), একই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বাগদহ দিলালপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ডিপজল (৪২), একই এলাকার ময়নুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলী (৩২)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, চারটি স্মার্ট ফোন, ছয়টি সাধারণ ফোন, নেশাজাতীয় ইনজেকশন সহ নেশায় ব্যবহার করা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। জাল ডলারগুলোর মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
সেনাবাহিনী জানান, দীর্ঘ দিন থেকে এই চক্রটি পঞ্চগড় সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার মাধ্যমে জাল ডলার বিক্রি করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় জাল ডলার সহ তারা পঞ্চগড়ে প্রবেশ করবে। এরই প্রেক্ষিতে সকাল সাতটা থেকে সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদি পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে শহরের প্রবেশ মুখে চেক পোস্ট বসানো হয়। সকাল পৌনে আটটার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে জাল ডলার সহ তিনজনকে আটক করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পঞ্চগড় পৌরসভা এবং দেবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাদের পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। পুলিশ জানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
পঞ্চগড় সদর সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন থেকে এই চক্রটি দেশে এবং বিদেশেও প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে জাল টাকা এবং জাল ডলার বিক্রি করে আসছিল। পার্শ্ববর্তী দেশেও জাল ডলার বিক্রির ব্যবসা করেছিল। অভিযানের শুরুতে জাল নোটগুলো পাওয়া যায়নি তবে চক্রটির প্রধান হোতাকে চিহ্নিত করে তার বাসায় অধিকতর তল্লাশির মাধ্যমে জাল ডলারগুলো পাওয়া যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, চক্রটিকে ধরতে সেনা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জাল ডলার সহ আটককৃত এবং জড়িতদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সেনাবাহিনীর পরামর্শে মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে। মামলার কার্যক্রম শেষ হলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
আরটিভি/এএএ