সেবা পেতে ভোগান্তি, অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করছেন।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কক্ষে দুদকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন সেবাপ্রার্থীরা। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি তাদের অফিসে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
সেবাপ্রার্থী সানি বলেন, আমার বড় ভাই ভোটার হবে। তাই সকল কাগজপত্র জমা দেওয়া। সোমবার সকাল ১০টায় নির্বাচন অফিসে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা থেকে আসতে ১ ঘণ্টা দেরি হওয়ায় তারা আবার নতুন করে তারিখ দিয়েছে। এই যে ভোগান্তি, তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
লাবনী আক্তার বিথী বলেন, আমার নানির আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য ছয়মাস ধরে ঘুরছি। কিন্তু তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন অফিসে আসলে তথ্য ঘাটতি রয়েছে বলে নতুন তারিখ দেয়। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিলেও সংশোধন হবে কিনা তা বুঝতে পারছি না।
নগরের আর কে মিশন রোডের বাসিন্দা শান্ত চন্দ্র দে অভিযোগ করেন, আমি এবার নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছি। তিন মাস যাবৎ জেলা নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ঘোরাফেরা করেও কোন সমাধান পাইনি। সোমবার সকালে আসলে তারা আবার ১৫ দিন পর আসার কথা বলে। পরে দুদক টিম অভিযোগ শুনে মঙ্গলবারের মাঝে অভিযোগ নিষ্পত্তির কথা বলে দেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য। প্রতিদিন সকালে সবাইকে ব্রিফিং করে কাজ শুরু করি। তারপরেও যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার অজান্তে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সরকারি দপ্তরে এসে মানুষের এত হয়রানি কোনো ভাবেই কাম্য নয়। সেবগ্রহীতাদের কাছ থেকে অভিযোগগুলো নিয়ে সে অনুযায়ী কাগজপত্র সংগ্রহ করে আমরা কমিশন জমা নেব। কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে কমিশন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এ দিকে অভিযানে স্বস্তি জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা।
আরটিভি/এমকে -টি
