নতুন মোড় নিয়েছে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নিহত গৃহবধূর ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাসা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ও ওয়াইফাই রাউটারের সূত্র ধরে ওই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাবিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার মাস আগে উম্মে সালমার (৫০) বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেলে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। ভাড়ার পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হন মাবিয়া। এর জেরে দুই সহযোগী মুসলিম ও সুমন চন্দ্র সরকারকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রেখে বেরিয়ে যান তারা।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে।
আরটিভি/এসএপি/এআর