• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
গাইবান্ধায় শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের নামে মামলা
গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ২ বোনের
গাইবান্ধায় মায়ের মৃত্যুর খবরে গাজীপুর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি আসার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেছে দুই বোনের। তাদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ। রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ভবানীপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ গ্রিদারী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নূপুর আক্তার (২২) ও একই এলাকার  তার চাচাতো বোন আব্দুর রশিদের মেয়ে রুনা আক্তার (১৮)। তারা গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত নূপুরের স্বামী মোটরসাইকেল চালক রাকিবুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বজনরা জানান, নিহত নুপুরের মা ময়না বেগম রোববার ভোরে অসুস্থ হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর খবরে নূপুর তার চাচাতো বোন রুনাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর মোটরসাইকেলে কর্মস্থল গাজীপুর থেকে গাইবান্ধায় মায়ের বাড়ি আসছিলেন। পথে বগুড়ার ভবানীপুরে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপরে ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় পেছনে থাকা অজ্ঞাত একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই বোন নিহত। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম জানান, ‘চালক ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে
দাফনের ২৫ দিন পর কবর খুঁড়ে জান্নাতির মরদেহ উত্তোলন
গাইবান্ধায় বিল থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি 
ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে গাইবান্ধা
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আগামী ১১ জুন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা। ওইদিন এ প্রকল্পের আওতায় বাকি থাকা সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। প্রাকৃতিক বা অন্য কোনো বিশেষ কারণে ব্যক্তি ভূমিহীন বা গৃহহীন হলে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার চার উপজেলায় জমিসহ নতুন পাকা ঘর পাচ্ছেন আরও ৪০৫টি পরিবার। সেই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে ৬৩০টি পরিবারকে জমিসহ ২২৫টি পাকা ঘর প্রদান করা হবে। এ ছাড়া সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে। এগুলো আগামী ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে সমাজের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ আগামী ১১ জুন পঞ্চম পর্যায়ে (দ্বিতীয় ধাপ) জমিসহ ১৮ হাজার ৫৬৬টি পাকা ঘর পাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যায়ে (পঞ্চম পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপ) জেলার ৪টি উপজেলায় ৪০৫টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে মোট ৬৩০টি পরিবারকে জমিসহ ২২৫টি পাকা ঘর প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে দিচ্ছেন। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।  ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরও জানান, ইতোমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে প্রাকৃতিক বা অন্য কোন বিশেষ কারণে অন্য কোন ব্যক্তি ভূমিহীন বা গৃহহীন হলে তাদেরকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মাঝে গাইবান্ধার সহকারী কমিশনার তাপস চক্রবর্তী তুষার ও গাইবান্ধা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন।  সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধা জেলার ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৯টি। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৮৪৬টি, ২য় পর্যায়ে ১ হাজার ৪৩০টি, ৩য় পর্যায়ের ২ হাজার ৪১৬টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ৮৭২টি ও ৫ম পর্যায়ে (১ম ধাপ) ১৫৪টিসহ সর্বমোট ৬ হাজার ৭১৮টি একক গৃহে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য উপায়ে ব্যারাক ও গুচ্ছগ্রামে ১ হাজার ৬৬টি ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ভোট দিয়ে ফেসবুকে ব্যালটের ছবি দিলেন প্রার্থী
গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থী পোস্ট দেওয়ার পর ফেসবুকে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে এস এম মিলন নামের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন হোসেন।  দেখা যায়, প্রার্থী মিলন তার নিজের ‘বই’ প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।  এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘ব্যালট পেপারের বিষয়টি গোপনীয়। এটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে তাহলে নির্বাচনী অনুসন্ধানী টিম বিষয়টি দেখবে।’ উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গাইবান্ধায় ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল
গাইবান্ধার লাইসেন্সবিহীন ১৭৯টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে কেন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রনণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৭৯টি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালযের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।  এ বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি আবদুর রাজ্জাক। গত সপ্তাহে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।  এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গাইবান্ধা জেলার কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে গাইবান্ধা জেলার অবৈধ ইটভাটার তথ্য ও তালিকা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় অফিস এ আইনজীবীকে লিখিত তথ্য সরবরাহ করে।  সেখানে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার আওতাধীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৭৯টি। এ তথ্য অনুযায়ী বসতবাড়ি ও ফসলি জমির পাশ থেকে ইটভাটা উচ্ছেদসহ ফসলি জমি উদ্ধারের জন্য গত ২ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বরাবর আবেদন করেন। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদন অনুসারে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে পরবর্তিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারী আবদুর রাজ্জাক। তারপরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশরাফ আলী (৫০) নামের এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম সাদেকুল ইসলাম (৩৫)। কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাদেক। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আশরাফ আলী রিকশা নিয়ে কুপতলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে সাদেকুল আশরাফ আলীর পথরোধ করেন। এ সময় ছুরি দেখিয়ে রিকশা ও চাবি দিয়ে চালককে চলে যেতে বলেন। সেসময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সাদেকুল।  পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ বিষয়ে ওসি মাসুদ রানা জানান, নিহত রিকশাচালক আশরাফ আলীর স্ত্রী মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাইবান্ধায় ১ টাকায় মিলল ১৬ পণ্য
গাইবান্ধা শহরে স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বসেছিল এক টাকার বাজার। এক টাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজিব।  সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে বসা এ বাজারে মাত্র এক টাকা দিয়েই মিলেছে চাল, ডাল, মুরগিসহ ১৬ প্রকারের পণ্য। অন্য ১৩টি পণ্য হচ্ছে সোয়াবিন তেল, চিনি, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, রসুন, ঝিঙ্গা, মরিচ, লেবু ও সাবান। গাইবান্ধার সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমাদের গাইবান্ধা’ এ ব্যতিক্রমী বাজারের আয়োজন করে।  জানা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ২০১৪ সালে সংগঠনটি গড়ে তোলে।  উদ্যোক্তারা বলেন, ‘আমাদের গাইবান্ধা’ সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের টিফিনের টাকা, হাত খরচের টাকা ও বাবা-মায়ের কাছ থেকে ঈদের কেনাকাটার টাকা বাঁচিয়ে এই বাজারের আয়োজন করে থাকেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ২৫০ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে এ বাজারের আয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুসাভভির রহমান বলেন, টানা চতুর্থ বারের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ‘এক টাকার বাজার’ শিরোনামে প্রতীকি মূল্যে ‘বাজার বিতরণ’ কর্মসূচি পালন করা হলো। দুঃস্থ মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ দিকে মাত্র এক টাকায় ১৬ প্রকার পণ্য পাওয়ায় খুশি বাজারে আসা নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষ। জানতে চাইলে গাইবান্ধা পৌরসভার ডেভিড কোম্পানিপাড়ার নাছিমা বেগম (৬০) বলেন, ‘যামরা এ্যাক ট্যাকাত এতো কিচু দিলো, আল্লায় তামাক ভালো করবে। ঈদের আগে এক টাকা দিয়ে অনেক বাজার পাইছি। জীবনের প্রথম এক টাকা দিয়ে এক সঙ্গে এতো কিছু পাইলাম।’ চক মামরোপুর গ্রামের আয়শা বেগম (৫৮) বলেন, ‘এ্যাক ট্যাকা দিয়ে ম্যালা কিচু পানো বাবা। নাতিটে গোসতো খাবার চাচিলো, আচকে খিলব্যার পামো। খুব উপক্যার হলো।’  শহরের কলেজপাড়া এলাকার বারী মিয়া (৫৯) বলেন, ‘এই বাজারোত আসি ম্যালা জিনিস পানো। হামরা খুসি হচি।’  একই কথা বললেন একই উপজেলার জুম্মাপাড়া গ্রামের মোর্শেদা বেগম (৬০)। আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, এক টাকার বাজারের এ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।  এ ধরনের বাজারের আয়োজনের পাশাপাশি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসাইন মামুন, আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়হাম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুসাভভির রহমানসহ সদস্যরা। 
সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।