বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে এবার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৮ মে ২০২৫ , ০৫:৪৪ পিএম


বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে এবার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের যে বাজেট আসছে, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। বাজেটের ছোট হলেও বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট হবে এবার।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ মে) শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এ বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার চেষ্টা থাকবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টাও আমরা করছি। টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব না পড়লেও কিছুদিন পরে তা মূল্যস্ফীতির ওপর কিছু প্রভাব পড়ে। বেতন বৃদ্ধি করলেও মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়ে। এবার দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে এমন প্রকল্প নেওয়া হবে না। তবে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণে হবে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। তবে এই প্রকল্পে জাপান স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। আমরা বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করা হবে। বাজেটের নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা ফেরানো হবে। টাকার অঙ্কে ছোট হলেও বাস্তবসম্মত বাজেট হবে। গতবারের থেকে এবার বাজেট ছোট হলেও কার্যকরী। বাজেট বাস্তব সম্মত করছি, ছোট নয়। আমরা আশা করবো, দ্রুততার সঙ্গে সব কিছু বাস্তবায়ন করবো। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি তবে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোথাও ডাক্তার নাই। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে পরিচালন ব্যয় মেটানো হবে। উন্নয়ন বাজেটে এই খাতে নজর দেওয়া হবে। স্কুলের সমস্যা, বাচ্চাদের স্কুলে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এডিপিতে যত প্রকল্প আছে সবই চলমান প্রকল্প। কিছু আছে যা ধুঁকে ধুঁকে খুড়াচ্ছে। অত্যাধিক প্রকল্পের বিড়ম্বনা দেখা দিচ্ছে। কিছু প্রকল্প আছে তা গিলতেও পারি না ফেলতেও পারি না। সুপরিকল্পিত প্রকল্প নয় এগুলো। কর্ণফুলী টানেল দিয়ে কোথায় যাবো জানি না। এটা কেন বানানো হলো। টানেল পার হয়েই ধু ধু মরুভূমি। এটা প্রকল্প না শুধু রিসোর্টে যাওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প ৩ হাজার কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হলো। অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ কাজ শেষ। তবে বাকি কাজ বাস্তবায়ন করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নিজের বাড়ির লিফট নষ্ট হয়, ঠিক করা হয় না, সুতরাং এই প্রকল্পের লিফট কীভাবে ঠিক হবে। বাসগুলো কেনা হয়নি। কোরিয়া থেকে আনা হবে। বাসগুলো স্পেশাল অর্ডার দিয়ে আনতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। সামন ঈদ আছে, র‍্যাপিড বাস ট্রানজিট ভুলে যান, সবকিছু খুলে দেন। যাতে করে এই রুটে ঈদে জটলা তৈরি না হয়।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমএ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission