প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুবিধা করে দিতে ২০১১ সালে সরকারি উদ্যোগে ঢাকায় জয়িতা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়েছিল। পরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠন করা হয় স্থায়ী প্রতিষ্ঠান জয়িতা ফাউন্ডেশন। সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির আওতা ও পরিধি বাড়ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটির জন্য ১২ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: দেশি পণ্যের পসরা নিয়ে বসছেন উদ্যোক্তারা
--------------------------------------------------------
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় ১০টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ৪১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ১৪ কোটি ৯৩ টাকা।
তিনি বলেন, ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পুনর্গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি আবারো পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত অধিদফতর।
প্রকল্পের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারী-পুরুষ সবার উন্নয়ন নিশ্চিত হলে দেশের সার্বিক উন্নতি হবে। মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্থা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত করতে ২০১১ সালে নারী উদ্যোক্তা প্রয়াস শীর্ষক তিন বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এর আওতায় দেশের পল্লী অঞ্চলের নারীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার নিজস্ব এক বিঘা জমিতে অবকাঠামো সুবিধাসহ ১২তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয় ১৬২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রকল্পের ব্যয় ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন:
এসআর