ঢাকাশনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন, ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি 

ঢাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০ , ০৪:২৯ পিএম


loading/img
ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধন

নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাণিজ্য অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিন্নাত হুদা, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, ধর্ষকরা সংখ্যায় কম হলেও তারা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা রাজনৈতিক এবং পেশীশক্তির মাধ্যমে এসব কাজ করে বেড়ায়। ধর্ষণের আইন সংশোধন করতে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করলে ধর্ষণের মাত্রা কমবে। ছাত্র সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সেভাবে আমাদের সবার জেগে উঠা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে, এই ধর্ষণের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার থাকব।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘আমাদের বাসায় মা, বোন, স্ত্রী আছে। আমরা তাদের সামনে মাথা তুলে কথা বলতে পারি না। আমি সরকারকে অনুরোধ করব- ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলামে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। নৈতিক জাতি গঠনে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা আর কোনো ধর্ষণ দেখতে চাই না। এখানেই এই মহামারি শেষ হোক।’

টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষণের যে বিধান আছে তা সংশোধন করে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। একই সঙ্গে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে এর বিচার কার্যক্রম চালাতে হবে। ধর্ষণের জন্য প্রতিটি সেক্টরের দায় আছে। ধর্ষণের দায় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নিতে হবে। আইন, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের নিতে হবে। শুধু অপরাধীদের বিচার করলেই ধর্ষণের সমাধান হয়ে যাবে না। এজন্য আমাদের সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। 

জিএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |