শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ শুধু সর্বোত্তম খাবারই নয়, এছাড়াও শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি হিসেবেও কাজ করে। পারিবারিক মানসিক বিকাশেও সহায়তা পরে। শিশুর দুধ পানে কেবল শিশুরই উপকার নয়, সেই সঙ্গে মায়ের জন্যও সমান উপকার হয়ে থাকে। সন্তানকে দুধ পান করানোর ফলে হাঁপানি, অ্যালার্জি, কানের সমস্যা, ডায়রিয়া এবং রেসপিরেটরি ডিজিজের ঝুঁকি হ্রাস পায়। সন্তান জন্মের পর অনেক মায়েরই বুকের দুধ পর্যাপ্ত হয় না। এতে করে শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। তাই মায়ের দুধের বিকল্প কিছু না খুঁজে বরং মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। নিয়মিত খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করলেই মায়ের বুকের দুধ বাড়ানো সম্ভব। এবার তাহলে সেই নিয়মনীতি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
দারুচিনি : সদ্য মা হওয়া নারীদের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য দারুচিনি অনেক উপকারী। চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে পারেন। তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে, দারুচিনি বেশি খেলে শরীর গরম থাকে তাই বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।
আদা-রসুন : আদা-রসুনের বিভিন্ন গুণাগুণ রয়েছে। নিয়মিত এসব উপাদান খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ছোটখাটো অসুস্থতাও দূর করে। বাচ্চা জন্মের প্রথম মাসে সকল মাকে আদা-রসুন খাওয়ার জন্য বলা হয়ে থাকে। এ উপাদান বুকের দুধের উৎপাদন ঠিক রাখে।
মৌরি : শরীরে ইস্ট্রোজন লেভেল বাড়িয়ে তোলে প্রাকৃতিক এই উপাদান। মৌরি খাওয়ার ফলে দুধের উৎপাদন ঠিক রাখে। গর্ভবতী নারীরাও নিয়মিত মৌরি খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে চা বানিয়ে নিন। অন্যথায় সারারাত মৌরি ভেজানো পানি পরদিন সকালে খেয়ে নিন। কয়েকদিন পর নিজেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
জিরা : বুকের দুধ বাড়াতে জিরাও অনেক সহায়তা করে। প্রায় কম-বেশি সকলের রান্না ঘরেই জিরা রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ জিরা ও সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করুন। এভাবে নিয়মিত খাওয়ার ফলে দ্রুত বুকের দুধ বাড়বে।
বেদানা : বেদানার রস নতুন মায়েদের জন্য উপকারী। এর রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে বুকের দুধ তৈরির পাশাপাশি রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে থাকে।
সজনে ডাঁটা : প্রতিদিন সজনে ডাঁটার জুস আধা কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বুকের দুধ বাড়বে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
এসআর/ এসএস