ঢাকাশনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

বহু রোগের চিকিৎসায় করমচা

বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর করমচার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৯:২৩ পিএম


loading/img

করমচা আকারে ছোট ও টকজাতীয় হলেও এটি মনোরম ফল। এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারস্সিসা কারান্ডাস এবং ইংরেজি নাম একোক্যানাসেই। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে এবং পাকলে জমাট বাঁধা রক্তের মতো লাল হয়। কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় গাছে জন্মে থাকে ফলটি। বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল আসে এবং এপ্রিল-মে মাসে ফল ধরে। পরবর্তীতে বর্ষায় ফল পাকে।

বিজ্ঞাপন

প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় শর্করা রয়েছে ১৪ গ্রাম, প্রোটিন-০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৪০ আইইউ, ভিটামিন-সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, কপার ০.২ মিলিগ্রাম ও পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম। যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি তাদের ক্ষেত্রে করমচা না খাওয়াই ভালো। এবার তাহলে করমচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

টকজাতীয় এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। নিয়মিত করমচা খেলে মুখে রুচি ফিরে আসে। যারা খাবারে রুচি পান না তাদের জন্য করমচা প্রাকৃতিকভাবে সমাধানের উপায় হতে পারে। এছাড়াও জ্বর, ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগীদের জন্য উপকারে আসে করমচা।

বিজ্ঞাপন

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল খাওয়ায় শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে তুলে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ করে। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। যাদের লিভার ও কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত করমচা খাওয়া উচিত। করমচায় থাকা কপার কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং এই উপাদানটি লিভার ও কিডনির ক্ষতকে সারিয়ে তুলে।

ভিটামিন-সি এবং পটাশিয়ামে ভরপুর এই ছোট্ট ফল শারীরিক ক্লান্তিভাব দূর করে এবং ভিটামিন-সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সূত্র : রিসার্চগেট ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিজ্ঞাপন

এসআর/এম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |