বৃষ্টি বিকেলে পটেটো পিনহুইল সমুচা
বৃষ্টি ভালো লাগে না এরকম মানুষের খোঁজ পাওয়া হয়ত সহজ হবে না। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বৃষ্টি উপভোগ করেন। এমনকি বৃষ্টির দিনে খাবারের মেন্যুও সেট করেন অন্যদিনের চেয়ে আলাদাভাবে। বৃষ্টির দিনে বিকালের নাস্তায়ও থাকে ভিন্নতা। বৃষ্টির দিনে বিকালের নাস্তায় ভাঁজা খাবারটাই বেশি খাওয়া হয়। তাই আজকের বাদলা দিনেও বিকালের নাস্তায় পরিবারের সকলকে খুশি করতে তৈরি করে ফেলুন গরম গরম মচমচে পটেটো পিনহুইল সমুচা। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
পুর তৈরির উপকরণ:
আলু বড় দুই পিস সিদ্ধ করে কুঁচি করে নেয়া, মটরশুটি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি এক কাপ, আস্ত জিরা আধা চা চামচ, জিরা, গরম মসলা, শুকনা মরিচ ও চাট মশলা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ কুঁচি স্বাদমতো।
প্রণালি:
প্যানে দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে আস্ত জিরা, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে আলু ও মটরশুটি দিয়ে সব গুঁড়া মশলা ও লবণ দিন। ভালো করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে পাঁচ মিনিটের মত রান্না করুন। এখন ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে মিশিয়ে চুলা বন্ধ করুন।
সমুচা তৈরির উপকরণ: ময়দা দুই কাপ, তেল বা ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ সিকি চা চামচ।
প্রণালি: একটি বাটিতে ময়দা ও লবণ নিন। ময়দাতে ঘি বা তেল দিয়ে হাতে ভালো করে মেখে ঝরঝরা করে নিন। এরপর প্রয়োজন মতো ঠান্ডা পানি দিয়ে ময়দা মেখে পরোটা বেলার মতো ডো তৈরি করুন।
খেয়াল রাখুন, খামির পরোটার মত বেশি নরম হবেনা, কিছুটা শক্ত হবে। এরপর ২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। এবার খামির দুই ভাগ করুন। বড় চারকোণা রুটি বেলে তার মাঝে পুর ছরিয়ে দিয়ে পুরসহ রুটি রোল করে নিন। তারপর অল্প পানি দিয়ে পাশ আটকিয়ে নিন। এখন ছুরি দিয়ে রোল করা রুটি ১ ইঞ্চি করে কেটে নিন। কাটার সময় চাপ না দিয়ে একপাশে ধরে কাটুন। তবেই আকার ঠিক থাকবে ও দেখতে সুন্দর লাগবে। তারপর পিনহুউলস গুলো হাত দিয়ে হালকা চাপ দিন।
একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার বা ময়দা নিন। এক কাপ পানি দিয়ে কর্নফ্লাওয়ার গুলে নিন, পাতলা হবে বেশ। কড়াইতে দুই কাপ তেল গরম করুন। এবার পিনহুউলসগুলো কর্নফ্লাওয়ার পানিতে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। বাদামি করে ভেজে তুলুন। এবার গরম গরম সস বা চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু পটেটো পিনহুইল সমুচা।
মন্তব্য করুন