বর্তমানে খুবই পরিচিত একটি ওষাধ হলো ইমার্জেন্সি পিল। এই একটি হরমোনাল ওষুধ, যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ; অর্থাৎ ওভুলেশনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয় অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হতে বাধা দেয়।
তবে চিকিৎসকদের মতে ইমার্জেন্সি পিল সবার জন্য উত্তম নয়। কারণ, এটি খাওয়ার পর বেশকিছু পার্শপ্রক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে তা আলোচনা করা হলো:
ইমার্জেন্সি পিল যাদের জন্য উত্তম নয়
১. যাদের এই ওষুধ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
২. যারা ইতিমধ্যে গর্ভধারণ করে ফেলেছেন।
৩. যাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্ত যায়।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর যেসব সমস্যা হতে পারে
১. বমি বমি ভাব।
২. তীব্র মাথাব্যথা।
৩. ওজন বৃদ্ধি।
৪. পরবর্তী ঋতুস্রাব আগে বা দেরিতে হতে পারে, অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে।
৫. ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
৬. পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে (ঘন ঘন ওষুধ খেলে)।
কারা খেতে পারবেন
১. যারা কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না।
২. কনডম ছিঁড়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
৩. পরপর দুই-তিন দিন জন্মনিয়ন্ত্রণের নিয়মিত পিল খেতে ভুলে গেলে।
খাওয়ার নিয়ম
অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ সহবাসের তিন দিনের মধ্যে ওষুধটি খেতে হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়, তত ভালো কাজ করে। একটি পিল একটি ঋতুস্রাব চক্রে একবারই খাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ইমার্জেন্সি পিল’ কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণপদ্ধতি নয়। এটি শুধু অপরিকল্পিত সহবাসের ফলে অযাচিত গর্ভধারণ প্রতিহত করে মাত্র। সুতরাং জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত যে পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, তা-ই চালিয়ে যাবেন।
আরটিভি/এসআর