সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মিশিগানে কর্মরত বাংলামিডিয়ার ১৭ সাংবাদিককে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে মৃধা ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির কো-অর্ডিনেটর জাহেদ জিয়ার সভাপতিত্বে এবং মৃদুল কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ শওকত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক মণ্ডলির সভাপতি চিনু মৃধা। উদ্বোধন করেন মৃধা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. দেবাশীষ মৃধা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক চিন্ময় আচার্য, বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগানের সভাপতি সৈয়দ শাহেদুল হক, বাংলা সংবাদ সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস।
বক্তারা বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও উৎসাহিত করবে এবং ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। বক্তারা এ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মৃধা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিকরা বলেন, কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা আমাদের জন্য আনন্দের। এ অ্যাওয়ার্ড আমাদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি চিনু মৃধাকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন, এনটিভির সেলিম আহমদ, সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক চিন্ময় আচার্য, সাপ্তাহিক ঠিকানা প্রতিনিধি সৈয়দ শাহেদুল হক, সুপ্রভাত মিশিগানের নির্বাহী সম্পাদক কামাল এম মোস্তফা, আরটিভি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি কামরুজ্জামান হেলাল, জনকণ্ঠ প্রতিনিধি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি আশিক রহমান, ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধি তোফায়েল রেজা সোহেল, গ্লোবাল টিভি, নিউজ-২৪ প্রতিনিধি সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান, দৈনিক মানবকণ্ঠ ও বাংলাভিশন টিভি প্রতিনিধি সাহেল আহমেদ, সময়ের আলো প্রতিনিধি তাসনিয়া আলভী, সুপ্রভাত মিশিগানের স্টাফ রিপোর্টার মৃদুল কান্তি সরকার, শুভ প্রতিদিন এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ফয়সল আহমদ মুন্না, মানবজমিন প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন রানা, বাংলা সংবাদ সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস এবং নিউজ-২৪ প্রতিনিধি জুয়েল খান।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। মহুয়া দাস মিষ্টির কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন কালিবাড়ি নৃত্যাঙ্গনের ললিতা রায়, পৃথিকা দত্ত, অদিতি ধর, অরেল চাটার্জি বৃন্তি দেব।
অপর নৃত্যে অংশ নেন অনুস্কা মণ্ডল, গুনগুন গুহ, আরুশি চাটার্জি, দেবশ্রী রায়। সুকন্যা শুকলার কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন মৃত্তিকা সরকার, অর্পিকা সেন মাহিকা সরকার।
অন্তরা অন্তির কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন রিয়া, কৃষ্টি, সুস্মা, স্নেহা, আনুশকা, প্রমিতা, স্মরনীকা, কুয়াশা, সৃষ্টি, ঋষিকা, প্রত্যাশা।
সমবেত কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন ডা. নীলুফা নীতু, জিন্নাহ, ইলোরা, হারমোনিয়ামে ছিলেন কানন এবং তবলায় ছিলেন জাফরি।
বাংলা স্কুল অফ মিউজিকের শিল্পীরা পরপর কয়েকটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কবিতা পাঠ করেন সাইফ সিদ্দিক ও সুদীপ্তা কর্মকার। বিনীতা দত্ত সঙ্গীতায়ের শিল্পীরা লালন গীতি পরিবেশন করেন। এতে অংশ নেন বৃন্তি দত্ত, অমৃতা ধর, অদিতি ধর, অতিশয় চৌধুরী, পৃথিকা দত্ত, আনন্দ মণ্ডল, অনুস্কা মণ্ডল, শিবম সেন, সাফিয়ান উদ্দিন এবং জাভিয়ান উদ্দিন।
রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিখর, তুখোড়, ডা. নীলুফা নীতু, ডা. সাঈদ জাফরী আল কাদেরী।
নটরাজ শিল্পী গোষ্ঠীর সমবেত গানে অংশ নেন চিনু মৃধা, সুস্মিতা চৌধুরী, নীলিমা রায়, রাজশ্রী শর্মা, সঙ্গীতা পাল, মিতা চৌধুরী, কাবেরি দেব, অপর্না ঘোষ ও চন্দনা বানার্জি।
একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডা. নাজমুল আনোয়ার, কানন বড়ুয়া এবং ডা. নীলুফা নীতু। নাট্য পরিবেশন করেন, গুঞ্জনের ইলোরা, সুরভী, ফারহা ও সানিয়া গীতি। সবশেষে টেন অ্যান্ড হাফ মাইল ব্যান্ড দলের হাসান, রসি, সাগর, জাফরি আল কাদেরি এবং মাহিসা দর্শক মাতান।
