তালেবান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলি পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত আফগান শরণার্থীদের জন্য সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সদ্য ফিরে আসা আফগান শরণার্থীদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রচেষ্টা সহায়তা করেছে। টোলো নিউজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা শরণার্থীদের আগমন এবং তাদের সমস্যা কভার করার জন্য মিডিয়ার ভূমিকাকে কার্যকর বলে মনে করছেন।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আহমদ ফেরদৌস বেহগাজিন বলেন, দেশের গণমাধ্যমের আশীর্বাদে শরণার্থী আফগানিস্তানে কীভাবে প্রবেশ করেছে, তারা কী করছে, তারা কী খাচ্ছে এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা কী, তারা সুস্থ আছে কি না সে সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করেছে।
তালেবান মুখপাত্র মুজাহিদ টোলো নিউজে বলেন, গণমাধ্যম শরণার্থীদের সমস্যার বিভিন্ন দিক সম্প্রচারের মাধ্যমে সরকার তাদের বিষয় নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শরণার্থী ইস্যুতে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করছে। আমাদের সব টেলিভিশন চ্যানেল, সব সংবাদপত্র এবং আমাদের সব রেডিও সাহায্য চাওয়ার ক্ষেত্রে এবং অভিযোগ শোনার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছে। পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের বিতাড়ন শুরু হওয়ার ১১ দিন পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে টোলো নিউজ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি মানুষ আফগানিস্তানে ফিরে এসেছে। সম্প্রতি শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক উপমন্ত্রী মোহাম্মদ আরসালান খারোতি আফগান অভিবাসীদের তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার পাকিস্তানের সিদ্ধান্তকে ‘তাড়াহুড়ো’ বলে অভিহিত করেছেন।
খারোতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তানের উচিত ছিলো আফগান অভিবাসীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং তাদের নিজেদের ইচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া।