• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

আশুরার রোজায় মাফ হবে এক বছরের গোনাহ

আরটিভি নিউজ

  ১৬ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪৩
আশুরার রোজা
ছবি: সংগৃহীত

আশুরা শব্দটি আরবি। এর অর্থ হচ্ছে দশ। মূলত আরবি হিজরির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়। এটি একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। ইসলামে এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আশুরার রোজা রাখলে বিগত এক বছরের গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।

হাদিসে এসেছে- হজরত কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী, আল্লাহ তাআলা এর অছিলায় বিগত জীবনের এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। (তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ)

আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা সুন্নত। রোজা রাখার পদ্ধতি হল- মহররমের ৯-১০ কিংবা ১০-১১ তারিখ রোজা রাখা। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, এটি একটি উত্তম দিন যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের মুক্তি দিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা রাখতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আমি তোমাদের চেয়েও মুসার (আ.) অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিন রোজা রাখেন, অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)

উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত
 আশুরার দিন যেসব আমল করতেন নবিজি (সা.)
মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই
পবিত্র আশুরা কবে, জানা যাবে আজ