খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানাল বিটিআরসি
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেই সঙ্গে দুই জেলায় ইন্টারনেট বন্ধের কারণও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনভর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা নাগাদ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এনটিটিএন অপারেটর সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার কাটা পড়ায় মোবাইল অপারেটর রবি’র ১৬টি টাওয়ার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই জেলায় রবি’র প্রায় ১৫০টি টাওয়ার রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলমান থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সে সব টাওয়ার মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রবি ১৪টি টাওয়ার সচল করতে পেরেছে এবং ২টি টাওয়ার এখনো মেরামত করা যায়নি। শিগগিরই সবগুলো সাইট সচল করা হবে। এ ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলায় টেলিটক’র ৭২টি টাওয়ার রয়েছে। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৩টি ও অন্যান্য কারণে আরও ৬টিসহ টেলিটকের মোট ২৯টি টাওয়ার বর্তমানে অচল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় স্বল্পসংখ্যক গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে উক্ত এলাকায় আইএসপি অপারেটরগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন ও জেনারেটরের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান থাকায় ওই এলাকাগুলোতে ক্রমান্বয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিটিআরসি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। উদ্ভূত সাময়িক অসুবিধার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এদিকে ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন