দশ গুণীজন পেলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার
সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন দশ গুণীজন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি চত্বরে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় কবি মাকিদ হায়দার, কথাসাহিত্যে ওয়াসি আহমেদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় স্বরোচিষ সরকার, অনুবাদে খায়রুল আলম সবুজ, নাটকে রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যে রহিম শাহ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণায় রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, বিজ্ঞান-কল্পবিজ্ঞানে নাদিরা মজুমদার, আত্মজীবনী-স্মৃতিকথা-ভ্রমণকাহিনি ফারুক মঈনুদ্দিন, ফোকলোরে সাইমন জাকারিয়া।
এমকে
মন্তব্য করুন
Gen-z জীবন জয়ের গল্প ‘সব সম্ভব’
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের তরুণ প্রজন্ম আবারও দেখিয়েছে, তারা কী করতে পারে। তরুণ বয়সটা সকল বৃত্ত ভাঙার। অসম্ভব জেনেও সেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার। কোনো ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা মনে না করার। বড় চিন্তা করার। ভালো চিন্তা করার। কারণ, সে বিশ্বাস করে, সম্ভবের নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই। বাংলাদেশের Gen-Z প্রজন্ম বিশ্বাস করে— সব সম্ভব। এমনই শত তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে সংকলন ‘সব সম্ভব’। প্রায় শতাধিক তরুণের জীবন জয়ের গল্প নিয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে বইটি।
বইটির নাম ভূমিকা পড়ে প্রশ্ন হতে পারে, কীভাবে বদলে গেল তাদের জীবন? একটি শিক্ষালয়—কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ বদলে দিয়েছে তাদের জীবন। বান্দরবানে লামায় স্কুলটির অবস্থান।
মেধার কোনো জাত নেই পাত নেই। সুযোগ পেলে যে কেউ নিজ গুণে বিকশিত হতে পারে—এই বিশ্বাস নিয়ে ২০০১ সালে বান্দরবানের প্রত্যন্ত এলাকায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আল বোখারী মহাজাতক গড়ে তোলেন এ বিদ্যাপীঠ। মাত্র সাতজন শিশুকে নিয়ে যাত্রা শুরু। বর্তমানে বাঙালিসহ ২২ জাতির আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ধ্যানে জ্ঞানে প্রযুক্তিতে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠছে এখানে।
কারো হয়তো বাবা নেই, কারো মা নেই, কারো দুজনই নেই, আবার কারো বাবা-মা থেকেও আর্থিকভাবে অসহায়, কারো লেখাপড়ার পরিবেশ ছিল না—এমন অবস্থায় এই স্কুলে শিশুরা এসেছে চার কিংবা পাঁচ বছর বয়সে, নয়তো স্কুল জীবনের কোনো না কোনো ধাপে। আবার কেউ কেউ ভর্তি হয়েছে কলেজে।
সেই শিশু বয়সেই তারা পেয়েছে নিয়মিত মেডিটেশন, ইয়োগা, লেখাপড়া, খেলাধুলা, শুদ্ধাচার চর্চার পাশাপাশি ‘জীবনে প্রথম’ হওয়ার ভাবনা বা মনছবি। এই স্কুলের ছোট্ট কোনো শিশুকে ‘বড় হয়ে তুমি কী হবে’ জিজ্ঞেস করলে, নিজের নামটা ঠিকমতো বলতে না পারলেও সে বলতে পারে—‘পথম’ (প্রথম) হবো। এই প্রথম হওয়ার মনছবির শক্তিতেই তারা আজ অধিকাংশ পড়ছে দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় প্যারেড ও ব্যান্ড বাদনে (২০১৫-২০১৯) টানা পাঁচ বার প্রথম হয়ে সারাদেশে নজর কেড়েছে। এছাড়াও ক্রীড়ানৈপুণ্যে দেশসেরা স্কুল হয়েছে পর পর চার বার (২০১৭-২০২০)।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বলা হয় কোয়ান্টা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একটা করে আলোকগুচ্ছ।
এই বই পড়তে গিয়ে একজন পাঠক যেমন জীবন বদলে দেয়ার শতাধিক ঘটনা জানবেন, তেমনি পাবেন আমাদের দেশের প্রান্তিক মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রামের বাস্তব চিত্র, তাদের আশা-নিরাশার গল্প। আর ঋণ, তামাক চাষ, মাদক, অবিদ্যা, কুসংস্কার, ডিজিটাল আসক্তির মতো সমাজের নানা অসঙ্গতির খন্ড খন্ড চিত্র। তাদের এই গল্পগুলোর নেপথ্যে উঠে আসবে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২৩ বছরের ইতিহাস। কোয়ান্টামমের ইতিহাস। শূন্য থেকে শুরু করার ইতিহাস। অসম্ভবকে সম্ভব করার ইতিহাস। আসলে তিন দশক আগে সাধারণ মানুষের ভাবনারাজ্যে কোয়ান্টাম যে মানবিক মহাসমাজের বীজ বুনেছিল, তারই ক্রমবিকশিত রূপ এই কোয়ান্টামম এবং এই শিক্ষাঙ্গন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যে বয়সের হোন না কেন, তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন। আপনি অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বই দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চারশো পৃষ্ঠার বইটি দাম রাখা হয়েছে পাঁচশ টাকা। অনলাইনে ও পাওয়া যাচ্ছে।
এখন দেশে জনশক্তির বোনাসকাল অতিক্রম করছে। অর্থাৎ দেশে জনসংখ্যায় যুবশক্তি বেশি। কিন্তু এখানে বলে রাখা প্রয়োজন অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে দেশে যদি সৎ, মানবিক ও ইতিবাচক উদার দৃষ্টিসম্পন্ন ভালো মানুষ না হয় তাহলে সত্যিকারের ভালো দেশ হয়ে ওঠা যাবে না। শারীরিক সুস্থতা, মানসিক সুস্থতা, আত্মিক সুস্থতা, সামাজিক সুস্থতা না থাকলে ভালো মানুষ হওয়া যায় না।
ভালো মানুষ তৈরির জন্য এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে যুব সমাজকে দিয়ে। তাদেরকে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টোটাল ফিটনেস বা সম্পূর্ণ সুস্থতা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ সময়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দ্রুত বদলে যাওয়ার উত্তাপ লেগেছে। প্রযুক্তির প্রসার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে অনেক মন্দ বা ক্ষতিকর কিছুতে সহজে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। জীবন যাত্রার মান বাড়ার ফলে আমরা নিজেদের অনেক ঐতিহ্য আভিজাত্যও হারিয়ে ফেলছি। পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষায় শুদ্ধাচার, শিষ্টাচার নীতি নৈতিকতা হারিয়ে ফেলছি। প্রতিষ্ঠানে নীতি নৈতিকতা ও সৎ মানুষ বানানোর পরিবর্তে শুধু সনদ অর্জনই অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে।
যতদিন এ দেশের দুঃখী মানুষ পেট ভরে খেতে না পারে, যতদিন অত্যাচার ও অবিচারের হাত থেকে তারা না বাঁচবে, যতদিন না শোষণমুক্ত সমাজ হবে, ততদিন সত্যিকারের মানবিক বাংলাদেশ হবে না।আআগেও বলেছি আমাদের দেশে এখন জনশক্তির বোনাসকাল (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট) চলছে। অর্থাৎ এসময়ে মোট জনশক্তির মধ্যে তরুণ জনশক্তি বেশি। আমার বিশ্বাস, এই তরুণরাই বাংলাদেশ কে বদলাতে পারে , নিয়ে যেতে পারে সমৃদ্ধির শিখরে। এজন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে সবাইকে নিয়ে। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, পারিবারিক-সামাজিক বন্ধন সবকিছুই তুলে ধরে। অর্থাৎ আমরা এক মহান জাতি ছিলাম, আমাদের এক মহান ইতিহাস ছিল। ফলে সমৃদ্ধ অর্থনীতির সাথে সাথে আমরা উন্নত মানবিক সম্পন্ন সুস্থ মানুষ হিসেবে পরিচয় অর্জন করবো।
ভালো মানুষের সংজ্ঞা এখানে কয়েকটি লাইন তুলে ধরছি- ‘নীতি নৈতিকতাবান শুদ্ধাচারী মানুষই ভালো মানুষ। যা কিছু ভালো, যা কিছু কল্যাণকর তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু মন্দ, যা কিছু অকল্যাণকর তাই অশুদ্ধ। যা কিছু সত্য, সুন্দর ও শুভ তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু অসত্য, পঙ্কিল ও অশুভ তা-ই অশুদ্ধ। যা কিছু ন্যায় ও মানবিক তা-ই শুদ্ধ। যা কিছু অন্যায়, জুলুম ও অমানবিক তা-ই অশুদ্ধ। যা শুদ্ধ ও কল্যাণকর তা-ই ধর্ম আর অশুদ্ধ ও অকল্যাণকর তা-ই অধর্ম।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষে বইটি প্রকাশ করেছেন মায়িশা তাবাসসুম। প্রচ্ছদ শিল্পী শান্ত খিয়াং। মূল্য পাঁচশত টাকা। ছাড়কৃত মূল্য ২৫০ টাকা।সম্পাদনা করেছেন শরিফুল ইসলাম, উক্য এ মার্মা। প্রকাশকাল ২০২৪ সেপ্টেম্বর।
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
আজ ১৩ নভেম্বর। কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে তার জন্ম।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যানসারের কাছে হার মানা হুমায়ূন পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্যদিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির পথিকৃৎ।
এক যুগ পরেও বাংলা সাহিত্যে তার সৃষ্ট কয়েকটি চরিত্র সাহিত্যপ্রেমী মানুষ এখনও স্মরণে রেখেছেন। মোহময় গদ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবন আখ্যানকে অসামান্য দক্ষতায় চিত্রিত করেছেন তিনি। বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় একক লেখক হিসেবে মৃত্যুর এখনও তার বই সর্বাধিক বিক্রি হয়।
ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। বিদেশে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’। এই উপন্যাস দুটির কারণে তখনকার সাহিত্যবোদ্ধা মহলে বেশ প্রশংসিত হন তিনি।
এরপর দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের লেখকজীবনে নিজেকে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তায় শীর্ষে নিয়ে যান। গল্প বলার অসামান্য ভঙ্গির কারণে ‘গল্পের জাদুকর’ হিসেবে তাকে গণ্য করা হয়। তার লেখা গল্প-উপন্যাসে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনধারার নিঃসংকোচ বর্ণনা পাওয়া যায়।
দুই শতাধিক উপন্যাস লিছেন হুমায়ূন আহমেদ। এর মধ্যে রয়েছে ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘দেয়াল’, ‘বাদশাহ নামদার’, ‘কবি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘লীলাবতী’, ‘গৌরীপুর জংশন’, ‘নৃপতি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নক্ষত্রের রাত’ ইত্যাদি। তাঁর সৃষ্ট চরিত্র ‘হিমু’ ও ‘মিসির আলী’ ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সায়েন্স ফিকশন এবং কিশোর গল্প লিখেও তিনি দারুণ খ্যাতি অর্জন করেন। গল্প ও উপন্যাসের মতো হুমায়ূন নির্মিত নাটক ও চলচ্চিত্রও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায়। ‘আজ রবিবার’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ তাঁর জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র।
সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ অগণন পুরস্কার লাভ করেন। একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে আজ বিকেল ৪টায় সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক ড. সরকার আমিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র। আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক আহমেদ মাওলা ও অধ্যাপক সুমন রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
আরটিভি/টিআই
গবেষণা-প্রবন্ধ রচনায় মাসে ৩০ হাজার টাকা বৃত্তি দেবে বাংলা একাডেমি
গবেষণা-প্রবন্ধ রচনায় মাসিক ২০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা হারে এক বছর বৃত্তি দেবে বাংলা একাডেমি। এক বছর এ বৃত্তি পাবেন ৫০ জন প্রাবন্ধিক ও ১০ জন গবেষকক। আগ্রহী প্রার্থীরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি অথবা ইমেইলে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন।
গবেষণা-প্রবন্ধ বৃত্তি
গবেষণা-প্রবন্ধ রচনার জন্য ৫০ জন প্রাবন্ধিকের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে–
বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক প্রাবন্ধিকের জন্য একজন প্রবন্ধ-তত্ত্বাবধায়ক ও একজন সম্পাদক (কপি এডিটর) নিযুক্ত থাকবেন;
বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিককে অনুমোদনের ৩ মাসের মধ্যে প্রবন্ধ চূড়ান্ত করতে হবে;
এক বছর মেয়াদি গবেষণা-বৃত্তি
বিষয়ভিত্তিক গবেষণা সম্পাদনার জন্য ১০ জন গবেষকের প্রত্যেককে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হবে–
বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক গবেষকের জন্য গবেষণাকালীন একজন গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন;
গবেষণা-বৃত্তিপ্রাপ্ত গবেষককে গবেষণাকালীন ১টি গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে;
শর্তাবলি
আবেদনকারীর যোগ্যতা, বয়স, লিঙ্গ ও গবেষণার বিষয় উন্মুক্ত;
প্রবন্ধ ও গবেষণা বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করতে হবে;
সব ধরনের সম্মানি থেকে বিধি অনুযায়ী আয়কর কেটে নেয়া হবে;
যেভাবে আবেদন করতে হবে
ই-মেইল/ডাক/কুরিয়ার/সরাসরি আবেদনপত্রসহ প্রস্তাব জমা দেয়া যাবে;
এক বছর মেয়াদি গবেষণা-বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রদত্ত ছক অনুযায়ী আবেদন করতে হবে;
গবেষণা-প্রবন্ধের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে সারসংক্ষেপ ও পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে হবে;
আবেদনের ঠিকানা
আবেদনপত্র উপপরিচালক, গবেষণা উপবিভাগ, বাংলা একাডেমি, ঢাকা ১০০০ বরাবর জমা দিতে পারবেন। অথবা, baresearchgrant@gmail.com ঠিকানায় ই-মেইল করতে পারবেন;
জমাদানের শেষ সময়: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বিবিসি কালচারের জরিপে বছরের সেরা ১০ বই
সারা বিশ্বে বছরে প্রকাশনা সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৪০ লাখ বই প্রকাশিত হয়। গুগলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪৪০ সালে সর্বপ্রথম মুদ্রণযন্ত্রে বই প্রকাশের পর ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবছর প্রকাশিত লাখ লাখ বই থেকে বিবিসি কালচার বছরের সেরা ১২টি বইয়ের তালিকা করে। ওই প্রতিবেদন থেকে সেরা ১০টি বইয়ের কথা আলোচনা করা যাক।
১. সেলেডোনিয়ান রোড
স্কটিশ ঔপন্যাসিক অ্যান্ড্রু ও’হাগানের উপন্যাস ‘সেলেডোনিয়ান রোড’ বিবিসি কালচারের ২০২৪ সালের সেরা বইয়ের তালিকার শুরুতেই আছে। উপন্যাসটি এখন পর্যন্ত হাগানের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ৫২ বছর বয়সী লেখক ও শিক্ষাবিদ স্কট ক্যাম্পবেল ফ্লিন। উপন্যাসে লেখক ছোট একটি রাজপরিবার এবং রুশ অলিগারক (ক্ষমতাকাঠামোর একটি ধারণাগত রূপ, যেখানে ক্ষমতা অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে থাকে) থেকে শুরু করে মানব পাচারকারী ও দুর্ধর্ষ শিল্পীর চরিত্রগুলো মুখোমুখি করিয়েছেন।
২. মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট
ডাচ লেখক লুকাস রিজনেভেল্ডের ‘মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট’ বইটি তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ‘মাই হ্যাভেনলি ফেবারিট’ উপন্যাসটি নেদারল্যান্ডসের একটি কৃষক সম্প্রদায় নিয়ে লেখা। উপন্যাসটির বর্ণনাকারী ৪৯ বছর বয়সী একজন পশুচিকিত্সক, যিনি ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
৩. গ্রিন ডট
এর পরের অবস্থনেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান লেখিকা মেডেলিন গ্রের প্রথম উপন্যাস ‘গ্রিন ডট’। উপন্যাসটি ২৪ বছর বয়সী হেরাকে নিয়ে লেখা। জীবনসংগ্রামে টিকে থাকতে হেরা একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চাকরি নেন। চাকরির শুরুর দিকেই তিনি আর্থার নামের একজন বয়স্ক বিবাহিত সাংবাদিকের প্রেমে পড়ে যান। আর্থারের অসংখ্য মন্দ দিক থাকা সত্ত্বেও হেরা তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজেকে সুখী ভাবতে শুরু করেন।
৪. দ্য স্লিপওয়াকারস
সেরা বইয়ের তালিকার চার নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের লেখিকা স্কারলেট টমাসের উপন্যাস ‘দ্য স্লিপওয়াকারস’। এটি একটি অন্ধকার, প্রেম ও থ্রিলারধর্মী উপন্যাস। উপন্যাসটি একটি প্রত্যন্ত গ্রিক দ্বীপে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া এক দম্পতিকে নিয়ে লেখা। ওই দম্পতির নাটকীয় বিয়ে এবং একে অপরের কাছে নানা তথ্য গোপন রাখার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কারলেট টমাসের গল্প বলার ধরন বেশ সাহসী। ‘দ্য স্লিপওয়াকারস’ পাঠককে প্রতিমুহূর্তে বিস্মিত করবে।
৫. ওয়াইল্ড হাউসেস
আইরিশ–কানাডীয় লেখক কলিন ব্যারেট প্রথম উপন্যাস ‘ওয়াইল্ড হাউসেস’। আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট একটি শহরের একটি মিষ্টি স্বভাবের কিশোর ডল। তার বড় ভাইয়ের অপরাধের প্রতিশোধ হিসেবে একটি স্থানীয় গ্যাং ডলকে অপহরণ করে। এসব নিয়েই উপন্যাসটি এগিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ওয়াইল্ড হাউসেস’ একটি বৈদ্যুতিক থ্রিলার। এখানে আছে কৌতুকের নিপুণ ছোঁয়াও।
৬. চেঞ্জ
তরুণ লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড লুইয়ের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘চেঞ্জ’। উপন্যাসটিতে সামাজিক শ্রেণি, রূপান্তর ও অতীতকে পেছনে ফেলে যাওয়ার বিপদ সম্পর্কে বিবরণ আছে। লুই শ্রমজীবীশ্রেণির শহরে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও সহিংসতার বাইরে একটি জীবনকে তুলে ধরেছেন। বলা হচ্ছে যে, এ উপন্যাস লুইয়ের জীবনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট প্রতিকৃতি।
৭. প্যারাসল এগেইনস্ট দ্য অ্যাক্স
নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখিকা হেলেন ওয়েমির নতুন উপন্যাস ‘প্যারাসল এগেইনস্ট দ্য অ্যাক্স’। উপন্যাসটি প্রাগ শহরের হিরো তোজোসোয়া নামের এক নারীকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। উপন্যাসটি প্রচলিত আখ্যান ছেড়ে গল্পের মধ্যে বেশ কয়েকটি গল্পে পরিণত হয়েছে। এসব গল্পে প্রাগকে স্বপ্ন ও রহস্যের শহর হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
৮. চয়েজ
ভারতের নীল মুখার্জি থাকেন লন্ডনে। ইংরেজিতে লেখালেখি করেন। ‘চয়েজ’ তার বৈশ্বিক দারিদ্র্য থেকে জলবায়ু সংকটের সমসাময়িক উদ্বেগ নিয়ে লেখা উপন্যাস। এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য থেকে জলবায়ু সংকটে নীল মুখার্জি অর্থনীতি, জাতি, বরাদ্দ ও সমসাময়িক জীবনের জটিল নীতিশাস্ত্র সম্পর্কে আমাদের মৌলিক অনুমানের মুখোমুখি হয়েছেন।
৯. ভিকটিম
মার্কিন মুলুকের লেখক অ্যান্ড্রু বোরগার উপন্যাস ‘ভিকটিম’। এতে উপন্যাসের নায়ক ও ব্রঙ্কস নেটিভ জাভি পেরেজের স্মৃতিকথা উপস্থাপিত হয়েছে, যিনি নিজের সুবিধার জন্য ট্র্যাজিক গল্প বলার খেলা খেলেন। একদিন গল্পের নায়ক জাভি জানতে পারেন, তার বাবা খুন হয়েছেন, মা একা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এবং সবচেয়ে কাছের বন্ধু একটি গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে বন্দী। এসব নিয়ে গল্পও তৈরি করছেন।
১০. ব্লেসিংস
তালিকার ১০ নম্বরে আছে নাইজেরিয়ার লেখক চুকয়ুবুকা ইবেহর উপন্যাস ‘ব্লেসিংস’। এমন একটি সমাজ, যে সমাজে সমকামিতাকে অপরাধ, সমকামিতা প্রশ্নাতীত ও নিন্দা করা হয়। এ উপন্যাসে বর্তমান সমাজের লাজুক নায়ক ও বিফুনার জীবন সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে। বিফুনার বাবা রক্ষণশীল। সমকামিতা করতে গিয়ে বাবার হাতে ধরা পড়ে সে। পরে তাকে বাড়ি থেকে একটি কঠোর বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম প্রেমের কথা কিছুতেই ভুলতে পারে না ওবিফুনা। এসব নিয়ে এগিয়েছে এ উপন্যাস।
সূত্র : বিবিসি
চট্টগ্রামে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের দিনব্যাপী কবিতা উৎসব ২২ নভেম্বর
‘চট্টগ্রাম কবিতার শহর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’-এর উদ্যোগে অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কবিতা উৎসব-২০২৪।’ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ইস্পাহানী টি লিমিটেড নিবেদিত দিনব্যাপী এ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হকের স্মৃতির প্রতি।
সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কবিতা উৎসব উদ্বোধন করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। উদ্বোধনী আয়োজনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সভাপতি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অতিথি থাকবেন চিটাগাং জুট ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সাহাবুদ্দীন আহমেদ, দেশের বরেণ্য আবৃত্তিকার অঞ্চল চৌধুরী, নাট্যজন ও সংগঠক স্বপন মজুমদার, সংস্কৃতিজন ডা. আলী আসগর চৌধুরী, সংস্কৃতিজন ও সংগঠক ডা. এস এম সারওয়ার আলম, সাংস্কৃতিক সংগঠক সজল চৌধুরী প্রমুখ।
সকালের আয়োজনে আবৃত্তি, কবিতা ও ছড়াপাঠ পরিবেশন করবেন দেশের বরণ্যে আবৃত্তিশিল্পী, কবি ও ছড়াকাররা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শতাধিক শিশুশিল্পীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিশু প্রহর’। এতে শিশুদের কণ্ঠে থাকবে একক ও বৃন্দ পরিবেশনা।
বৈকালিক আয়োজনের শুরুতে বিকেল ৩টায় রয়েছে কবিতার গান। বিকেল সাড়ে ৪টায় থাকবে ‘চট্টগ্রাম কবিতার শহর’ শিরোনামের কথামালা পর্ব। এ পর্বে অতিথি থাকবেন কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল মালেক (কবি মালেক মুস্তাকিম) এবং সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রাম-এর সভাপতি ফারুক তাহের। উৎসবে সন্ধ্যায় আবৃত্তি করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরা এবং কবিতা ও ছড়াপাঠে থাকবেন চট্টগ্রামে বসবাসরত দেশের নন্দিত কবি ও ছড়াকাররা।
কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুক্রবার
দেশের বরেণ্য কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান শুরু হবে।
পারফর্মিং আর্ট সেন্টার, অন্যধারা, মনন সাহিত্য আসর, কণ্ঠস্বর প্রকাশনী, প্রতিবিম্ব প্রকাশ, মহাকাল এবং শব্দকুঠি সাহিত্য অঙ্গনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বারডেম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নির্বাহী প্রধান প্রফেসর ডা. এম এ রশীদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ রুহুল কবির রিজভী।
এ ছাড়া আরও থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য কবি নূরুল ইসলাম মণি, প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান, বিপণন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলমগীর, শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর, কবি মতিন বৈরাগী, ড. মাহবুব হাসান, কবি মোহন রায়হান, কবি মনজুরুর রহমান, নজরুল গবেষক ও সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াহিদা বানু, ডাইনামিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল হাসান, যশোর সমিতির মহাসচিব কথাশিল্পী মো. লুৎফর রহমান ও কবি আমিনুল ইসলাম।
জন্মবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি ও সঙ্গীতে অংশ নেবেন দেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও শিল্পীরা।
আরটিভি/টিআই
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের বরেণ্য কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিনের জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে তার জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এ সময় বন্ধু, সুহৃদ ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় তিনি সিক্ত হন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হান, প্রকাশনা সংস্থা বর্ণমালার কর্ণধার মামুন অর রশিদ, প্রকাশনা সংস্থা শেকড় এর স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান সর্দার মিলন, কবি এবিএম সোহেল রশিদ, অর্থনীতিবিদ নুরুজ্জামান মাসুদ, বিপণন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলমগীর প্রমুখ তাকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় স্টালিনকে সাংগঠনিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় জাতীয় কবিতা পরিষদ, শব্দকুঠির পরিবার, প্রিয়জন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থা ও জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ।
পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রেজাউদ্দিন স্টালিনের কবিতা সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। কালের গহ্বরে অনেকে হারিয়ে গেলেও রেজাউদ্দিন স্টালিন হারিয়ে যাননি। অর্থনীতির ছাত্র হয়েও তিনি অর্মত্য সেনের মতো কবিতা চর্চা করেছেন।
তারা আরও বলেন, গণমানুষের পক্ষে স্টালিন আরও বেশি লিখবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি দীর্ঘদিন লিখছেন। কবিতার মধ্য দিয়েই স্টালিন বেঁচে থাকবেন আজীবন। কবি ছাড়াও ব্যক্তিজীবনে স্টালিন অসাধারণ একজন মানুষ। তিনি পরোপকারী।
এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও সংগীতশিল্পীরা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন।
প্রসঙ্গত, রেজাউদ্দিন স্টালিন ১৯৬২ সালের ২২ নভেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতায় অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
আরটিভি/আইএম