পুলিশের হামলা করা স্থানকে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ নামকরণ কুবি শিক্ষার্থীদের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হামলার স্থান আনসার ক্যাম্প মোড়কে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) শিক্ষার্থীদের ওপর কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যাওয়ার সময় হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল যখন আনসার ক্যাম্প যায় তখন আন্দোলনকারীদের একজন মো. সাকিব হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের ডেকে এই চত্বরের নামকরণের ঘোষণা দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান রাস্তার পাশের একটি গাছে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ নামফলক লাগান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই চত্বরের নামকরণের স্মৃতিস্বরূপ এই চত্বরে দুটি গাছ লাগান।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে দক্ষিণ মোড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যান। দক্ষিণ মোড় থেকে বৃহস্পতিবার যেখানে পুলিশ হামলা চালায় সে রাস্তায় অবস্থান নেন। সেখানে তারা সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন এবং ১১ জুলাইয়ের হামলার প্রতিবাদে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। তারপর যে স্থানে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল এবং লাঠিপেটা করেছিল, সে স্থানকে ‘আনসার ক্যাম্প মোড়’ থেকে পরিবর্তন করে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সেখানে দুটি বৃক্ষরোপণ করে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এসে কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক ছিল, আমরা বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিলাম অবরোধ করতে। তখন আমাদের ওপর হামলা করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। আজকে আমরা দেখিয়ে দেবো শিক্ষার্থীরা কী করতে পারে। আমরা এই আন্দোলনকে আরও জোরদার করব।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছুড়েন। ফলে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা৷
মন্তব্য করুন