• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
উৎক্ষেপণের ৮ মিনিট পর ভেঙে পড়লো ইলন মাস্কের স্টারশিপ
৪৮৯ আলোকবর্ষ দূরে নতুন সৌরজগতের সন্ধান, আছে তিনটি সূর্য
মহাবিশ্বে আরও একটি নতুন সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, যার আছে তিন তিনটি সূর্য। পৃথিবী থেকে ৪৮৯ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নতুন সৌরজগতটির নাম দিয়েছেন ‘জিজি টাও-এ’। এতে ভবিষ্যৎ গ্রহ তৈরির মৌলিক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন তারা। সৌরজগতটির উৎপত্তি আনুমানিক ৫০ লাখ বছর আগে; বর্তমানে গ্রহ গঠনের প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করছে এটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এনআইএসইআর) একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী চিলির আতাকামা মরুভূমির উন্নত রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নতুন এই সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছেন। যেখানে একটি বিশাল প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্কসহ তিনটি সূর্যের অনন্য এক কাঠামো রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্যাস ও ধূলিকণার ঘূর্ণমান ডিস্কটি নতুন নক্ষত্র ও নতুন গ্রহ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করছে। এর ফলে ভবিষ্যতে গ্যাস ও ধূলিকণার বিশাল বলয় থেকে সৌরজগৎটিতে গ্রহ তৈরি হবে। বর্তমানে এটিতে থাকা তারা ও গ্রহের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চলছে। ভারতের এনআইএসইআর’র জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন লিটন মজুমদার। নাসার পরিদর্শনকারী বিজ্ঞানী তিনি। গবেষণায় প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক থেকে শনাক্ত করা আণবিক সংকেতগুলো তারার সবচেয়ে ঠান্ডা ও ঘন অঞ্চল থেকে পাওয়া গেছে, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫৭ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরটিভি/এসএইচএম
শনিবার বিরল ঘটনায় একই সরলরেখায় থাকবে পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি
সাফল্যের সঙ্গে মহাকাশে গেল ইউরোপের ভেগা-সি রকেট
এ যুগের গবেষকদেরও মুগ্ধ করা মায়া কোডেক্স
চাঁদের নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি
পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের পথে বাস্তব জগতে নানা বাধা রয়েছে। সহজেই সেই পথে এগোনোর কোনো সমাধান সূত্র বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকায় এমনই এক প্রকল্পকে ঘিরে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। চিলের আটাকামা মরুভূমিতে সেরো দোমিনাদোর নামের টাওয়ারের ওপর ১০,৬০০ আয়না সূর্যের আলো নিক্ষেপ করছে৷ সেই আলো প্রায় দশ হাজার সূর্যের শক্তির সমান। সোলার প্যানেলের বদলে আয়না সূর্যের আলো একত্র করে গলানো লবণ উত্তপ্ত করছে। পাম্পের সাহায্যে সেই মিশ্রণ টাওয়ারের উপরে পাঠানো হয়।তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছুঁতে পারে। এই প্রণালীর বৈশিষ্ট্য হলো- লবণ সেই উত্তাপ ধারণ করতে পারে এবং এভাবে টাওয়ারের নিচে টার্বাইনগুলির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে৷ এমনকি আকাশে সূর্যের আলো না থাকলেও সেই প্রক্রিয়া চলতে পারে। সেরো দোমিনাদোরের প্রতিনিধি ইবান আবেইয়া বলেন, এটা এমন এক প্রযুক্তি, যার সাহায্যে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য জ্বালানি ধারণ করতে পারি৷ দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন সেই শক্তি কাজে লাগাতে পারি। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা বিশেষ করে গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করতে পারি। পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির একমাত্র সুবিধাও তরল লবণ কেড়ে নিতে পারে। গ্যাস ও কয়লার মতো সেটিও স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য জ্বালানির উৎস, যা প্রকৃতির অস্থিরতায় ভারসাম্য আনতে পারে৷ লবণের মিশ্রণের অনুপাতের উপর সেই সাফল্য নির্ভর করে। আন্তোফাগাস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে গবেষকরা এখনো আদর্শ মিশ্রণ তৈরির লক্ষ্যে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন।স্টোরেজ ক্ষমতার আরো উন্নতি করাই তাঁদের লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাউরো এনরিকেস বলেন, বর্তমানে এমন এক মিশ্রণ ব্যবহার করা হচ্ছে, যাকে সোলার সল্ট বলা হয়। তার মধ্যে সোডিয়াম নাইট্রেট এবং পটাসিয়াম নাইট্রেট রয়েছে৷ উত্তাপ সঞ্চয়ের জন্য সেটি উপযুক্ত। সৌর শক্তি না থাকলেও ২৪ ঘণ্টাজুড়ে সেই লবণ শক্তির জোগান দিতে পারে। গ্রিন এনার্জি এখনো পর্যন্ত অর্থনৈতিক গুরুত্বহীন অঞ্চলকেও সোনার খনিতে রূপান্তরিত করতে পারে৷ এমনকি বিশ্বব্যাপী শক্তির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আনতে পারে৷ অনাড়ম্বর এক কন্টেইনার চিলেকে গ্রিন এনার্জির ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছতে সাহায্য করতে পারে৷ ছোট হলেও এটাই বিশ্বের একমাত্র ভ্রাম্যমাণ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র৷ সেই পরীক্ষামূলক কেন্দ্রটিকে মরুভূমির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বড় কারখানার জন্য আদর্শ জায়গার সন্ধান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গার সন্ধান চলছে। সিসিটেম প্রকল্পের প্রধান লিন্ডলে ম্যাক্সওয়েল বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হলো এমন এক মানচিত্র তৈরি করা, যার মধ্যে উচ্চ মানের দক্ষতাসম্পন্ন হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত থাকবে৷ সেখানে এমন জোন আঁকা থাকবে, যার মধ্যে হাইড্রোজেনের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিশেষভাবে কার্যকর হবে৷ পানি ভেঙে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন তৈরি করতে হলে শুধু অনেক জ্বালানির প্রয়োজন হয় না।সব জায়গায় বাতাস ও পানি মোটেই একই রকমের নয়। ম্যাক্সওয়েল মনে করিয়ে দেন, যে বাতাসের চাপ, তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিস্থিতি সেই প্রক্রিয়ার দক্ষতার উপর প্রভাব রাখে। চিলেতে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুতের সিংহভাগ কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসে।ভবিষ্যতে কয়লা ছাড়াই সেগুলো চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আন্তোফাগাস্তার উত্তরে আনগামোস-এ প্রথমবার এমন এক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লবণ দিয়ে চালানোর উপযুক্ত করে তোলার কাজ চলছে। গ্রিনার ক্যাপাসিটি সংস্থার কর্ণধার হোয়াকিন মেলেন্দেস বলেন, এটা গোটা বিশ্বের কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আদর্শ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রূপান্তরের পরেও কনট্রোল রুম, টার্বাইন, জেনারেটর আগের মতোই কাজে লাগানো হয়৷ সেটাই এই প্রকল্পের বড় সুবিধা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী তরল লবণের কল্যাণে ভবিষ্যতেও একই টার্বাইন চালু থাকবে। সৌরশক্তি সেই লবণকে দিনের বেলায় উত্তপ্ত করবে। এমন রূপান্তরকে বিপ্লব বলা চলে, গোটা বিশ্বের উপর যার প্রভাব পড়বে। এইএস আন্দেসের ম্যানেজার বানি বোজ্জো বলেন, সেটা সত্যি চললে ভবিষ্যতে বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। শুধু প্রযুক্তির নিরিখে দেখলে যে কোনো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লবণ চালিত কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে। তবে চিলের পরিবেশ বাকি বিশ্বের সঙ্গে হুবহু মেলে না।তা সত্ত্বেও সেখানে নতুন করে ভাবনার যে প্রক্রিয়া চলছে, তার ফলে বিশাল মাত্রায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, প্রযুক্তিগত সমাধান সূত্র এবং অবশ্যই বিনিয়োগের সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার বাইরেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। আরটিভি/এএইচ
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির (সিএসএইচএল) প্রফেসর ও গবেষক বো লির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় ক্যানসার নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে—ক্যানসার নয়, বেশির ভাগ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগে। প্রফেসর বো লি আরও বলেছেন, ‌‌এটি খুবই মারাত্মক একটি সিনড্রোম। গবেষকরা দেখেছেন যখন ক্যানসারের টিউমার— ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) নামের একটি রোগ প্রতিরোধ অণুর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তখন এটির কারণে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগ হয়। সূত্র: ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস ন্যাচার কমিউনিকেশন নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেছেন, ‌বেশিরভাগ ক্যানসার রোগীর মৃত্যু ক্যানসারের বদলে ক্যাচেক্সিয়ায় হয়। এখান থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। মূলত এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। একটি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রফেসর ও তার দল দেখেছেন, মস্তিষ্কের ‘এরিয়া পোসট্রেমা’ নামের একটি নিউরনে আইএল-৬ নামের রোগ প্রতিরোধী অণু প্রবেশে বাধা প্রধান করলে ইঁদুরের মধ্যে ক্যাচেক্সিয়া হয় না। প্রফেসর বো লি জানান, ভবিষ্যতে এসব নিউরন লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে ক্যানসার ক্যাচেক্সিয়াকে একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগে পরিণত করা যাবে। গবেষকরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে আইএল-৬ উৎপাদিত হওয়ায় ক্যানসার এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যেটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ ও প্রাণী খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবে। অপরটি হলো ক্যাচেক্সিয়া হওয়া।  তার আরও জানান, সুস্থ রোগীদের মধ্যে আইএল-৬ একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এই অণু পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো হুমকির সঙ্গে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে— তখন এটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে মস্তিষ্ককে সতর্ক করে দেয়।
কানাডার আকাশে ‘এলিয়েন’র মতো ওটা কী দেখলেন দম্পতি
পৃথিবীর বাইরেও কি প্রাণ আছে? মানুষের মতো বা মানুষের চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণীদের গ্রহ রয়েছে? এই জল্পনা বহুদিনের। এলিয়েন বা ভিন গ্রহীদের পৃথিবীতে আগমন নিয়ে বিজ্ঞানমহলে বহু জল্পনা-কল্পনা থাকলেও এতদিন কোনো চাক্ষুস প্রমাণ মেলেনি। যদিও বহু বিজ্ঞানী এমন দাবি করেছেন, এলিয়েনরা আছে! কিন্তু এলিয়েনরা থাকলেও পৃথিবীর কোথায় থাকে তারা? অনেক বিজ্ঞানীদের দাবি, এলিয়েনরা বারবার পৃথিবীতে আসে মানুষ দেখতে। যদিও এটি একটি রহস্য হয়েই রয়ে গেছে। তবে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই কানাডার আকাশে দেখা গেল অদ্ভুত এক দৃশ্য। গত (১৪ মে) কানাডার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ফোর্ট আলেক্সান্ডার ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্টেভেনসন ও তার স্ত্রী ড্যানিয়েলা ড্যানিয়েলস। হঠাৎই পাশের উইনিপেগ নদীর ওপর হলুদ রঙের উজ্জ্বল দুটি আলোর গোলক দেখতে পান তারা। সেগুলো থেকে আলো বের হচ্ছিল। ৪৯ বছর বয়সী স্টেভেনসন সঙ্গে সঙ্গে ওই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে থাকেন। তার মনে হতে থাকে, তিনি হয়তো বহির্জাগতিক কোনো কিছুর সাক্ষী হচ্ছেন। পরে স্টেভেনসনের স্ত্রী ড্যানিয়েলা ভিডিও ফুটেজটি অনলাইনে পোস্ট করেন। ভিডিওতে স্টেভেনসনকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা কী? আমার মনে হচ্ছে আমরা কয়েকটি এলিয়েন দেখছি।’ চোখ কপালে তোলা ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সূর্যের মতো দেখতে দুটি উজ্জ্বল গোলক উত্তর পাড় থেকে নদীর ওপর দিয়ে উড়ে দক্ষিণ পাড়ের দিকে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড পর মেঘের আড়াল থেকে আরও দুটি গোলক বের হয়ে আসে। স্টেভেনসনের মনে হতে থাকে, উড়ন্ত যেসব বস্তু তিনি দেখেছেন, সেগুলো পৃথিবীর নয়। কেনেডি নিউজ অ্যান্ড মিডিয়াকে স্টেভেনসন বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, আমরা সাই-ফাই সিনেমা দেখছি। সেগুলো ছিল খুবই উজ্জ্বল, মনে হচ্ছিল আকাশে আগুন জ্বলছে।’ এই কানাডীয় বলেন, ‘আমার আগে এসবে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু এটা আমাকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিয়েছে। আমি এখন বিশ্বাস করি, মানুষের বাইরেও অন্য কিছু রয়েছে।’ ৩২ বছর বয়সী ড্যানিয়েলস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করেন। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৬ লাখ ৫০ হাজার বারের বেশি দেখা হয়ে গেছে। সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট
চমক লাগানো ১২৫ সিসির নতুন বাইক আনছে বাজাজ 
বাজারে ১২৫ সিসির নতুন মোটরসাইকেল আনছে বাজাজ। এই বাইকটি টেক্কা দেবে হিরো এক্সট্রিম ১২৫ এবং টিভিএস রেইডারকে।  বাইকের বেশ কিছু স্পাই শটও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে পাওয়া যাবে এলইডি লাইটিং এবং ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, যা পালসার এন১৬০ ও এন১৫০ বাইকেও রয়েছে। এটি পালসার ১২৫-এর মতোই স্পেসিফিকেশন নিয়ে আসতে চলেছে। তবে ইঞ্জিনের শক্তি ও টিউনিং আলাদা হতে চলেছে। বাইকটির সামনে থাকবে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকবে ড্রাম ব্রেক। এই বাইকে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) পাওয়া যাবে এবং থাকবে উন্নত সাসপেনশন সিস্টেম। বাইকে মিলবে ডায়মন্ড ফ্রেম চেসিস। যেহেতু হিরো এক্সট্রিমেও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে তাই সেই ফিচার রাখতে এই বাইকেও পাবেন একই বৈশিষ্ট্য। বর্তমান বাজাজ পালসার ১২৫ এবং এনএস ১২৫-এর দাম ভারতে ৯০ হাজার ৭৭১ রুপি এবং ১ লাখ রুপি (এক্স-শোরুম)। আশা করা হচ্ছে, দুই দামের মাঝামাঝি থাকতে পারে নতুন বাজাজ পালসার এন১২৫। কারণ হিরো এক্সট্রিম এবং টিভিএস রেইডার দুই বাইকেরই এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ১ লাখ রুপির কম।
আকাশে এক সারিতে দাঁড়াবে ৬ গ্রহ, খালি চোখেই দেখা যাবে আজ
পরপর ৬টি গ্রহকে একই সারিতে দেখার বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এ দৃশ্য। একই সারিতে আসবে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়।  গত ৩১ মে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সারিতে বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল, ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহকে সবচেয়ে ভালো করে দেখা যাবে ৩ জুন। তবে এরপরেও দেখা যাবে।  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের ছয়টি গ্রহ কাছাকাছি আসতে চলেছে। পৃথিবী থেকে এই ছয়টি গ্রহকে এক সারিতে দেখা যাবে। এই দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও। প্রায় এক সারিতে অবস্থান করবে গ্রহগুলি। এরকমভাবে এক সারিতে একাধিক গ্রহঅবস্থান করলে তাকে মহাজাগতিক পরিভাষায় বলা হয় ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’। এতে গ্রহগুলি এত কাছাকাছি চলে আসে যে পৃথিবী থেকে তাদের একসারিতে মনে হয়। ৩ জুন থেকে পরিষ্কার আকাশে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৩ জুনের আগেই সূর্যের অনেকটা কাছে চলে আসবে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। তার পাশে আর কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বুধ। তারপর একে একে অন্য গ্রহগুলিকেও দেখা যাবে ওই সারিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট’ দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হল ভোররাত। অর্থাৎ সূর্য ওঠার ঠিক আগে। ওই সময় আকাশের পূর্ব দিকে তাকালে শনি গ্রহ দেখা যাবে। হালকা হলুদ আভা থাকবে তাতে। শনির ঠিক নীচে দেখা যাবে লাল রঙের মঙ্গল গ্রহকে। পূর্ব দিগন্ত থেকে ১০ ডিগ্রিরও কম উচ্চতায় দেখা যাবে বুধকে। মঙ্গলের সামনে থাকবে বৃহস্পতি। আর সারির শেষদিকে থাকবে ইউরেনাস এবং নেপচুন। এই দুটি গ্রহের খালি চোখে দেখা পাওয়া যাবে না। এছাড়া শুক্র গ্রহ সূর্যের অনেক কাছাকাছি থাকায় সেটাও দেখা যাবে না। এই ছয় গ্রহর সঙ্গে থাকবে চাঁদও।’ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মেঘমু্ক্ত আকাশ থাকলে সূর্য ওঠার ২০ মিনিট আগে একে একে গ্রহগুলি পূর্ব দিকে দৃশ্যমান হবে। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা আকাশে মেঘ থাকলে তা দেখা যাবে না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন সারিবদ্ধ পরিস্থিতিতে গ্রহগুলিকে স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে অনেকটা বড় দেখানোর তথ্য সঠিক নয়। নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই থাকে গ্রহগুলি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেই এই দৃশ্য দেখা যাবে আগামী কয়েকদিন।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার নতুন উপায়
প্লাস্টিক পণ্য শুধু তখনই রিসাইকেল করা যায় যখন সেটি একই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়৷ কিন্তু বেশিরভাগ প্যাকেজিংয়ে কয়েক ধরনের প্লাস্টিক থাকে৷ সে কারণে রিসাইকেল করতে চাইলে আগে বিভিন্ন প্লাস্টিক আলাদা করতে হয়৷ কীভাবে সেটা করা হয়? প্রথমে বর্জ্য টুকরো করেন সামান্থা ও তার দল৷ এরপর তাদের তৈরি গোপন এক রাসায়নিক মিশ্রণে সেগুলো মেশান৷ অন্য দুই সহকর্মী বার্দিয়া ভালিজাদেহ ও ক্রিস্টোফার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে মিলে গোপন রিএজেন্টটি উদ্ভাবন করেছেন সামান্থা অ্যান্ডারসন৷ তারা তাদের উদ্ভাবনকে এখন ব্যবসায় পরিণত করছেন৷ সামান্থাদের প্রোটোটাইপ একটা প্ল্যান্টে আছে৷ সেখানে তাদের একটা ঘর আছে, যেখানে তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি, পরীক্ষা ও তার মান উন্নয়ন করতে পারে৷ টেরেফথ্যালিক এসিড, যেটা পিইটি তৈরির মূল উপাদান, সেটা এই ফিল্টারে ধরা হয়৷ সামান্থা অ্যান্ডারসন বলেন, মিশ্রণে যদি পিইটি, আর পিভিসি থাকে, তাহলে বিক্রিয়াটা পিইটি প্লাস্টিককে লক্ষ্য করে হয়৷ বিক্রিয়ায় সময় পিভিসি প্রতিক্রিয়া দেখায় না, পিইটি দেখায়৷ সে কারণে আমরা আসলে পিইটি থেকে বিভিন্ন কঠিন পদার্থ পৃথক করতে পারি এবং তারপর আমরা পিইটি থেকে মনোমার পৃথক করতে পারি৷ এরপর মিশ্রণটা ছেঁকে নেওয়া হয়, যেটা নতুন প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান৷ শেষে যা তৈরি হয়, তা হচ্ছে সাদা পাউডার৷ এটাকে (সাদা পাউডার) বলে বিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক এসিড৷ বর্তমানে এটা তেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া যায়৷ অপরিশোধিত তেল একটা শোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সেখান থেকে এই সাদা পাউডার পাওয়া যায়৷ এই পাউডার দিয়ে যে-কোনো ধরনের পিইটি পণ্য, পলিয়েস্টার, যে-কোনো ধরনের প্লাস্টিক, যার মধ্যে টেরেফথ্যালিক এসিড, তৈরি করা যায়৷ আর এখন আমরা তেল থেকে না করে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এটা বানাতে পারছি৷ কিন্তু কেমিক্যাল রিসাইক্লিং কি টেকসই? সামান্থা বলেন, এটা নিরাপদ হতে পারে৷ আসলে আমরা যে রাসায়নিক ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগের সংস্পর্শেই হয়ত আপনি নিয়মিত আসছেন৷ এটা হয়ত রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ হয়ত টুথপেস্টে আছে৷ ফলে এটা নিরাপদ হতে পারে, টেকসই হতে পারে৷ এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার বিষয়, যেটা আমরা বের করেছি৷ এটাই আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব, কারণ রসায়নটা খুব সাধারণ৷ তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান৷
দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
দারুণ সব ফিচার নিয়ে দুর্দান্ত রেঞ্জের এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনলো অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একবার ফুল চার্জেই ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম স্কুটারটি, ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতের বাজারে। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার রুপি দামে।  লম্বা পথ পাড়ি দিতে স্কুটারটিতে যুক্ত করা হয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মে মাসের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই শুরু হবে এর ডেলিভারি।  ইলেকট্রিক এ স্কুটারটি দুইটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একটি বেস মডেল যার নাম ইএক্স। অন্যটি টপ মডেল এসটি। বেস মডেলটি ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে মিললেও টপ মডেলটির জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার রুপি। স্কুটারটি পাওয়া যাবে চারটি রঙে- জান্সকার অ্যাকুয়া, লুনার হোয়াইট, ইন্ডিয়ান রেড এবং স্টিল গ্রে। স্কুটারটিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে, ৩.৩ কিলোওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৪ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে তা। একবার ফুল চার্জে ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম ব্যাটারিটি। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এতে চারটি রাইডিং মোড রয়েছে- ইকো, সিটি, পাওয়ার এবং লিম্প হোম। ১৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলেও স্কুটারটিকে চালানো যাবে বলে দাবি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকটি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অবশ্য ফাস্ট চার্জিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এতে। অ্যাম্পিয়ার নেক্সাসের এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার রুপির এসটি মডেলটিতে গ্রাহকরা পাবেন ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। আর বেস মডেলে মিলবে ৬.২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। স্কুটারে মিউজিক কন্ট্রোল এবং চার্জিং স্টেটাসও দেখা যাবে। নতুন এই স্কুটারটিতে সিটের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭৬৫ মিলিমিটার। সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং ও ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেনসের পাশাপাশি ২৩৫ মিলিমিটার ফ্লোরবোর্ড স্পেস রাখা হয়েছে এতে। মূলত পরিবার-কেন্দ্রিক একটি বাইক নির্মাণের প্রচেষ্টা থেকেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বাজারে এনেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সবাই যেন চালাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার।