• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মহাকাশে ডিনার করতে গুণতে হবে যত টাকা
নির্মল জ্বালানির উৎস হতে পারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সন্ধানে হাইড্রোজেন অন্যতম সম্ভাবনাময় উৎস৷ কিন্তু সেই জ্বালানি উৎপাদনের ঝক্কি কম নয়৷ এবার মাটির নীচে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার কাজে লাগানোর উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ পৃথিবীর গভীরে প্রচুর হাইড্রোজেন জমা রয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির নীচে এমন ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করা হয়৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের এই ভাণ্ডার কি আমাদের চাহিদা মেটাতে টেকসই এক স্বর্ণখনির মতো হয়ে উঠতে পারে? যান চালাতে পেট্রোল ও ডিজেলের বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়৷ ইস্পাত ও রসায়ন শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতেও সেই সম্পদ কাজে লাগানো যায়৷ কারণ কম্বাসচন প্রক্রিয়ার পর সে ক্ষেত্রে শুধু পানি অবশিষ্ট থাকে৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন আমাদের গ্রহের কার্বন নির্গমন নাটকীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে৷ তা সত্ত্বেও এই উৎস কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? ভূতত্ত্ববিদ ও স্টার্টআপ উদ্যোগপতি এরিক গোশের মনে করেন, পৃথিবীতে এখনো ভালোভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়নি৷ মাটির গভীরে এখনো অনেক কিছু অজানা থেকে গেছে৷ মানুষ নিজেকে সবজান্তা মনে করলেও বাস্তবে সেটা ঠিক নয়৷ গ্রহের একটা বড় অংশে কোনো অন্বেষণ হয়নি৷ এরিক গোশের বহু বছর ধরে হাইড্রোজেনের প্রাকৃতিক উৎসের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে পিরেনিস পর্বতমালায় এমন এক উৎস রয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কিছু প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে, কারণ ভূপৃষ্ঠে তার কিছুটা বেরিয়ে আসছে৷ এমন সিপেজ বড় ফাটল বা টেকটনিক ফল্টের মধ্যে দেখা যায়৷ অর্থাৎ, একটি এলাকার গভীরে সীমাবদ্ধ৷ আমরা সেই এলাকাকে কিচেন বলি৷ মাটির গভীরে সেই কিচেন-এ হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে৷ ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে কিচেনের লৌহঘটিত শিলার সংস্পর্শে আসে৷ তখন হাইড্রোজেন বেরিয়ে এসে সেখানে জমা হয়৷ এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি এমন হাইড্রোজেনের উৎস কাজে লাগানো হয়েছে৷ পশ্চিম আফ্রিকার এক গ্রামের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে একটি জেনারটর হাইড্রোজেন শক্তিতে চলছে৷ লাইবনিৎস ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. রুডলফো ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, মালিতে মাটির অগভীরে বিশাল পরিমাণে হাই কনসেন্ট্রেশন হাইড্রোজেন পাওয়া গেছে৷ প্রায় ১০০ থেকে ২০০ মিটার নীচেই সেই ভাণ্ডার রয়েছে৷ অন্যান্য দেশেও সেই প্রক্রিয়া নকল করে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে ইলেকট্রিক গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করাই আমাদের উদ্দেশ্য৷ ফেয়ারি সার্কেল বলে পরিচিত এমন রিং হাইড্রোজেন ভাণ্ডারের ইঙ্গিত দেয় ড. ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, হাইড্রোজেন বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে এমন কাঠামো সৃষ্টি করে৷ স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে আমরা এমন কাঠামো চিহ্নিত করতে পারি৷ জানতে পারি, মাটির নীচে ঠিক কোথায় হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে বা অতীতে ঘটেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি হাইড্রোজেনের সন্ধানে ড্রিলিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ মোটা মুনাফার আশায় বিনিয়োগকারীরা সেই কাজে কোটি কোটি ডলার ঢালছেন৷ স্টার্টআপ উদ্যোগপতি ভিয়াচেস্লাভ জগোনিক বলেন, মাটির নীচ থেকে হাইড্রোজেন যে উত্তোলন করা যায়, সেটা হাতেনাতে দেখানোই ছিল ড্রিলিং-এর মূল কারণ৷ কারণ অনেক বিনিয়োগকারী ও অন্যান্যরা আমাকে বলেছেন, যে এত সহজে এমন সাফল্য তাদের অভাবনীয় মনে হচ্ছে৷ সেটা যে আদৌ সম্ভব, তা সবার আগে দেখিয়ে দিতে বলেছেন তাঁরা৷ কেউ বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কার করে মোটা অংকের অর্থ লাভ করতে পারেন৷ বিষয়টা অনেকটা পেট্রোলিয়াম যুগের সূচনার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ কিন্তু এর আগে কেউ কখনো সেই চেষ্টা না করায় হাইড্রোজেনের জন্য ড্রিলিং বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷
কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার
অর্ধশতাব্দী পর চন্দ্রাভিযানে সাফল্য এলো যুক্তরাষ্ট্রের
৫০ বছর পর ফের চাঁদের পিঠে নামছে মার্কিন মহাকাশযান
সব ঝিনুকে মুক্তা না থাকার রহস্য জানেন কি
মুক্তার সৌন্দর্য্য যে কাউকে আকৃষ্ট করে। মুক্তার তৈরি বিভিন্ন গয়না পরতেও পছন্দ করেন অনেকেই। একটা ঝিনুক যাকে বাইরে থেকে দেখতে মোটেই অবাক করার মতন কিছু মনে হয় না। কিন্তু তার ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসে ঝলমলে মুক্তা। সব ঝিনুকেই যে মুক্তো থাকবে, তা কিন্তু নয়। তবে ঝিনুকের মধ্যে কীভাবে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় মুক্তা, তা জানেন কি? ঝিনুকের ভেতরে মুক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি জানলে অবাক হতে পারেন। ঝিনুকের পেটে যেভাবে তৈরি হয় মুক্তা- সাগরে শামুকের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। যার পেটে মুক্তা থাকে, কিন্তু তা থেকে কীভাবে মুক্তা উৎপন্ন হয়, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। শামুক নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি খুব শক্তিশালী খোসার মধ্যে বাস করে এবং এই খোলসটিকে ঝিনুক বলা হয়। যখন হাজার হাজারের মধ্যে একটি বা দুটি ঝিনুকের খোসার মধ্যে একটি ছিদ্র থাকে, তখন বালির কণা তার ভেতরে যায়। এমন অবস্থায় ঝিনুকের ভেতরে বালির কণাগুলোকে এক বিশেষ ধরনের পদার্থ লেপ দিতে শুরু করে। এই বিশেষ পদার্থটিকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট বলা হয় এবং এটি সেই জীবের ভিতরেই উৎপন্ন হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি সাদা রঙের চকচকে গোলাকার আকৃতির পাথরে পরিণত হয় যাকে মুক্তা বলে। ঝিনুকের অভ্যন্তরে থাকা বালির কণা যখন শামুককের মধ্যে বিক্রিয়া করে, তখন তা থেকে এক ধরনের তরল চর্বিযুক্ত পদার্থ বের হয়। মুক্তা গঠন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।  বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন অনুকূল আবহাওয়া, দেশজুড়ে অসংখ্য পুকুর জলাশয় থাকায় আর উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় মুক্তা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। মুক্তা একটি মূল্যবান রত্ন হিসেবে পরিচিত যা সাধারণত গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে এর বাইরেও কিছু রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয় বলে জনশ্রুতি আছে। মুক্তার একমাত্র উৎস হলো ঝিনুক। এক সময় প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুকে মুক্তা উৎপন্ন হতো আর সেগুলো আহরণ করে মুক্তা সংগ্রহ করত জেলে বা চাষিরা। কিন্তু পরে মুক্তা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষের বসতি গড়বেন মাস্ক!
মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়া নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে বিগত কয়েক দশক ধরেই। এরপরও একজন মানুষও পাঠানো যায়নি এখন পর্যন্ত। তাই বলে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতির সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহে ভাটা পড়েনি পৃথিবীবাসীর। আর সেই সম্ভাবনা ও স্বপ্নের পালে হাওয়া দিয়ে চলেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।  বছর দুয়েক আগে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে জানালেও এবার জানালেন, মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনে এত বছর অপেক্ষা নাও করতে হতে পারে বিশ্ববাসীকে। বললেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করবেন তিনি। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই পরিকল্পনার কথা জানান ইলন মাস্ক। লাল মাটির মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে চান জানিয়ে বলেন, ‘এক সময় এই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু মঙ্গলে মানুষ থাকতে পারবে দীর্ঘদিন।’  এমন এক সময়ে ইলন মাস্ক এ কথা বললেন যখন তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের সক্ষমতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। মূলত সামাজিক মাধ্যমে তোলা এসব প্রশ্নের উত্তরেই মঙ্গলে বসতি স্থাপনের কথা জানান মাস্ক। নিজের নতুন রকেটটিকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। টুইটে মাস্ক বলেন, মঙ্গলে আমাদের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে আমরা পূরণ করতে পারব। একদিন পরিস্থিতি এমন হবে, মঙ্গলে যাওয়া হয়ে যাবে পাশের দেশে ঘুরতে যাওয়ার মতো।  মঙ্গল গ্রহ নিয়ে এমন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন মাস্ক। এবারের মন্তব্যের পর তার স্পেসএক্স কার্যক্রমে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।   এর আগে গত সপ্তাহেই ইলন মাস্ক দাবি করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তার স্টারশিপ মঙ্গলে যেতে সক্ষম হবে।   
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অকেজো স্যাটেলাইট
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে দু’চিন্তায় রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। তবে কবে কোথায় স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। কেননা স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। স্যাটেলাইটটির অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল। পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। এটি ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করে। সে সময় এটি ছিল ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বার্তায় ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরেই স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। বার্তায় আরো বলা হয়, কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না এসব টুকরায়। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে। তাই ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।  
ডাবের ভেতরে পানি কোথা থেকে আসে জানেন কি? 
ডাব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডাব খেতে ভালবাসেন প্রায় সকলেই৷ কিন্তু, ডাবের পানি খেতে খেতে কি কখনও মনে হয়েছে এতো উঁচু গাছে ডাব তার মধ্যে পানি আসে কী ভাবে বা কোথা থেকে? সকলেই জানেন ডাবের পানিতে পেট ঠান্ডা হয়। একে প্রাকৃতিক স্যালাইন ওয়াটাও বলা হয়। গরমে ডাব শরীরকে স্বস্তি দেয়৷ আরও পড়ুন : বলিউড নিয়ে মীরার বিস্ফোরক মন্তব্য   আসলে ডাবের ভিতর যে পানি আসে তা গাছের এন্ডোস্পার্মের অংশ। নারকেল গাছ তার ফলকে পানি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। নারকেল গাছ শিকড় দিয়ে নিজের ভেতরে পানি টেনে নেয়। এই প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ বলা হয়। এর মাধ্যমে ডাব গাছের প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছায়। আরও পড়ুন : স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা   এন্ডোস্পার্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পানি ডাবের ভেতরে যায়। এই পানির কিছু অংশ থেকে ধীরে ধীরে শাঁস তৈরি হয়। পরে এটি নারকেল হয়ে যায়। তবে পরিপক্ক নারকেল হয়ে গেলেও এতে কিছুটা জল থেকেই যায়।