• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
এ যুগের গবেষকদেরও মুগ্ধ করা মায়া কোডেক্স
চাঁদের নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা
মানুষ ভবিষ্যতে চাঁদ ও অন্যান্য উপযুক্ত গ্রহ-উপগ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু নির্মাণ ও জ্বালানি উৎপাদনের উপকরণ পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া অবাস্তব হবে। তাই চাঁদের উপকরণ কাজে লাগানোর মহড়া চলছে। চাঁদের ধূলিকণা কাজে লাগিয়ে কীভাবে কাঁচ বা ইট তৈরি করা সম্ভব, বার্লিনে গবেষকরা তা জানার চেষ্টা করছেন। কারণ পৃথিবী থেকে চাঁদে এমন উপকরণ নিয়ে যাওয়ার ব্যয় মারাত্মক রকম বেশি। এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রো. এনরিকো স্টল বলেন, অনেক সংস্থা সত্যি চাঁদে মালপত্র সরবরাহ করতে চায়। চাঁদে এক কিলো মাল পাঠানোর জন্য তারা দশ লাখ ইউরো মাসুল চাইছে। পৃথিবীর বুকে চাঁদের ধূলিকণার মতো পদার্থ সৃষ্টি করার জন্য প্রয়োজনীয় বেজাল্ট এবং ফেল্ডস্পারের মতো উপকরণ আগ্নেয়গিরির কাছে পাওয়া যায়। তবে সেগুলি যতটা সম্ভব শুকনা হতে হবে। এক ভ্যাকুয়াম চেম্বারের মধ্যে ১,৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করলে সেই উপকরণ অনেকটা লাভার মতো রূপ নেয়। গলানো সেই পদার্থের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বার্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমন স্টাপারফেন্ড বলেন, এর বিশেষত্ব হলো, এর আগে কেউ এমনটা করেনি। আমরাই প্রথম ভ্যাকুয়ামের মধ্যে সেটা করতে পেরেছি। এটা সত্যি বড় সাফল্য৷ প্রাথমিক স্তরে আমরা বাসস্থান, অর্থাৎ, বাড়িঘর, সোলার সেলের কাঠামো ইত্যাদি গড়ে তুলতে চাই। তবে এর কোনো সীমা নেই। মুনডাস্ট আরো দানাদার৷ পৃথিবীর মতো সেই ধূলিকণা তত মিহি নয়। বার্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুলিয়ান বাশ জানান, আমাদের হাতে দুটি মৌলিক উপাদান রয়েছে, অর্থাৎ, বেসাল্টিক উপাদান এবং অ্যানোর্টোসাইট উপাদান। কিন্তু দুইয়ের মিশ্রণে চাঁদের জন্য উপযুক্ত নির্দিষ্ট বেস সৃষ্টি করা যায়। মুনডাস্টের মধ্যে একেবারেই কোনো পানি নেই। তা সত্ত্বেও দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেটি দিয়ে ইট তৈরি করা সম্ভব। বার্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেফান লিংকে বলেন, যে চুলায় সেই ইট উৎপাদন করা হবে, সেটি আমাদের পৃথিবী থেকে নিয়ে যেতে হবে। এমন ওভেনের ওজন সম্ভবত ১০০ কিলোর মতো হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন, সেটি কত টন উপাদান প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন করতে পারবে। চাঁদের বুকে জ্বালানি উৎপাদনও অন্তত কাগজেকলমে সম্ভব। সেখানে সূর্যের আলো বেশ প্রখর, আকাশে কোনো মেঘ নেই৷ ফলে সোলার সেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। বার্লিনের ছাত্ররা ইটের পাশাপাশি কাঁচও সৃষ্টি করতে সফল হয়েছেন। সেই কাঁচের মধ্য দিয়ে যতটা সম্ভব আলো চলাচল জরুরি। সেটিকে তখন সোলার সেলে রূপান্তরিত করা যাবে। পট্সডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই কাজ চলছে৷ কাচ যতটা সম্ভব চিকন ও স্বচ্ছ হতে হবে। সেখানকার পদার্থবিদ ফেলিক্স লাং বলেন, আমরা মুনগ্লাসের উপর পেরোভস্কাইট সোলার সেল তৈরি করতে চাই। অর্থাৎ সেখানেই উপাদান গলিয়ে কাঁচ উৎপাদন করা হবে এবং তার উপর শুধু এক মাইক্রো-মাইক্রোমিটার পেরোভস্কাইট স্তর বসানো হবে। পেরোভস্কাইট এমন এক কৃত্রিম স্ফটিকের মতো উপাদান, যা একটি দ্রাবকের মধ্যে দ্রবীভূত করা যেতে পারে। কোনো ভ্যাকুয়াম চেম্বারে সেটিকে কাচের উপর সমানভাবে স্প্রে করাও সম্ভব। তারপর আরো কম তাপমাত্রায় তামাও প্রয়োগ করা হবে। প্রচলিত সিলিকনের তুলনায় পেরোভস্কাইটের অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেলিক্স লাং বলেন, মহাকাশে মহাজাগতিক রশ্মি প্রতিবারই একটি পরমাণুকে তার অবস্থান থেকে ছিটকে বার করে দেয়। সেটা আসলে একটা ত্রুটি। এর ফলে সোলার সেল বিকল হয়ে যায়। পেরোভস্কাইট এতই নরম, যে একটি পরমাণু ছিটকে বেরিয়ে গেলেও আবার সেটি আগের অবস্থানে ফিরে আসে। ফলে মহাকাশে কয়েক দশক ধরে এর কার্যকারিতা অটুট থাকে। চূড়ান্ত সোলার সেল দুটি কাচের প্লেট দিয়ে তৈরি, যার মাঝে পেরোভস্কাইটের একটা স্তর রয়েছে। এবার সেটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার পালা। ভ্যাকুয়ামের মধ্যে সেই সোলার সেল কৃত্রিম সূর্যের দিকে তাক করা হলো। কয়েক মূহূর্ত পর সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলো। পট্সডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ফেলিক্স লাং বলেন, আমরা এক কিলো পেরোভস্কাইট চাঁদে নিয়ে যেতে পারলে, সেটা দিয়ে ৪০০ বর্গ মিটার বড় স্তর সৃষ্টি করা যাবে, যা তিনটি ভলিবল কোর্টের সমান। সেখানে ৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদার্পণের প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর মানুষ আরো বড় স্বপ্ন দেখছে। তারা চাঁদে বসবাস করতে চায়। আরটিভি/এএইচ
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
চমক লাগানো ১২৫ সিসির নতুন বাইক আনছে বাজাজ 
আকাশে এক সারিতে দাঁড়াবে ৬ গ্রহ, খালি চোখেই দেখা যাবে আজ
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার নতুন উপায়
প্লাস্টিক পণ্য শুধু তখনই রিসাইকেল করা যায় যখন সেটি একই ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়৷ কিন্তু বেশিরভাগ প্যাকেজিংয়ে কয়েক ধরনের প্লাস্টিক থাকে৷ সে কারণে রিসাইকেল করতে চাইলে আগে বিভিন্ন প্লাস্টিক আলাদা করতে হয়৷ কীভাবে সেটা করা হয়? প্রথমে বর্জ্য টুকরো করেন সামান্থা ও তার দল৷ এরপর তাদের তৈরি গোপন এক রাসায়নিক মিশ্রণে সেগুলো মেশান৷ অন্য দুই সহকর্মী বার্দিয়া ভালিজাদেহ ও ক্রিস্টোফার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে মিলে গোপন রিএজেন্টটি উদ্ভাবন করেছেন সামান্থা অ্যান্ডারসন৷ তারা তাদের উদ্ভাবনকে এখন ব্যবসায় পরিণত করছেন৷ সামান্থাদের প্রোটোটাইপ একটা প্ল্যান্টে আছে৷ সেখানে তাদের একটা ঘর আছে, যেখানে তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি, পরীক্ষা ও তার মান উন্নয়ন করতে পারে৷ টেরেফথ্যালিক এসিড, যেটা পিইটি তৈরির মূল উপাদান, সেটা এই ফিল্টারে ধরা হয়৷ সামান্থা অ্যান্ডারসন বলেন, মিশ্রণে যদি পিইটি, আর পিভিসি থাকে, তাহলে বিক্রিয়াটা পিইটি প্লাস্টিককে লক্ষ্য করে হয়৷ বিক্রিয়ায় সময় পিভিসি প্রতিক্রিয়া দেখায় না, পিইটি দেখায়৷ সে কারণে আমরা আসলে পিইটি থেকে বিভিন্ন কঠিন পদার্থ পৃথক করতে পারি এবং তারপর আমরা পিইটি থেকে মনোমার পৃথক করতে পারি৷ এরপর মিশ্রণটা ছেঁকে নেওয়া হয়, যেটা নতুন প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান৷ শেষে যা তৈরি হয়, তা হচ্ছে সাদা পাউডার৷ এটাকে (সাদা পাউডার) বলে বিশুদ্ধ টেরেফথ্যালিক এসিড৷ বর্তমানে এটা তেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওয়া যায়৷ অপরিশোধিত তেল একটা শোধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সেখান থেকে এই সাদা পাউডার পাওয়া যায়৷ এই পাউডার দিয়ে যে-কোনো ধরনের পিইটি পণ্য, পলিয়েস্টার, যে-কোনো ধরনের প্লাস্টিক, যার মধ্যে টেরেফথ্যালিক এসিড, তৈরি করা যায়৷ আর এখন আমরা তেল থেকে না করে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এটা বানাতে পারছি৷ কিন্তু কেমিক্যাল রিসাইক্লিং কি টেকসই? সামান্থা বলেন, এটা নিরাপদ হতে পারে৷ আসলে আমরা যে রাসায়নিক ব্যবহার করছি তার বেশিরভাগের সংস্পর্শেই হয়ত আপনি নিয়মিত আসছেন৷ এটা হয়ত রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ হয়ত টুথপেস্টে আছে৷ ফলে এটা নিরাপদ হতে পারে, টেকসই হতে পারে৷ এটা শুধু সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার বিষয়, যেটা আমরা বের করেছি৷ এটাই আমাদের প্রযুক্তির বিশেষত্ব, কারণ রসায়নটা খুব সাধারণ৷ তারা তাদের কেমিক্যাল রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান৷
দুর্দান্ত ফিচারে এলো নতুন ই-স্কুটার, এক চার্জেই চলবে ১৩৬ কিলোমিটার
দারুণ সব ফিচার নিয়ে দুর্দান্ত রেঞ্জের এক ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনলো অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একবার ফুল চার্জেই ১৩৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম স্কুটারটি, ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে ভারতের বাজারে। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার রুপি দামে।  লম্বা পথ পাড়ি দিতে স্কুটারটিতে যুক্ত করা হয়েছে ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। মে মাসের দ্বিতীয় ধাপ থেকেই শুরু হবে এর ডেলিভারি।  ইলেকট্রিক এ স্কুটারটি দুইটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। একটি বেস মডেল যার নাম ইএক্স। অন্যটি টপ মডেল এসটি। বেস মডেলটি ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে মিললেও টপ মডেলটির জন্য খরচ করতে হবে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার রুপি। স্কুটারটি পাওয়া যাবে চারটি রঙে- জান্সকার অ্যাকুয়া, লুনার হোয়াইট, ইন্ডিয়ান রেড এবং স্টিল গ্রে। স্কুটারটিতে যে ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে, ৩.৩ কিলোওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৪ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করতে পারে তা। একবার ফুল চার্জে ১৩৬ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম ব্যাটারিটি। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এতে চারটি রাইডিং মোড রয়েছে- ইকো, সিটি, পাওয়ার এবং লিম্প হোম। ১৬ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলেও স্কুটারটিকে চালানো যাবে বলে দাবি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাকটি চার্জ হতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অবশ্য ফাস্ট চার্জিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এতে। অ্যাম্পিয়ার নেক্সাসের এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার রুপির এসটি মডেলটিতে গ্রাহকরা পাবেন ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন। আর বেস মডেলে মিলবে ৬.২ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। স্কুটারে মিউজিক কন্ট্রোল এবং চার্জিং স্টেটাসও দেখা যাবে। নতুন এই স্কুটারটিতে সিটের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭৬৫ মিলিমিটার। সম্পূর্ণ এলইডি লাইটিং ও ১৭০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেনসের পাশাপাশি ২৩৫ মিলিমিটার ফ্লোরবোর্ড স্পেস রাখা হয়েছে এতে। মূলত পরিবার-কেন্দ্রিক একটি বাইক নির্মাণের প্রচেষ্টা থেকেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি বাজারে এনেছে অ্যাম্পিয়ার নেক্সাস। নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সবাই যেন চালাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার।  
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
কোটি কোটি মানুষ সোমবার উত্তর আমেরিকার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলেন। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনায় এদিন বিশালকার সূর্যকে ঢেকে ফেলে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকার চন্দ্র। এক পর্যায়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আর হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। খবর বিবিসি ও এপির। সোমবার উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা গেছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেশ তিনটির ১৫৫ মাইল প্রশস্ত কিন্তু ৪০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা ফিতার মতো একটি ভূখণ্ডজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ বিরল এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। মেক্সিকোর মাজাতলান শহরের উষ্ণ বালুর সৈকত থেকে শুরু হয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির ওপরের আকাশ অন্ধকার করে দিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে শেষ হয় এই বিশেষ প্রাকৃতিক ঘটনা। পেছেনে রেখে যায় বিস্ময়াবিভূত কয়েক কোটি প্রত্যক্ষদর্শীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগেই জানিয়েছিল, এই তিন দেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এই সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবে। বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাজাতলান শহরের কাছ থেকে প্রথম এই সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল চাঁদের কিনারাটি সূর্যকে একটু স্পর্শ করেছে মাত্র, কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ‘গ্রাস’ করতে শুরু করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি আর শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঢেকে দিলে হঠাৎ করেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সূযগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ। চাঁদের কিনারা দিয়ে সূর্যের আলোকচ্ছটা (করোনা) বের হওয়ায় এক অপার্থিব দৃশ্য তৈরি হয়। এরপর আসে ‘ডায়মন্ড রিং’ এর বিরল মুহূর্ত। এ সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কিছুটা নেমে যায়, প্রাণীরা চুপ হয়ে যায়, পাখিরা ওড়াউড়ি করে বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। দিনের আকাশেই তারা দেখা যেতে শুরু করে।     মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর থেকে সূর্যগ্রহণের পথ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকশ মার্কিন জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩টা ১৩ মিনিটে দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওহাইও অন্ধকারে ঢেকে যায়। এখানে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা লোকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহর নিউ ইয়র্কে কয়েকশ মানুষ ম্যানহ্যাটনের আকাশচুম্বি ভবন অ্যাজ এর একটি উঁচু বড় বারান্দায় বসে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। অবশ্য শহরটি থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদের মতো সূর্যের একটি অংশ দৃশ্যমান হয়ে ছিল, এ সময় অপার্থিব এক মৃদু আলোতে ছেয়ে যায় পুরো শহর।  যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের দিক দিয়ে সূযগ্রহণ কানাডায় প্রবেশ করে। এখানে সীমান্তের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রহণ উপভোগ করে। তবে এখানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় মেঘ সরে যায়।  এরপর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহর হয়ে সূর্যগ্রহণ এগিয়ে যায় আরও উত্তর দিকে। মন্ট্রিয়েলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। এই পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ শেষ দেখা যায় কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের ফোগো দ্বীপ থেকে। ফেলে আসা পথের বিভিন্ন এলাকার তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।
‘ঈশ্বর কণা’ আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পিটার হিগস মারা গেছেন
বিস্ময়কণা ‘ঈশ্বর কণা’ বা হিগস বোসন’র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানী পিটার হিগস স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রায় ২৫ বছরের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের প্রতিভাধর বিজ্ঞানী। যার দূরদর্শী চিন্তা ও কল্পনা এই বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সমৃদ্ধ করেছে। পিটার হিগস ছিলেন সেই মহান বিজ্ঞানী, যার কল্পনা ও ভাবনা আমাদের পরিপার্শ্ব সম্পর্কে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রসঙ্গত, পিটার হিগস হিগস বোসন কণা আবিষ্কারের জন্য ২০১৩ সালে তাকে নোবেল পুরষ্কার পান। যা বদলে দিয়েছিল বিজ্ঞানের গতিপথ। প্রায় ৫০ বছর পর আরেক যুগান্তকারী গবেষণায় প্রমাণ হয়, ‘হিগস বোসন’ কণা সত্যিই আছে।  তিনি তার তত্ত্বে বলেছিলেন, শনাক্ত হয়নি- এমন এক কণার কল্যাণেই মহাবিশ্বের সবকিছু ‘ভর’ পেয়েছে, আর ওই কণার কারণেই অটুট আছে মহাবিশ্ব।
বাংলাদেশ থেকে যেভাবে দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। সোমবার (৮ এপ্রিল) মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখতে পাবেন বিশ্ববাসী। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাসিন্দাদের মতো বাংলাদেশিরাও এই বিরল সূর্যগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী।  জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এ গ্রহণ বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। ৫০ বছর পর দীর্ঘক্ষণ এ গ্রহণ হতে চলেছে। এখন প্রশ্ন হলো: বাংলাদেশ থেকে কি এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে? আর দেখা গেলেও কীভাবে? সোমবার মহাজাগতিক এই দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৭ মিনিট) মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ। তবে সূর্যগ্রহণের সময় বাংলাদেশে রাত হওয়ায় বাংলাদেশ বা এশিয়ার অন্য জায়গা থেকে এটি দেখা যাবে না।   তবে যদি কেউ এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে চায়, তাহলে তাকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গিয়ে লাইভ (সরাসরি) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি দেখতে পারবেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা।   নাসা জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচারের সময় বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত শেয়ার করবেন। এ ছাড়া টেক্সাসভিত্তিক ম্যাকডোনাল্ড অবজারভেটরি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলও এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করবে।
২০ মিনিটের চার্জেই ৭২০ কি.মি. পাড়ি দেবে নতুন ই-বাইক
পরিবেশবান্ধব মোটরযান হিসেবে বিশ্বজুড়েই চাহিদা বাড়ছে ইলেকট্রিক বাইকের। একদিকে তেল ভরার ঝক্কি নেই, অন্যদিকে একবারের চার্জে পাড়ি দেওয়া যায় অনেকখানি পথ। মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই একের পর এক নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হচ্ছে ই-বাইক কোম্পানিগুলো। দ্রুত গতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে ই-বাইকের কার্যক্ষমতা আর ডিজাইনে।  তবে, এবার ই-বাইকের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান স্মার্টটেক। সম্প্রতি ৪৫তম ব্যাংকক মোটর শো-তে ‘ফেলো টুজ’ নামে নিজেদের নতুন উদ্ভাবিত একটি ই-বাইক বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  স্মার্টটেকের দাবি, বাজারের বড় বড় ইলেকট্রিক গাড়িকেও হার মানাতে সক্ষম তাদের নতুন ক্রুজার বাইকটি। একবার চার্জ দিয়েই ৭২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে বাইকটি নিয়ে। আর ফুল চার্জ হতে ‘ফেলো টুজ’ সময় নেবে মাত্র ২০ মিনিট।  নতুন এই বাইকটির ডিজাইন অনেকটা হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের মতো রেখেছে স্মার্টটেক। বাইকটির পেছনে রয়েছে বড় পেনিয়ার বক্স। পাশাপাশি পিলিওন রাইডারদের জন্য আছে হেলান দেওয়ার ব্যবস্থাও। বাইকটিতে রয়েছে বিশাল ফ্লোরবোর্ড। যে পেনিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে তাতে অ্যাডভেঞ্চারের সমস্ত সামগ্রী বহন করা যাবে। বাইকের সর্বোচ্চ গতি ২০১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাইকটির ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ফেলো টুজে আরও একটি দারুণ ফিচার সংযোজন করা হয়েছে, যার নাম ভেহিকেল টু লোড। অর্থাৎ এক গাড়ির ব্যাটারি থেকে অন্য এক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুই গাড়িতেই ভেহিকেল টু লোড বা ভি২এল ফিচার থাকতে হবে। ফেলো টুজে আরও কিছু চমকপ্রদ ফিচার রেখেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে রয়েছে এতে। এত বড় ডিসপ্লের দেখা মেলে না চার চাকার গাড়িতেও। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং নেভিগেশন ফিচার দুই-ই পাওয়া যাবে এই ডিসপ্লেতে। মিলবে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরাও। রাইডার ও পিলিওনের সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম আছে দুই চাকার বাহনটিতে। বাইকটি যেহেতু ওজনে ভারী এবং আয়তনে বড় তাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এতে এবিএস এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচার দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কিনতে কত খরচ হবে, তা এখনও ঘোষণা করেনি স্মার্টটেক।      
বড় পরিবর্তনের হাওয়া, সড়কে টোল কাটবে স্যাটেলাইট
বিভিন্ন সড়ক ও সেতু নির্মাণের পর টোল প্লাজাও স্থাপন করা হয় সেগুলোতে। ওইসব সড়ক ও সেতুতে যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় এইসব টোল প্লাজার মাধ্যমেই। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বিশ্বের প্রায় সবখানেই এমন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত মোটামুটি সবাই। কিন্তু এবার বড় ধরনের পরিবর্তনের হাওয়া লাগছে দীর্ঘদিনের প্রচলিত এ পদ্ধতিতে।    সড়কে টোল আদায় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারত সরকার। স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ, এবার টোল আদায়ের জন্য সড়ক-মহাসড়কে টোল বুথের সামনে লম্বা লাইনের ঝামেলা পোহাতে হবে না যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাটেলাইটই কেটে রাখবে নির্ধারিত টোল।  পরিকল্পনাটিকে বাস্তব রূপ দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করা হবে দেশটিতে। কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম সেই তথ্যও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি। তিনি জানিয়েছেন, নতুন টোল সিস্টেমে জিপিএস এবং ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে। এর ফলে টোল বুথ ও ব্যারিয়ারগুলোর প্রয়োজন পড়বে না। জিপিএস ও ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে গাড়ি। সরাসরি গাড়ি চালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যাবে টোল ট্যাক্স। কত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে সেই গাড়ি, তার উপর নির্ভর করবে টোল ট্যাক্সের পরিমাণ। টোল আদায়ে বর্তমানে সর্বাধুনিক যে ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় তা কাজ করে আরএফআইডি (RFID) প্রযুক্তির ভিত্তিতে। এটি হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে গাড়িগুলো শনাক্ত করতে এবং ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু আছে।  এ পদ্ধতিতে একটি ক্যামেরা বসানো থাকে টোল প্লাজায়। যা গাড়ির ফাস্ট্যাগ আইডি ট্র্যাক করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়। তবে নতুন জিপিএস ভিত্তিক সিস্টেম বসলে এই আইডির প্রয়োজন কমে যাবে। ভারত সরকারের মতে, নতুন টোল সিস্টেম টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং স্বচ্ছ করে তুলবে। এই মুহূর্তে প্রত্যেক টোল প্লাজাতে ট্যাক্সের পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে। যত কিলোমিটারই ভ্রমণ করেন না কেন যে টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেটাই জমা দিতে হয়। তবে নতুন ব্যবস্থা যোগ হলে এই টাকার অঙ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।