দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। এ জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সুপার সিক্সে বাঁচামরার লড়াইয়ে মাঠে নামছে দিশা বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। ম্যাচ শুরুর আগে টস হেরে গেছে টাইগ্রেসরা। আমিরাতের মেয়েরা প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলার বাঘিনীরা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় ৫টা ৪৫ মিনিটে।
সুপার সিক্সের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই ম্যাচেই টাইগ্রেসদের জয় পাওয়াটা অবধারিত ধরে নিয়েছিল অনেকে। জিতলে অবশ্য সহজেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতো মারুফা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, দিশারা।
কিন্তু সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৫ উইকেটে হার দেখে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্ব থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে আসা টাইগ্রেসরা নেট রান রেটে পিছিয়ে পড়ে সে ম্যাচে। বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ খেলে গ্রুপ পর্বের ৪ পয়েন্টসহ নেট রান রেট দাঁড়ায় ০.২৬৮।
আরও পড়ুন- সেমিফাইনালের স্বপ্নটাই যেন বড় দুঃস্বপ্ন বাঘিনীদের জন্য
অন্যদিকে সুপার সিক্সে একই গ্রুপে খেলা ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রত্যেক দলই সর্বোচ্চ ৪ ম্যাচ করে খেলে সমান ৬ পয়েন্ট অর্জন করে ফেলে। দলগুলোর নেট রান রেট দাঁড়ায় যথাক্রমে ভারতের ২.৮৪৪, অস্ট্রেলিয়ার ২.২১০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ০.৩৭৪। ফলে এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে জিততে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অলআউট করতে হবে ৪০ রানের মধ্যে।
তাহলেই কেবল অজিদের পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে নেমে সেমিফাইনাল খেলে ফেলতে পারবে বাঘিনীরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম অংশগ্রহণ স্বপ্নের সীমানা পেরোয় নাকি স্বপ্নটাই দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা পড়ে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ একাদশ : আফিয়া প্রত্যাশা, মিষ্টি সাহা, উন্নতি আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার, রাবেয়া খান্ম দিশা বিশ্বাস (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, রিয়া আক্তার শিখা, দিপা খাতুন ও লেকি চাকমা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ : তীর্থ সতীস (অধিনায়ক/উইকেটকিপার), বৈষ্ণব মাহেশ, সামিরা ধার্নিধার্কা, লাভাঙ্গা কেনি, ইন্ধুজা নান্দেকুমার, শিয়া গোখালে, মাহিকা গৌর, অভনি পাতিল, আর্চারা সুপ্রিয়া, সানজানা রমেশ ও ঈশিতা জোহরা।