ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ
উজবেকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু আর্জেন্টিনার
লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার মাটিতে পর্দা উঠেছে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আসর। উদ্বোধনী দিনেই অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল লে আলবিসেলেস্তেরা। সেই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর উজবেক যুবাদের ২-১ গোলে পরাজিত করে শুভ সূচনা করেছে রেকর্ড ৬ বারের যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২০ মে) রাতে এস্তাদিও ইউনিকো স্টেডিয়ামে উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম গোল করে উজবেকিস্তানকে এগিয়ে দেন মাখমুদন। তবে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে আলবিসেলেস্তেদের জয় নিশ্চিত করেন আলেহো ভেলিজ ও ভ্যালেন্তিন কারবোনি।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার যুবাদের সঙ্গে সমান তালে খেলতে থাকে উজবেকিস্তান। তাই লিওনেল মেসির উত্তরসূরীদের জয় পেতে বেশ ভুগতে হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আর্জেন্টিনার ১১টি শটের বিপরীতে ১০টি শট নেয় উজবেকিস্তান। আর গোলের লক্ষ্যে অন-টার্গেট দু’দলই সমান ৩টি করে শট নেয়।
মাত্র ২৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ায় সফরকারী উজবেকিস্তান। স্বাগতিকদের প্রথম ডেডলক ভাঙেন মাখমুদন। ফলে কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সঙ্গে মেসিদের মতো পরাজয়ের শঙ্কা জাগে আর্জেন্টিনার। তবে সেই শঙ্কা বেশিক্ষণ থাকতে দেননি আলেহো ভেলিজ।
২৭ মিনিটে ডিফেন্ডার অগাস্টিন গিয়াইয়ের অ্যাসিস্টে ফরোয়ার্ড ভেলিজের গোলে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৪ মিনিট আগেই লিড নিয়ে নেয় হাভিয়ের মাসচেরানোর দল। এবার ভ্যালেন্তিন বার্কোর অ্যাসিস্টে স্কোরশিটে নাম তোলেন ভ্যালেন্তিন কারবোনি।
প্রথমার্ধের ২-১ ব্যবধানের স্কোর শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। তবে অনেক চেষ্টায়ও দু’দলের কেউই আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনার যুবারা। ম্যাচে উজবেকিস্তান পরাজিত হলেও, পুরো ম্যাচে তারা একই মনোবল ধরে রেখে সমান লড়াই চালিয়ে যায়।
উদ্বোধনী দিনের বাকি তিন খেলায় ফিজিকে ৪-০ গোলে স্লোভাকিয়া, গুয়াতেমালাকে ১-০ নিউজিল্যান্ড এবং ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের যুব বিশ্বকাপের আসর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, ফিফার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে তা ডিয়াগো ম্যারাডোনার দেশে চলে আসে।
প্রসঙ্গত, ৬ কনফেডারেশন থেকে ২৪ দল নিয়ে শুরু হয়েছে যুব বিশ্বকাপের আসর। প্রতিটি গ্রুপ থেকে ২টি করে মোট ১২টি ও তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা ৪টি দল যাবে নকআউট পর্বে। এরপর শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে আগামী ১১ জুন শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন