বোল্টকে নিমেষেই পরাজিত করবেন গেইল!
মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার শেষ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন জ্যামাইকার লাইটিং বোল্ট। আর বলা হয় বল ছাড়া ১০.১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই তো নিজের সেরা সময়ে এমবাপ্পের বিরুদ্ধে দৌড়াতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেন অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী এ অ্যাথলিটের।
এদিকে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসের দ্রুততম মানবের সঙ্গে দৌড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামতে চান ক্রিস গেইল। এমনকি তিনি এটাও দাবি করেছেন, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নাকি ভয় পাচ্ছেন বোল্ট।
আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত গেইল এবং বোল্ট। গত বুধবার বোল্টকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেখানে বোল্টের সঙ্গে দৌড়ানোর কথা জানিয়েছেন গেইল।
গেইল বলেন, উসাইন বোল্ট আমাকে একটা দাতব্য ম্যাচে আউট করেছিল। আমিই তাকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সে ভালো একটা বাউন্সার করেছিল। বেশ ভালো একটা বাউন্সার, মিথ্যা বলব না—আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর মনে হলো, এটা তো সিরিয়াস ম্যাচ নয়, আমি কী করছি! ফলে তাকে মারতে শুরু করলাম। একটা বা দুটা ছয়ও মেরেছিলাম, সঙ্গে কয়েকটি চার। শেষ পর্যন্ত ইনসাইড-এজে বোল্ড।’
গেইলের জবাবে বোল্ট বলেন, ইউটিউবে আছে এটা। অস্বীকার তো করতে পারবে না সে।
এরপর গেইল বলেন, আমি তো তা-ই বললাম, তুমি আউট করেছ আমাকে। আমি এবার ট্র্যাকে (তোমার সঙ্গে) দৌড়াতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে ১০০ মিটারের ট্র্যাকে সে দেখতে চায় না। এখনো আমাকে ভয় পায়। সহজেই তাকে (হারাতে পারব)। শুনুন, উসাইন শুধু অনেকটুকু ধুলা দেখবে। ইউনিভার্স বস একনিমেষে উড়ে যাবে!
এমন দাবি শুনে অট্টহাসিতে বোল্ট বলেন, আমরা সবাই জানি, গেইল দৌড়াতে পারে না। সে দ্রুত সিঙ্গেল বা এমন রান নেয় না। আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত নই।’
এ সময় দৌড়ে রান না নেওয়ার বিষয়টিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করে গেইল বলেন, এটা অনেক বড় মিথ্যা। আমি এক রান নিয়েছি, দুই, তিন-যেটিই বলুন না কেন। এমনকি মাঝে মাঝে দৌড়ে চার রানও নিয়েছি।
এ সুযোগে বোল্টকে আবারও চ্যালেঞ্জ জানা গেইল, ‘উসাইন (বোল্ট), স্পাইক (দৌড়ানোর বিশেষ জুতা) প্রস্তুত করো। অন্য কোনো অ্যাথলেটকেও ডাকতে পারো। ইয়োহান (ব্লেক), আসাফা (পাওয়েল), যে কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। আমি তো (যাব) না।’
মন্তব্য করুন