ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় নাকি ভারতের তৃতীয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫ , ০৮:০৭ পিএম


loading/img
ছবি: এএফপি

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছিলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের। আর ভারত-নিউজিল্যান্ডের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটির।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরে দুই দলই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ২০০০ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় আসরের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। সেবার ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে কিউইরা। 

বিজ্ঞাপন

পরের আসরেও ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু বৃষ্টি কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যৌথ ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

এরপর ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছিল কিউইরা। কিন্তু সেবার অজিদের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর আর টুর্নামেন্টটির ফাইনাল খেলা হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পর আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড।

এদিকে ২০১৩ সালে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত। সেবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল ধোনির ভারত। পরের আসরেও ফাইনালে উঠেছিল তারা। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে বাজেভাবে হেরেছিল তারা। এরপর দীর্ঘ মাঠে গড়াইনি টুর্নামেন্টটির।

বিজ্ঞাপন

আর বছর পর মাঠে গড়ানোর টুর্নামেন্টটির ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সব দিক থেকেই এগিয়ে রয়েছে ভারত। হাইব্রিড মডেলে একই মাঠে খেলার সুবিধা ভোগ করছে তারা। যার ফলে টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত রয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা।

আরও পড়ুন

ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে মাঠে নেমেছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে কিউইদের ৪৪ রানে হারিয়েছিল ভারত। তাই ফাইনালে রোহিত-কোহলিদের হারিয়ে সেই প্রতিশোধ নিতে চাইবে স্যান্টনাররা। এ ছাড়াও গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল কিউইদের।

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একই মাঠে খেলার সুবিধা ভোগ করছে ভারত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফাইনালের টিকিটও নিশ্চিত করেছে তারা। অন্যদিকে ৭০৪৮ কিলোমিটার ভ্রমণ করা নিউজিল্যান্ডও ফাইনালে উঠেছে। তাই বাড়তি সুবিধা পাওয়া ভারত চ্যাম্পিয়নস হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

কারণ, ফাইনালে উইকেটেও সুবিধা পাবে ভারত। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রয়েছে মোট ১০টি উইকেট। যার চারটি এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যবহার করা হয়েছে। শেষ দুটি ম্যাচের পিচ ফাইনালের জন্য ব্যবহার করার কথা ভাবার সম্ভাবনা ছিল না। এত কম সময়ে ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য পিচ প্রস্তুত করা সম্ভব ছিল না।

যে কারণে, ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ব্যবহৃত পিচের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার কথা ভাবা হয়। সবদিক খতিয়ে দেখে ২৩ ফেব্রুয়ারি খেলা হওয়া পিচে ফাইনাল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে পাকিস্তানকে হেসে খেলে হারিয়েছিল ভারত। সুতরাং, নিজেদের চেনা পিচেই শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ভারত।

আরটিভি/এসআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |