কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি মেসি-সুয়ারেজরা। এতে ২-০ গোলের ব্যবধানের হেরে বিদায়ের শঙ্কা নিয়ে মাঠে ছেড়েছে মায়ামি।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঘরের মাঠ বিসি প্ল্যাসে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ভ্যাঙ্কুভারে। কিন্তু সে যাত্রায় গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় মায়ামি। ১২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ তৈরি করেছিলেন মেসি, যদিও সেটি গোলের জন্য যথেষ্ট হয়ে ওঠেনি।
১৯তম মিনিটে গোটা স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে দারুণভাবে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও অল্পের জন্য পাওয়া হয়নি গোল। ২২ মিনিটে আবারও মেসির সামনে সুযোগ এসেছিল গোল করার। সের্হিও বুসকেতসের দারুণভাবে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েও ফিনিশ করতে পারেননি।
মায়ামি অধিনায়ক না পারলেও ভুল করেননি ভ্যাঙ্কুভারের ব্রায়ান হোয়াইট। ২৪ মিনিটে পেদ্রো ভিতের দুর্দান্ত এক ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই মার্কিন স্ট্রাইকার। গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে ওঠে মায়ামি। কিন্তু গোল না পাওয়ায় ১-০ তে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মায়ামি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি–আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। দুই দলই এ সময় চেষ্টা করে গোল আদায়ের। তবে পিছিয়ে থাকা মায়ামিই একপর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মেসির নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণে গিয়ে চেষ্টা করে গোল করার।
ম্যাচে শুরু থেকেই রক্ষণে দৃঢ়তা দেখানো ভ্যাঙ্কুভার বারবার আটকে দিয়েছে মেসি–সুয়ারেজদের। বিপরীতে ৮৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন সেবাস্তিয়ান বেরহাল্টার। এই গোলের পরই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় মায়ামির হার।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে প্রথম লেগে ১–০ গোলে হেরে ফিরতি লেগে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মায়ামি। সেই ঘুরে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্তই এখন মায়ামির জন্য অনুপ্রেরণার। কিন্তু এবার ব্যবধানটা ২ গোলের হওয়ায় বেশ চাপেই থাকবে হাভিয়ের মাচেরানোর দল। আগামী ১ মে মায়ামির মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আরটিভি/এসআর/এআর