চট্টগ্রাম টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই সেশনে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে রোডেশিয়ানরা। কিন্তু শেষ বিকেলে তাইজুলের স্পিন জাদুতে স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে টাইগাররা। এরপর ব্যাটিং নামে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলামের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের জুটি পার করেছে দলীয় শতরান। লাঞ্চের আগে এই জুটি বাংলাদেশকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে।
সাদমান ইসলাম ৬ষ্ঠ ফিফটির দেখা পেয়েছে। আর অনেক দিন পর টেস্ট দলে ফিরে ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন বিজয়। এটাই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস তার। এর আগে, এক ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়েও ৩০ রান করতে পারেননি বিজয়। এই জুটির ব্যাটিংয়ে লাঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান ১০৫।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই রোডেশিয়ান ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কুরান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ৩৩ বলে ২১ রান করে অভিষিক্ত তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন বেনেট। ৫০ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কুরানও।
চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস। ১০৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ওয়েলচ। এরপর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর ১১৪ বলে অর্ধশতকের দেখা পান উইলিয়ামস।
১৬৬ বলে ৬৭ রান করে উইলিয়ামস আউট হলে খেলায় ফেরে টাইগাররা। মাঝে ওয়েসলি মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন টাফাডজোয়া সিগা। কিন্তু মাধেভেরে ১৫ রান করে আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৬), রিচার্ড এনগারাভা (০), ভিনসেন্ট মাসেকেসা ৮ রানে আউট হলেও শেষ দিকে আবারও পিচে আসেন নিকোলাস ওয়েলচ। ৫৪ রান করা এই ব্যাটারকে দিনের শেষ বলে আউট করে নিজের ফাইফার তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এতে প্রথম দিনের ৯০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাইম হাসান দুটি এবং অভিষিক্ত তানজিম সাকিব শিকার করেন এক উইকেট।
আরটিভি/এসকে/এস