ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনালদো রদ্রিগেজকে অপসারণ করলো রিও ডি জেনেইরোর একটি আদালত। সেই সাথে বোর্ড সদস্যদেরও অপসারণ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে ফার্নান্দো সারনিকে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ( ১৫ মে) এক আদেশে রদ্রিগেজকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণের কথা জানান রিও ডি জেনেইরোর প্রাদেশিক আদালত। সিবিএফের এই সভাপতিকে এমন সময়ে সরিয়ে দেওয়া হলো, যার মাত্র তিনদিন আগে তিনি জাতীয় দলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষ ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
রদ্রিগেজকে অপসারণে ভূমিকা রেখেছেন ফার্নান্দো সারনি। সারনিকে আদালত যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে বলেছে। সারনি এর আগে সিবিএফের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালে এডনালদোর বিরুদ্ধে নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তবে বিচারপতি গিলমার মেন্ডেজ সেগুলো খারিজ করে দেন। তখন তিনি অভিযোগকারী ফার্নান্দো সারনি ও সংসদ সদস্য ড্যানিয়েলা কার্নেইরোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সঙ্গে আরও কিছু আইনি কারণে আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান।
দ্বিতীয়বারের মতো রিও ডি জেনেইরোর আদালত রদ্রিগেজকে সরিয়ে দিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একবার তাকে সরানো হয়, কিন্তু গিলমার মেন্ডেজের রায়ে এক মাস পর তিনি আবার দায়িত্বে আসেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়, সার্নে তার আবেদনে ৮৬ বছর বয়সী সিবিএফের সাবেক প্রধান অ্যান্তনিও কার্লোস নুনেসের সঙ্গে এডনালদোর চুক্তি করার বিষয়টি সামনে এনেছে। যাতে সম্মতি দেওয়ার মতো মানসিকভাবে ফিট নন অ্যান্তনিও। তার মানসিক অবস্থা মূল্যায়ন সাপেক্ষে সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু সিবিএফের পক্ষ থেকে আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের কোচ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই সেই শুনানি স্থগিত করা হয়।
বিচারক জেফিরো রায়ে বলেন, ‘অ্যান্তনিও নুনেসের মানসিক স্থিতাবস্থা নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে দ্বিধা রয়েছে, ওই সময় তার ব্রেইন ক্যান্সার ধরা পড়ে।’
এ নিয়ে এখনও সিবিএফ কোনো মন্তব্য করেনি বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ সংস্থা এপি। এদিকে, আদালতের রায় কিংবা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সিবিএফের ওপর ফিফা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নতুন শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরটিভি/এসকে