রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি যেন বিতর্কও এখন শুভমান গিলের নিত্যসঙ্গী! হেডিংলিতে কালো মোজা ও লাল ইনার পরে নিয়মভঙ্গের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এজবাস্টন টেস্টে আবারও বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক।
চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালীন ভারত ৮৩ ওভার ব্যাট করে ইনিংস ঘোষণা করে। চা বিরতির পর অতিরিক্ত এক ঘণ্টা ব্যাট করে ডিক্লেয়ার করে দল। এ সময় সাজঘর থেকে বারান্দায় গিয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে মাঠ থেকে ডাকেন গিল। ঠিক তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে গিলের পরনে থাকা কালো রঙের একটি ইনার, যাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় স্পোর্টস জায়ান্ট নাইকির লোগো।
সমস্যার সূত্রপাত এখানেই। কারণ, বর্তমানে ভারতীয় পুরুষ, নারী ও যুব দলের অফিসিয়াল কিট স্পনসর অ্যাডিডাস। ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ৩০০ কোটির চুক্তিতে রয়েছে অ্যাডিডাস। প্রতি ম্যাচের জন্য তারা বোর্ডকে ৭৫ লাখ রুপি করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান নাইকির পোশাক পরে প্রকাশ্যে আসা মোটেই পছন্দ হবে না অ্যাডিডাসের। তারা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনার আগে হেডিংলি টেস্টে দুইবার নিয়ম ভেঙেছিলেন গিল। প্রথমে কালো মোজা পরে মাঠে নেমে ক্রিকেটীয় ড্রেস কোড ভাঙেন তিনি। পরে অবশ্য নিয়ম মেনে সাদা মোজা পরে নামেন। আবার ফিল্ডিংয়ের সময় লাল রঙের ইনারও পরেছিলেন, যা টেস্ট ক্রিকেটে অনুমোদিত নয়।
এখনও পর্যন্ত আইসিসি গিলের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলেও, একের পর এক এমন বিতর্কে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তিনি যখন দেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক। তখন তার পোশাকসংক্রান্ত সচেতনতা নিয়ে এমন ভুল বারবার হওয়া বিস্ময়ের জন্ম দিচ্ছে ক্রিকেটমহলে।
এখন দেখার বিষয়, বিসিসিআই বা অ্যাডিডাস এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় এবং ভবিষ্যতে গিল আরও সতর্ক হন কি না।
আরটিভি/এসকে/এস