• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে আরাম দেবে লাউয়ের হালুয়া
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যুর ব্যবহারে হতে পারে বিপদ
তীব্র গরমে ঘেমে যখন একেবারে নাজেহাল অবস্থা, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই ঘন ঘন মুখ মুছে নেন ওয়েট টিস্যুতে। কিন্তু জানেন কি, ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহার মোটেই ভালো নয়। উপকারের থেকে এতে অপকারই বেশি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র গবেষক জন কুক মিলসের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য। তার মতে, ওয়েট ওয়াইপস বা টিস্যু ব্যবহার করলে অ্যালার্জির সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ হিসেবে জানা গেছে এই বস্তুটির আছে সোডিয়াম লরিল সালফেট। এটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। ওয়েট টিস্যুর মধ্যে থাকা আর রাসায়নিক মিথাইল ক্লোরিসেথিয়া জোলাইন বড়দের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে ঘন ঘন ওয়েট ওয়াইপস ব্যবহার করলে এর প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ধীরে ধীরে শরীরের নানা কোষে জমতে থাকে। ফলে ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই টিস্যু। আবার একই ওয়াইপস বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া কমার বদলে উল্টো ছড়াতে পারে। অধিকাংশ ওয়াইপসে রয়েছে প্লাস্টিকের তন্তু যা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয় এমন পদার্থ রয়েছে। যা কিন্তু পরিবেশের জন্যই ক্ষতিকারক। এই ওয়েট টিস্যু মাটিতে যেহেতু মিলিয়ে যায় না, এতে পরিবেশ দূষিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিস্যুর পরিবর্তে সাধারণ রুমাল পানিতে ভিজিয়ে মুখে ব্যবহার করা ভালো। আর মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও পেট্রোলিয়াম জেলি ও ভিজা রুমাল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমের কারণে শুধু ত্বক বা চুলের ক্ষতি হয় না, একই সঙ্গে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও। সূর্যের কড়া রশ্মির মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি। ইউভিএ ও ইউভিবি-র প্রভাবে চোখের নানা বিপদ হতে পারে। এমনকি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু কাজ না করলেই নয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে চোখ বাঁচাতে যা করণীয়- ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস- সাধারণ সানগ্লাস পরলে লাভ হবে না। বরং ইউভি রশ্মি ঠেকাতে পারে এমন সানগ্লাস এই সময় পরতে হবে। ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিরোধী সানগ্লাস কিনতে হবে। বড় হ্যাট- টুপি নয়, একটি বড় ছায়া দেয় এমন হ্যাট কিনে নিন। এই হ্যাট মাথায় পরলে চোখও রেহাই পায়। এতে চোখের মধ্যে সরাসরি সূর্যের রশ্মি বা তাপ এসে লাগে না। ফলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বারোটা থেকে তিনটার রোদে কম বেরনো- দুপুর বারোটা থেকে বিকাল তিনটার রোদে কম বের হলে ভালো হয়। একান্ত কাজ থাকলে বেরতো হতেই হয়। সেক্ষেত্রে যতটা কম বের হওয়া যায়, ততটাই ভালো। পানি, বালি ও বরফ থেকে দূরে থাকা- এই তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এই তিনটির মধ্যে থাকলে চোখে সানগ্লাস পরে থাকা ভালো। যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা- রোদের মধ্যে অযথা বেশি সময় না ঘোরাই ভালো। বরং যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকলে তা চোখের জন্য ভালো। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এই অভ্যাস। ওষুধের জের- কিছু ওষুধের জেরে চোখ অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ইউভি রশ্মির আক্রমণে সহজেই চোখের নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তা চোখ বাঁচাতে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা- গরমকালে একটু ঘন ঘন চোখের পরীক্ষা করানো ভালো। এতে চোখের কোনও সমস্যা হলে তা হাতে সময় থাকতেই সারিয়ে ফেলা যায়।
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
এই গ্রীষ্মের তাপদাহে ঘরে বাহিরে কোথাও যেন স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতে অনেকেই দ্বারস্থ হচ্ছেন এসির দোকানে। কিন্তু এসি কেনার আগে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে নিন, তা নাহলে কিন্তু ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলটাও বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। জেনে নিন বিষয়গুলো- এসিতে দুই ধরনের কয়েল ব্যবহার করা হয়, তামার কয়েল বা অ্যালুমিনিয়াম কয়েল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামার কয়েলের এসি কেনাই বুদ্ধিমানের। তামার কয়েলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়, এই কয়েলের সেরকম রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন হয় না। কী ধরনের এসি কিনবেন, তা নির্ভর করছে ঘর কত বড় তার ওপর। ১৪০ থেকে ১৫০ বর্গফুটের ঘরে এক টন ওজনের এসি যথেষ্ট। এসি কত টনের, সেই হিসাব সাধারণত করা হয় এক টন বরফ গলাতে ২৪ ঘণ্টায় কতটা তাপমাত্রা প্রয়োজন তার ভিত্তিতে। সাধারণত ১৮০ বর্গফুটের ঘরে অন্তত দেড় টনের এসি প্রয়োজন। এসি কেনার আগে দেখে নিন, এসিতে থার্মোস্ট্যাট এবং একাধিক ব্লোয়ার আছে কি না। এসির ফ্যানের দ্রুততা কমানো- বাড়ানো যায়। বিদ্যুতের খরচও বাঁচানো যায়। ইনভার্টার এসি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এতে এক দিকে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, তেমনই এসি ভালোও থাকে বেশিদিন। ঘরে যদি বেশি রোদ আসে বা ঘর যদি হয় বহুতলের ওপরের দিক থেকে পাঁচ তলার মধ্যে, তবে ঘরের আয়তন অনুযায়ী যত টনের এসি দরকার, তার থেকে ০.৫ টন বাড়িয়ে নিন
খালি পেটে মিছরি ভেজানো পানির উপকারিতা
গরমে পুড়ছে পুরো দেশ। কোনো কিছুতেই যেন কমছে না গরমের প্রভাব। এই সময় নানা অসুখ হয় শরীরে। সব থেকে ভয়ের হলো হিটস্ট্রোক। কখন যে হবে কেউ বলতে পারে না। তবে এই প্রবল গরমে আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে মিছরির পানি।  আগেকার দিনের মানুষরা এই মিছরির পানি খেয়েই সুস্থ থেকেছেন। বাইরে রোদ থেকে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতেন। মিছরি আখ এবং খেজুরের রস থেকে তৈরি হয়। তাই এটি খুব স্বাস্থ্যকর। সেই সঙ্গে মিছরি ভেজানো পানি খেতে খুব মজা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এর আর দ্বিতীয় কোনও জুড়ি নেই। রাতে কয়েক টুকরো মিছরি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বা খালি পেটে খেয়ে নিন। দেখবেন সারাদিন এত গরমেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে না। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম তাদের জন্য এই মিছরি ভেজানো পানি খুব উপাকারী। নিয়মিত এই পানি খেলে সহজে আপনি ক্লান্ত হবেন না। ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো হবে। গরমে নাক থেকে রক্ত পড়লে খেতে হবে এক গ্লাস মিছরি ভেজানো পানি। নিয়মিত খেলে আর রক্ত পড়বে না। হজম শক্তি বাড়ায় মিছরির পানি। দুর্বল লাগলেই খেয়ে নিন এই পানি। সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি ফিরে পাবেন।
সজনে পাতার ভর্তা বানাবেন যেভাবে
সজনে আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। সজনে বিভিন্নভাবে রান্না করা হয়। সজনের পাশাপাশি সজনে পাতারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়ামে ভরপুর সজনে পাতা রক্তশূন্যতার সমস্যা কমাতে পারে।  গবেষকরা সজনে পাতাকে সুপার ফুড বলে থাকেন। ‘ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি’ ও ‘পিইএস ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় দাবি করা হয় এই পাতা ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।  সজনে পাতা অনেকেই অনেক রকমভাবে খেয়ে থাকেন। সজনে পাতা ভর্তা করে খেতেও বেশ সুস্বাদু। জেনে নিন সজনে পাতার রেসিপি।    যা যা লাগবে- ২ কাপ সজনে পাতা, ১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ৬-৭ টি রসুন কোঁয়া, ৪-৫ টি কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো সরিষার তেল, লবণ স্বাদ মতো। তৈরি করবেন যেভাবে- সজনে পাতা ভালো করে বেছে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবার ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে আসলে সজনে পাতা সামান্য ভেজে নিন। রসুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ অল্প তেলে আলাদা ভেজে নিন। এবার পাটায় সজনে পাতা, রসুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, লবণ দিয়ে একসঙ্গে বেটে নিন। সবকিছু বাটা হয়ে গেলে এর সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে ভর্তা তৈরি করে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
তীব্র রোদে মোটরসাইকেল চালাতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহেও থেমে নেই জীবনের ব্যস্ততা। প্রতিদিনই কাজের প্রয়োজনে বের হচ্ছেন হাজারো মানুষ। কেউ পায়ে হেটে, কেউ বাসে বা রিকশায়, গাড়িতে চড়ে গন্তব্যে পৌছাচ্ছেন। এরমধ্যে যাতায়াতের বাহন হিসেবে বেশি ব্যবহার হচ্ছে মোটরসাইকেল। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত পৌঁছানো যায় বলে ব্যস্ত এই শহরে এখন মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তাই বেশি। তবে এই গরমে দীর্ঘসময় মোটরসাইকেল চালালে অস্বস্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলেরও নানা সমস্যা যুক্ত হয়। তাই গরমে মোটরসাইকেল চালাতে কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে মোটরসাইকেল চালানোর সময় অসতর্ক হলেই হতে পারে বড় ক্ষতি। বিশেষ করে এই গরমে মোটরসাইকেলের কয়েকটি পার্টস যেমন, টায়ার ও ফুয়েল ট্যাংকের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া কড়া রোদে মোটরসাইকেল পার্ক করে রাখাও বিপদজ্জনক। হালকা রঙের কাপড় দিয়ে এটি ঢেকে রাখতে হবে। হাইড্রেটেড থাকুন- মোটরসাইকেল হোক বা সাইকেলে গিয়ারের চাপে গরম লাগবেই। তাই পানি সঙ্গেই রাখুন। ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মোটরসাইকেল চালান। এই সময় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই দীর্ঘসময় মোটরসাইকেল নিয়ে রোদে দাড়িয়ে থাকবেন না। বাইকের কুল্যান্ট- কুল্যান্ট হলো এক ধরণের তরল। যা মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিফ্রিজ ও পানির মিশ্রণে তৈরি এই তরল গরমে মোটরসাইকেলকে সুরক্ষিত রাখে। তাই গরমে মোটরসাইকেলের কুল্যান্টের অবস্থা ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিন। প্রয়োজনে সার্ভিসিং করে নিন। ইলেকট্রিক পার্টস- প্রচণ্ড গরমে মোটরসাইকেলের একাধিক ইলেকট্রিক পার্টসে ক্ষতি হতে পারে। তাই চালানোর সময় অতিরিক্ত ফিউজ সঙ্গে রাখুন। ব্যাটারি ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। গরমে ব্যাটারির ওপরও চাপ পড়তে পারে। টায়ার- তীব্র গরমে টায়ার প্রেশার একটু কম রাখুন। চাকায় বাতাসের বেগ বেশি থাকলে গরমের সময় তা ফেটে যেতে পারে। যারা হাই স্পিডে মোটরসাইকেল চালান তাদের চাকা অত্যাধিক হিট হয়। তাই সাবধানে থাকুন। ফুয়েল ট্যাংক- তীব্র গরমে মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংক পূর্ণ করা উচিত নয়। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে পেট্রোল কিংবা ডিজেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফুয়েল ট্যাংক ভরা থাকলে জ্বালানি উপচে পড়তে পারে। যা থেকে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে। এই সময় ফুয়েল ট্যাংক চার ভাগের তিন ভাগ পূর্ণ করুন। চেইন লুব্রিকেট- গরমের সময় বাইকের চেইন নিয়মিত পরিষ্কার ও লুব্রিকেট করুন। এতে মোটরসাইকেল আরও মসৃণভাবে চালানো যাবে। লুব্রিকেটিং করার আগে সব মোটরপার্টস অবশ্যই পরিষ্কার করুন। পোশাক- মোটরসাইকেল চালানোর সময় হালকা পোশাক পরুন। কালার চেঞ্জিং গ্লাস ব্যবহার করুন। এটি চোখে আরাম দেবে। হালকা রঙের সুতি জামা পরতে পারেন। ফুলহাতার জামা পরবেন। এতে ত্বক রোদের তাপে পুড়ে যাবে না। হেলমেট- মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করুন। আপনি নিজে পরবেন এবং আপনার সঙ্গে কেউ থাকলে তাকেও হেলমেট পরাবেন। এতে রোদের তাপ মাথায় পরবে না। বেশি ভারী হেলমেট ব্যবহার না করাই ভালো।
প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
পান্তা ভাত অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে পান্তা ভাত খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। গ্রামবাংলায় এটি নিত্যদিনের খাবার। সকালে পেট ভরে পান্তা ভাত খেয়ে চড়া রোদে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যান। তবে বর্তমানের উত্তাপ্ত তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা শান্তি পেতে অনেকেই পান্তা ভাতেই ভরসা খুঁজে নিয়েছেন। হরেক রকমের ভর্তা, মাছ ভাজাসহ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে আপনিও পান্তা ভাত খেতে পারেন প্রতিদিন। সঙ্গে রাখতে পারেন মজাদার কয়েক পদের ভর্তা। পান্তার সঙ্গে ‘মজার’ ২টি ভর্তার রেসিপি জেনে নিন। রইল রেসিপি- রসুনের ভর্তা: পান্তা ভাতের সঙ্গে রসুন ভর্তা ঝাঁঝালো স্বাদ দেয়। মজাদার এই ভর্তাটি বানাতে কড়াইয়ে অল্প সরিষার  তেল দিয়ে ১০০ গ্রাম রসুনের কোয়া ভালো করে ভেজে নিন। রসুন নরম হলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিন। ২-৩টি শুকনো মরিচ ভেজে তুলে রাখুন। সেই তেলেই কালোজিরা  ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন। এবার একটি বাটিতে লবণ আর শুকনো মরিচ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর সঙ্গে ভাজা পেঁয়াজ, রসুন আর সরিষার তেল দিয়ে মাখুন। একটু লেবুর রস ও  ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও একটু মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল রসুন ভর্তা। ডাল-চিংড়ি ভর্তা: চিংড়ি মাছ সবারই পছন্দ। পান্তার সঙ্গে চিংড়ির মাছের পদ রান্না করে খেতে ভালোই লাগে। তবে আরও জমে উঠবে চিংড়ি সঙ্গে ডাল দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেলে। মুসুর ডাল ধুয়ে সামান্য হলুদ ও কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিয়ে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধর পর ডাল আধভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে। এবার চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। লবণ ও মরিচ মাখিয়ে কড়াইয়ের তেলে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিন। লাল হয়ে গেলে তুলে নিন। এই ভাজা মাছের সঙ্গে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়া ভাজা মিশিয়ে বেটে নিন। এবার ডাল-চিংড়ি মাছের এই মিশ্রণটি শুকনো কড়াইয়ে অল্প তেলে একটু নাড়াচাড়া করে এর সঙ্গে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি আর লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে ডাল-চিংড়ির মজাদার ভর্তা। পান্তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
ভিটামিন ডি খাওয়ার উপযুক্ত সময় রাতে নাকি দিনে
শরীরে একটু ক্লান্তি অনুভব হলেই শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে থাকি। খাবারের হজম ক্ষমতা বেশি করার জন্য ব্যবহৃত হয় ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। তবে এটা খুব সামান্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর তাই এটা শুধুমাত্র ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করাটা খুবই কঠিন। চিকিৎসকরা বলছেন, ডিটামিন ডি কোনো খাদ্যের সঙ্গে খেলে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই সারাদিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবারের সঙ্গে ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত। তবে এতে ঠিক কতটা ফল পাওয়া যায় তা এখনও পরিষ্কার নয়।  সারা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ যখন ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে তখন বলে রাখা অত্যন্ত জরুরি যে, ভিটামিন ডি হলো অত্যন্ত ভালো একটি নিউট্রিশনার সাপ্লিমেন্ট। যাইহোক না কেন অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা ভিটামিন ডি-র কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে কখন ও কীভাবে আপনি প্রতিদিনের এই ভিটামিনের ডোজটি খাচ্ছেন তাও নির্ভর করে। জেনে নিন ভিটামিন ডি খাওয়ার সবথেকে ভালো সময় কোনটি- ভিটামিন ডি হলো এমন একটি পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত জিনিস যা অন্যান্য ভিটামিনের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকরী ও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আপনার শরীর ও ত্বককে রক্ষা করবে। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ আপনার শরীরের পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয়। একটি গবেষণায় জানা গেছে, ভিটামিন ডি শরীরে প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তবে প্রচুর উপকারী এই ভিটামিনটি খুব কম খাদ্যদ্রব্যেই পাওয়া যায়। তাই এটা আপনার প্রয়োজন মেটাতে খুবই কঠিন যদি না আপনি প্রতিদিন সূর্যের সংস্পর্শে না যেয়ে থাকেন। যে সমস্ত মানুষদের ত্বকের রং কালো, শরীর মোটা বা ভারি এবং এমন জায়গায় বাস করেন যেখানে সূর্যের আলো খুবই সীমাবদ্ধ। তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি-র অভাব বেশি মাত্রায় দেখা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকার ২৯ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগেন।