• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ফেস সিরাম ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি
১০ মিনিটে উজ্জ্বলতা বাড়াবে যে মিশ্রণ
ত্বকের উজ্জ্বলতা অটুট রাখতে যারা ঘরোয়া রূপটানে ভরসা রাখেন, তারা বেসন এবং কাঁচা দুধের কদর জানেন। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্যে বেশ কার্যকর। তবে চটজলদি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর জন্যে বেসন ভালো নাকি কাঁচা দুধ, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে।  জেনে নিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে- বেসন : বেসন প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর এর ক্লিনজিং এজেন্ট ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন : বেসন আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণও নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। কাঁচা দুধ : কাঁচা দুধ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আর এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ধরে রাখে ত্বকের সুস্বাস্থ্য। ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। তাই ত্বকের মৃত কোষের স্তর সরিয়ে উজ্জ্বলতা ফেরাতে সময় লাগে না। তবে তৈলাক্ত ত্বকে ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দুধ না ব্যবহার করাই শ্রেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কারও ত্বকে যদি ব্রনের সমস্যা থাকে, তাহলে তো ব্যবহার করাই উচিত নয়। বেসন বনাম কাঁচা দুধ : তাই এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকে লাগান বেসন এবং রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ব্যবহার করুন কাঁচা দুধ। তাতেই মিলবে উপকার।
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
যে যত্নে দূর হবে চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
লিপস্টিক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো
মুখে সিরাম ব্যবহারে এ ভুলগুলো করছেন না তো!
বেশ কয়েক বছর ধরে রূপচর্চায় সিরামের ব্যবহার বেড়েছে। মুখের দাগ দূর করে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য টোনার ও ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে সিরামও এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। সিরাম ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের লাবণ্য, উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জাদুকরীভাবে কাজ করে এই সিরাম। ত্বকে প্রয়োজনীয় সব শক্তিশালী ও সক্রিয় উপাদান সরবরাহ করে ত্বককে করে প্রাণবন্ত। তবে নতুন এই প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। কারণ, এর ব্যবহার ভুল হলে ত্বকে হিতেবিপরীত হতে পারে। ভুল উপায়ে এর ব্যবহার কেবল অর্থের অপচয় মাত্র।  জেনে নিন সিরাম ব্যবহারে সতর্কতাগুলো- দিনে দুইবারই সিরাম যথেষ্ট। অনেকে যখনই মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন তখনই সিরাম লাগিয়ে নেন। এটা ঠিক নয়। সকালে ও রাতে দুই বেলা সিরাম ব্যবহার করুন। সকাল ও রাতের ত্বকে যত্ন একেবারেই ভিন্ন। কখনও ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম মাখতে হয়। আবার কখনও স্কিন কেয়ারের শেষ ধাপে সিরাম মাখতে হয়। কোন সিরাম কখন লাগাবেন তা ভালো করে জেনে এরপর ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজিং দিয়ে মুখ পরিস্কার করে নিন। ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।। এরপর টোনার লাগান। টোনারের পর সিরাম লাগাবেন। সিরাম ত্বক সম্পূর্ণরূপে শোষণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর আগে অন্যকিছুই ব্যবহার করবেন না। ত্বককে হাইড্রেট রাখবে এমন সিরাম বেছে নিন। সকালে ময়েশ্চারাইজারের পর সিরাম মাখুন। এরপর সানস্ক্রিন মেখে নিবেন। সকালে সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না। রাতে ফোমিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। স্ক্রাব করে নিতে পারেন। এতে মৃত কোষ পরিষ্কার হবে। এরপর টোনার লাগান। এরপর মুখে সিরাম মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন, মুখ ধুয়েই সঙ্গে সঙ্গে সিরাম ব্যবহার করবেন না। সিরাম কিন্তু ত্বকের জন্য বেশ গাঢ় একটি প্রডাক্ট, যার ঘনত্বও বেশি। সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আজকাল বাজারে যেসব সিরাম পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগেরই ড্রপার দেওয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে পুরো মুখমণ্ডলের নানা অংশে ড্রপার থেকে দুই-তিন ফোঁটা নিয়ে পরে হাত দিয়ে সেই সিরাম ড্যাব করে নিতে পারেন। রেটিনল ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির প্রতি অধিক সংবেদনশীল করে তোলে এবং সূর্যের আলো রেটিনল সিরামের কার্যকারিতা কমায়। নিউইয়র্ক সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হুইটনি বোয়ে রাতের বেলায় রেটিনল সিরাম ব্যবহার এবং দিনের বেলায় এসপিএফ ৩০ বা তারও বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। ত্বকে ব্রণ, অ্যাকজিমা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সিরাম বাছাই করার আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। কারণ সিরামের ঘনত্ব আপনার ত্বকের সমস্যার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ত্বকের সমস্যাগুলো আরও গুরুতর করতে পারে। ত্বকের ধরণ বুঝে কিংবা আপনার ত্বকের জন্য কোন সিরাম ব্যবহার করবেন তা দেখে কিনুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। সিরাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অযথা নিজে থেকে কিনতে যাবেন না।
পার্টির আগে ত্বকের মলিনতা দূর হবে এই ফেশিয়ালেই
শীতের বিদায়ের এই সময়য়টাতে উৎসবের যেন কোনো কমতি নেই। পার্টি, পিকনিক একের পর এক চলতেই থাকে। কিন্তু এ দিকে শীতে ত্বকের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে গিয়েছে। তার উপর সারা দিনের ক্লান্তি তো রয়েছেই। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে পার্লারে যাওয়ার সুযোগও হচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ-অনুষ্ঠানে একটু সাজগোজ করে না গেলে কি হয়! তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে যদি বাড়িতেই চকলেট ফেশিয়াল করে ফেলতে পারেন, তা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে। দেখে নিন কীভাবে করবেন চকলেট ফেশিয়াল- মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করা দরকার। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। পাশাপাশি ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে। আর ফেসিয়ালে যদি চকলেট থাকে, তাহলে পাবেন দ্বিগুণ উপকারিতা। চকোলেট ফেসিয়াল ত্বকের জন্য উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টতে ভরপুর কোকো রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বকে উজ্বলতা এনে দেয়।  প্রতিদিনের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। দেখে নিন, মুখ থেকে সমস্ত মেকআপ, ময়লা ও তেল পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।  ডার্ক চকলেট গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভে ডার্ক চকলেট গরম করে নিতে পারেন। এরপর ডার্ক চকলেট ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর এতে মধু ও টক দই মিশিয়ে দিন। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ময়েশ্চাইরাইজিং এফেক্ট রয়েছে। টক দইয়ের মধ্যে এক্সফোলিয়েটিং উপাদান রয়েছে, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে দেয়। এবার এই চকলেট ফেসপ্যাক মুখ ও গলায় মেখে নিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে ভিজে হাতে মুখে স্ক্রাব ক্রুন। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং এক্সফোলিয়েট করবে।  ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিন। শেষে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠতে নরম ও কোমল। 
ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
মুখের যে কোনও কালো দাগ বা ব্ল্যাক হেডস মুখ পরিষ্কার করার সময় তুলে ফেলাই ভালো। ত্বকে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাক হেডস তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু সব সময় তো পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন বাড়িতেই ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলার উপায়।  কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলবেন, জেনে নিন- >> ব্ল্যাকহেডস তুলতে বেকিং সোডা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সাধারণ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। মুখের যে সব অংশে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার তা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক দিনে যদি না ওঠে তাহলে পর পর দু'তিন দিন ব্যবহার করুন। >> ব্ল্যাক হেডস তুলতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে টমেটো। প্রথমে টমেটো পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ এবার লাগিয়ে নিন ব্ল্যাক হেডসের ওপর। পুরো মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন। >> আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ডিম ভেঙে কুসুম প্রথমেই আলাদা করে নিন। এরপর সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন ব্ল্যাকহেডসের ওপর। মিশ্রণ পুরো শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ খুব সহজেই রোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
অল্প খরচে ঘরেই বানিয়ে নিন ফেস সিরাম
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকই তাদের প্রতিদিনের বিউটি রুটিনে যোগ করেছেন ফেস সিরাম। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই প্রসাধনী। আপনিও যদি ত্বকের উজ্জলতা নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার করতে পারেন ফেস সিরাম। সেক্ষেত্রে আপনি বাজারে কেনা ফেস সিরাম কাজে লাগাতেই পারেন। কিন্তু সেসব প্রোডাক্টে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়। আর আপনি যদি ত্বকে একান্তই কোনও রাসায়নিক না লাগাতে চান, তাহলে ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ফেস সিরামের ওপরে। ঘরোয়া এই সিরাম বানাতে খরচ কম আর কার্যকারিতাও পাবেন প্রচুর। জেনে নিন তৈরির প্রক্রিয়া- ভিটামিন সি ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়বে ১/২ চামচ ভিটামিন সি পাউডার, ১ টেবিল চামচ ডিসটিলড ওয়াটার, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১/৪ ভিটামিন ই অয়েল এবং ৫-৬ ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল। এবার একটি পাত্রে ডিসটিলড ওয়াটার, গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপরে তাতে যোগ করুন ভিটামিন সি পাউডার। এরপরে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ঢেলে রাখুন কাচের বোতলে। রোজ ওয়াটার ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানাতে আপনার প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও রোজ ওয়াটার। একটি পাত্রে প্রতিটি উপকরণ নিয়ে ভালো করে মেশান। তারপরে কাচের বোতলে ঢেলে রাখুন। ভিটামিন ই ফেস সিরাম- এই ফেস সিরাম বানানোর জন্যে আপনার প্রয়োজন ৩ থেকে ৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, জোজোবা অয়েল, রোজহিপ অয়েল এবং আর্গন অয়েল। একটি পাত্রে এক চামচ করে প্রতিটি তেল নিন। এরপরে সেই মিশ্রণে ৩-৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে দিন। প্রতিটি উপকরণ মেশানো হলেই তৈরি আপনার ভিটামিন ই ফেস সিরাম। ব্যবহারের নিয়ম শিখে নিন- এই ৩ ফেস সিরামের মধ্যে যে কোনও একটি আপনি নিয়মিত রাতে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে মুখ ক্লিনজিং করে টোনার লাগান। তারপরে এই ফেস সিরাম কয়েক ফোঁটা আপনার সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এবার হাতের তালুর চাপে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন ৫-১০ মিনিট। এতেই উপকার পাবেন পুরোপুরি। 
এক টুকরো শসাতেই মিলবে ঘন-কালো চুল
প্রতিদিন মাথার ত্বকে ধুলো ময়লা জমে নষ্ট হয় চুলের সৌন্দর্য। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। তাই চুল ও মাথার ত্বক সব সময় ঝলমলে রাখতে নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। আর আমাদের মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শসার রস। শসার রস আমাদের ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী। নিয়মিত শসার রস মাথার ত্বকে মালিশ করলে অনেক উপকারই পাবেন। চুলকে স্বাস্থ্যেজ্জ্বল করে তুলতে শসার রস ব্যবহার করুন এই নিয়মে- শসার ছোট টুকরো সরাসরি স্ক্যাল্পে ঘষতে পারেন কিংবা চুলের গোড়ায় মালিশ করতে পারেন। শসার টুকরো লাগানোর পরিবর্তে আপনি শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শসার কুচি থেকে সাদা কাপড়ে রস ছেঁকে নিন। তারপর সেই রস স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। পরের ধাপ- শসার রস স্ক্যাল্পে লাগানোর পরে অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এতেই উপকার পাবেন।  দেখে নিন তালিকা:  স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখবে- শসার রস স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্ক্যাল্প সহজেই রুক্ষ হয়ে যাবে না আর চুলের উজ্বলতাও অটুট থাকবে। লম্বা চুল পাবেন আপনি- শসার রস মালিশ করার ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। ফলে হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাবে। আর হেয়ার গ্রোথ হবে দেখার মতো। সংক্রমণ দূরে থাকবে- স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে, ফলে স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ হানা দেবে না। আর চুলের উজ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাতলা চুলও অতীত- চুল পাতলা হয়ে যাবে না। চুলের শাইন অটুট থাকবে। হেয়ার ফলিকলগুলো মজবুত হবে। তাই এই সপ্তাহ থেকে এই শসার রস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
উৎসবের আমেজে ভালোবাসায় মুড়ে নিন ত্বককেও
একদিন পরেই চলে আসবে সরস্বতী পুজো, ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস। সব মিলিয়ে বাতাসে বইছে উৎসবের আনন্দ। চারদিকে সুসজ্জিত হয়ে উঠছে। কিন্তু এমন সময়ে যদি চোখের তোলায় ফোলাভাব, মুখে-চোখে ক্লান্তিভাব থাকে, তাহলে কি শাড়ি পরে মেকআপ দিয়ে উজ্জ্বলতা পাওয়া যাবে? এর জন্য আপনাকে স্কিন কেয়ারের ওপরই জোর দিতে হবে।  কী-কী করবেন আর কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস- ফেসিয়াল: বয়স যদি কুড়ি পার হয় তাহলে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। এমন ফেসিয়াল বেছে নিন, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ, ট্যান তুলে দেবে। পাশাপাশি ত্বকে এনে দেবে প্রাকৃতিক জেল্লা। বাজারচলতি ফেসিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। তবে, শেষ মুহূর্তে কোনও নতুন পণ্য ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ওপর কোনও র‍্যাশ বেরোলে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ম্যাসাজ: বিশেষ দিনের আগে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফুটে ওঠে। যে কোনও বিউটি অয়েল কিংবা ক্রিম দিয়ে আপনি মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রয়োজন ম্যাসাজ রোলার ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা সেরে ঘুম দিলে পরদিন সকালে গ্লোয়িং ত্বক পাবেন। পানি পান করুন: দেহে পানির ঘাটতি থাকলে কোনওভাবেই ত্বকের জেল্লা ফুটে উঠবে না। ডিহাইড্রেশন ত্বককে শুষ্ক দেখায়। তার সঙ্গে ব্রেকআউটের সমস্যা বাড়ায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে যেমন ত্বক হাইড্রেট থাকবে, তেমনই উজ্জ্বল দেখাবে। ঘুম দরকার: আপনি সারাদিন যতটা কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপের মধ্যে কাটাবেন, আপনার ত্বকের ওপরও তার প্রভাব পড়বে। তাই রাতে ভালো ঘুম দরকার। ঘুম ভালো না হলে চোখ ফুলে থাকবে, ত্বক ক্লান্ত দেখাবে। আর গাঢ় ঘুম হলে পরদিন সকালে নিজেই চোখ সরাতে পারবেন না ত্বক থেকে। ত্বকের যত্ন নিন: শেষ মুহূর্তে ত্বক নিয়ে নতুন এক্সপেরিমেন্ট করবেন না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং এই ৩ স্টেপ অবশ্যই মেনে চলুন। এতে ত্বকের সমস্যা কমবে। ত্বক হাইড্রেট থাকবে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।
অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।