• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
যুদ্ধের সময় সহযোগিতা মানে দিল্লির দাসত্ব নয়: সালাম
নির্বাচনের পরেও একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান
নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।  
আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে : ফখরুল
৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির
সরকার নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না: ফখরুল  
বিএনপির আরও চার নেতা বহিষ্কার
আরও ৫১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় ৫১ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নিলো দলটি। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি। শুরুতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। জবাব দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে তাদের। বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ৫১ জনের মধ্যে রংপুর বিভাগের ১২ জন। রাজশাহী বিভাগর ৪ জন। বরিশাল বিভাগে ৫ জন। ঢাকা বিভাগে চারজনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ৫ জন, খুলনায় ৪ জন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তাদের তিন-চারজন ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। এছাড়া এই নোটিশ পাওয়ার পরও যারা নির্বাচনে থাকবেন, আগের দুই ধাপের মতোই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ পর্যন্ত ১৯৩ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয় ৬১ জনকে। প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় বিএনপির ২৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ৭ জন। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। বহিষ্কারের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
আ.লীগের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত দেশের মানুষ: ফখরুল
আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানি সংকটসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।  তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব এরপর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে যেভাবে পানি প্রত্যাহার করছে, তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। সুতরাং ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে যে ঐতিহাসিক লং মার্চ এগিয়ে গিয়েছিল, তা যেকোনো অধিকার আদায়ে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। বাণীতে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।  
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৪৫ নেতাকে শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৪৫ জন নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) পাঠানো ওই চিঠির বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে শোকজ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেন তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি ৮২ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬৬ জনকে বহিষ্কার করে। আর তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত কতজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যাটি পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত কতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ভোটে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এরইমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ৪৫ জনকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতার মধ্যে ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি নেতারা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।  
লু নয়, জনগণের শক্তিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরের ওপর নির্ভর করছে না বিএনপির আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপিকে কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগেও  জনগণ নিজের শক্তিতে পায়ের ওপর ভর করে আন্দোলন করেছে, এখনো করবে। জনগণের শক্তিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে গণঅধিকার পরিষদ ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অনেকে। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বিনা ম্যান্ডেটে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম ও লড়াই করে আসছে। এতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তরুণ এবং ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেকোনো পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে তরুণ এবং ছাত্রসমাজ বড় ভূমিকা পালন করে। যারা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরাল ছিল। আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে আমি আশাবাদী। জনগণকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন। 
‘ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা কিছু না বললেও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা খুব উত্তেজনার মধ্যে আছেন। তাদের উত্তেজনা কোনোভাবেই প্রশমিত হচ্ছে না। তারা মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। ভয়ে তারা প্রলাপ বকছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।   রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা মনে করেন, লু এসে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবেন।’ কিন্তু বিএনপির নেতারা কোথাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ভয় থেকে প্রলাপ বকছেন। তিনি কি জ্বরে ভুগছেন কি না! মনে হয় তিনি বড় ধরনের অস্থিরতায় আছেন। তিনি বলেন, সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে, অথচ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ ২৫-২৬ হাজার নেতাকর্মীকে তারা গ্রেপ্তার করে। সে নির্বাচনে অন্য কোনো দল অংশ নেয়নি। জনগণও তাদের ভোট দিতে যায়নি। গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করে এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। সুষ্ঠু ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা। বিএনপির এ নেতা বলেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, ‘তার কর্মজীবনে অর্থনীতির এমন খারাপ অবস্থা দেখেননি।’ জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী বলেছেন, ‘বর্তমান অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য পশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছে।’ তাদের এরকম বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং জনগণকে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাদের প্রতিটি কাজ অবৈধ।
ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে বিএনপির ফারুক যা জানালেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙা হয়ে ওঠেছিল তার সফরকে নিয়ে। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর সেই ডোনাল্ড লু আবার ঢাকায় আসছেন। এ সফর নিয়েও সরকার দলীয় নেতারা বিএনপির দিকে তির্যক বক্তব্য দিচ্ছে। তবে তা পরিষ্কার হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বক্তব্যে। ফারুক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরে বিএনপি উৎসাহী নয়। এই বিষয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। বিএনপি জনগণের দল। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন যেই দেশের নেতা দেখাবে তাকে আমরা অভিনন্দন জানাব। মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে আমদানি করা খাদ্যপণ্য যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেন, কোথায় লু, কোথায় আপনি, কোথায় আমেরিকা- এই বিষয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। লু নিয়ে এত উৎসাহিত আমরা নই, লু নিয়ে উৎসাহিত আপনারা (আ.লীগ)। লু কী বার্তা নিয়ে আসছেন, সেটা আপনারা জানেন, আমাদের জানার কথা নয়। কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আপনারা বসে আছেন। ভারত বয়কটের বিষয়ে বলতে গিয়ে ফারুক বলেন, ইসলামাবাদের জিঞ্জির ভেঙেছি দিল্লির শাসন গ্রহণ করার জন্য নয়। অবৈধভাবে আসা প্রতিবেশী দেশের পণ্য বন্ধ করতে হবে। যেগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। তাদের সঙ্গে যত অবৈধ চুক্তি আছে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।  বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, দেশের মানুষ জেগেছে। কেনো মুদ্রাস্ফীতি এভাবে বেড়ে যাচ্ছে। আজকে রিজার্ভ তলানিতে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে বর্তমান সংকট আপনাদের দ্বারা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আর কোনোদিনও সম্ভব হবে না।  অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
‌‘বিদেশি সাহায্য বন্ধ হলে আ.লীগের নিঃশ্বাসও বন্ধ হয়ে যাবে’
বিদেশি সাহায্য যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে তখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) নিঃশ্বাসও বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিদেশি সাহায্য যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে তখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আওয়ামী লীগ শব্দটা আর মুখে আনা যাবে না। বিদেশিদের নির্ভরতায় যারা দেশ পরিচালনা করে, ক্ষমতায় থাকলেই কিন্তু জনগণের হৃদয়ে তাদের জন্য স্থান হয় না। জনগণ তাদের ঘৃণা করে।’ তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। মানুষ যে ভোট দেবে এবং ভোট দিতে পারবে কি না এই আত্মবিশ্বাসটা মানুষের মধ্যে নেই, সেজন্য তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। গণতন্ত্রের যে মূল জায়গা রয়েছে সেটিকে আপনি (শেখ হাসিনা) ধ্বংস করে ফেলেছেন।’ এ সভায় নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর স্মৃতিচারণ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, পিন্টু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে বৃহত্তর লালবাগে তার নেতৃত্বে বিশাল আন্দোলন গড়ে উঠত। আজকে বিএনপির আন্দোলনে তার একটা বড় ভূমিকা থাকত। তাই আমাদের সবসময় নাসির উদ্দিন পিন্টুকে স্মরণ করতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত যুব ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাড. নাহিদুল ইসলাম নাহিদ। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীন প্রমুখ।