• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মামুনুল হক
মামুনুল হক ডিবিতে
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি। তবে তিনি কী কারণে বা কী বিষয়ে কথা বলেছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণ পর জানানো হবে বলে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ মে মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে তখন জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
কমিউনিস্ট নেতা রনোর জানাজা সোমবার, দাফন বনানী কবরস্থানে
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন
গরম কমলে আরও বড় আন্দোলনে নামব: মান্না
ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা: সেই ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার দায়ে কারাবন্দি সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়কে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।  দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।    বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ঢাকার সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া (২৩) নামে এক অভিনয়শিল্পী। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিজয় সোনাগাজীর চরচান্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। এক তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ এপ্রিল তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল উপজেলা ছাত্রলীগ। সন্তোষজনক জবাব দাখিল করতে না পারায় তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার খালিশপুরের রায়ের মহল আবদুল মালেক রোডের এক তরুণীকে (২৩) বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করেন বিজয়।  একসময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিজয়সহ আরও চারজন ভ্রূণ হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে বিজয়সহ পাঁচজনের নামে মঙ্গলবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে মামলা করেন।  মামলার আসামিরা হলেন— ইকবাল হাসান বিজয়, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে সুমন মিয়া (৪৫), রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন রনি (২২), আহম্মদ করিমের ছেলে মাহমুদুল করিম তুহিন (২১) ও মো. লিটনের ছেলে মাহাদী (২২)। ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলায় বিজয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।  
চুন্নুকে ব্যারিস্টার সুমনের পাল্টা জবাব
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর তর্ক বেশ তুঙ্গে। একে অপরকে নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। চুন্নু সংসদে সুমনের বিচার চাওয়ার পর বুধবার (৮ মে) আদালত প্রাঙ্গণে পাল্টা ক্ষোভ ঝাড়লেন সুমন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন সরকারি বরাদ্দ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব ফেসবুকে দিয়েই যাবো। আমি বুঝতে পারছি না, স্বচ্ছতার মধ্যে সমস্যাটা কোথায়! আমি যদি স্বচ্ছ হতে চাই, যে বরাদ্দ পাই, এটা যদি আমি বলে দিতে চাই, এখানে এমপি হিসেবে কী অপরাধটা আমি করেছি? আমার দুঃখ হয়েছে, তার এলাকার মানুষের জন্য, যাদের কাছ থেকে তিনি এমপি হয়ে সংসদে এসেছেন। ওই এলাকার মানুষের অধিকার নেই তাদের এমপি কত টাকা বরাদ্দ পান, সেটা জানার। সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ চুন্নু স্পিকারের কাছে বিচার দিয়েছেন। যেহেতু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলেছেন, সেহেতু উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাইনি বলে জানিয়েছেন সুমন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে তিনি বিরোধিতা করবেন সরকারি দলের, কিন্তু তিনি বিরোধিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। কী বিষয়ে করছেন? তার তো আরও খুশি হওয়ার কথা যে, আমরা আমাদের হিসাব দেওয়া শুরু করেছি। চুন্নুর বক্তব্য ছিল, আমি যেন কোনোভাবেই ফেসবুকে না জানাই, কে কত টাকা বরাদ্দ পাই। শাড়ি প্রসঙ্গ টেনে এনে সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকাতে শাড়ি বণ্টন করার জন্য দিয়েছিলেন। এটা যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, এটা কী আমি বলবো না? এটা কী আমি লুকিয়ে রাখবো, এটা কী আমি বিক্রি করে দেবো? আমি কিন্তু বারবার বলেছি, এমপি পদ কিন্তু আমার পেশা না। আমি সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করি। আমি কথা দিয়েছি, এমপি হিসেবে একটি টাকাও হারাম খাবো না। তাই যে টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওবা, সেটা আমি তুলে ধরবো।  এই টাকার কথা বলে দেওয়ার কারণে মুজিবুল হক চুন্নুর সমস্যা হচ্ছে দাবি করেন সুমন। চুন্নুর বুদ্ধির প্রশংসা করে সুমন বলেন, তিনি বুদ্ধি করে আরেকটা কাজ করেছেন, বাকি এমপিদের দলে টানার জন্য যে, ৩৪৯ জন এমপির বদনাম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। কী আশ্চর্যের ব্যাপার, একটা মানুষ এমপি হওয়ার পর তার নামে আসা বরাদ্দটা বলবে না? আমি বলে দেব। আমার মনে হয়, তার রাজনীতি করাটাই পেশা। এটা থেকে তিনি সবকিছু নির্বাহ করেন কি না আমার জানা নেই। তার আলাদা কোনো পেশা থাকলে তিনি এটা নিয়ে চিন্তা করতেন না।  এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত এক আলোচনায় ব্যারিস্টার সুমনকে তুলোধুনা করেন চুন্নু। ফেসবুক স্ট্যাটাসকে ইঙ্গিত করে চুন্নু জাতীয় সংসদে বলেন, আমাদের একজন সংসদ সদস্য, নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী। এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলেন না, গোপন করেন। তিনি বলেছেন, এক লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই, এটা তো লুকানোর কিছু নেই, সংসদের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। এরপর তিনি আরও বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা কীভাবে পেলেন? তিন কোটি টাকা গমের জন্য, আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে চুন্নু বলেন, এই ২৮ কোটি টাকা কী আমি পেয়েছি? আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী কী পেয়েছেন? এরই মধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন যে, ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই? তিনি বলেছেন, ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি। এবার পাঁচ বছরের জন্য ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের নাম দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য কয়টা প্রকল্প করব, তার নাম দিয়েছি আমরা। টাকার সঙ্গে তো আমার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ জরিপের পর টেন্ডার করে, তারপরে তারা কাজ ও বাস্তবায়ন করে। সুমনকে ইঙ্গিত করে চুন্নু আরও বলেন, ওই সংসদ সদস্য বলেছেন, আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু তাই না, তিনি আরও বলেছেন যে, এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম। এটা তো বড় ব্যবসা। আপনি (স্পিকার) এ সংসদের অভিভাবক। তার কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপির সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য সুমন এমন কাজ করছে বলে ইঙ্গিত করেন চুন্নু। এ সময় তিনি ৩৪৯ এমপির ইজ্জত রক্ষার জন্য সুমনকে ডেকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান স্পিকারের কাছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের ১৬০ দেশে: নানক
বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ মেইড ইন বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানি কারক দেশই নয়, নিরাপদ পোশাক প্রস্তুতকারী দেশও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা এ দেশে। এবারের ডেনিম এক্সপোতে ১৩টি দেশ থেকে ৬০টির বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নানক বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ডেনিম মেলাগুলোর মধ্যে প্রশংসনীয় আয়োজন এটি। এ দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ কর্মী আছেন এই শিল্পে। যার ৬৫ শতাংশ নারী। এদেশের ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর এদেশে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আজকে আমি অনুরোধ করব, পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডেসটিনেশন হিসেবে নেবেন। পোশাকের যথাযথ মূল্য আপনারা দেবেন। আফ্রিকার কোনো নন কমপ্লায়েন দেশের পোশাকের তুলনায় এদেশে পোশাকের মূল্য একটু বেশি হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস দাবি করে তিনি বলেন, তারা প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই পোশাক শিল্পকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, বিজিএমইএ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এস.এম. মান্নান কচি, এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপীয়র আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমানসহ অনেকে।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রণো হাসপাতালে
বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত বামপন্থি বুদ্ধিজীবী হায়দার আকবর খান রনো গুরুতর অসুস্থ। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা। বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন রনো। চিকিৎসক চন্দ্রশেখর বালা বলেন, হায়দার আকবর খানের তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে এলেও তিনি বিপদ–মুক্ত, তা বলা যায় না। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি (হায়দার আকবর খান) সার্বক্ষণিকভাবে অক্সিজেন নিয়ে চলতেন। কয়েক দিন হলো তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। তবে তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতেন। সোমবার সন্ধ্যায় বারবার ঘামছিলেন। এসময় শ্বাসকষ্টও বেড়ে যায় তার। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট জন্ম নেওয়া হায়দার আকবর খান রনো ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একাধারে তাত্ত্বিক, বুদ্ধিজীবী এবং লেখক। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭০ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না সিপিবি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির অভিযোগ, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে। তাই এ নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। রোববার (৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিপিবি। দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জনগণের তথা মেহনতি শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত বৃদ্ধি করাসহ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের গণদাবিগুলো সরকার উপেক্ষা করায় জনগণের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ আরও সংকুচিত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও ধনীমুখী হয়ে পড়েছে। টাকার খেলা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর এ অবস্থা বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে আরও পাকাপোক্ত করছে। এতে আরও বলা হয়, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, অপরাধী, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এবং মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ক্ষমতা দখলের পথ আরও প্রশস্ত করবে। তৃণমূলে টাকার খেলা, গোষ্ঠীতন্ত্র, অপরাধ, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
ট্রান্সজেন্ডার অধ্যায় বাদসহ যা চায় হেফাজতে ইসলাম
ট্রান্সজেন্ডারসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয় নিয়ে হেফাজত ফের দৃশ্যমান। তারা কোরআনবিরোধী বিবর্তনবাদসহ পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত ও  ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্য রচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ চাইছে। পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সাত দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রোববার (৫ মে) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত বর্তমান জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সেমিনারের সাত দফা দাবির এ ঘোষণা দেয় দলটি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী শিক্ষা বিষয় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামী শিক্ষা বিষয় পুনর্বহাল করা। বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কোরআন বিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সব পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণ পূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করা। ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনঃসংস্করণ করা। আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষার পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা। তাদের মতে, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।
ঢাকঢোল পিটিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে কী বললেন মির্জা ফখরুল
ছয় মাস পর রবিবার সংবাদ সম্মেলন করার ডাক দিয়ে তোলপাড় তুলেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি আলোড়ন তোলার মতো নতুন কিছু না বলায় হতাশ হয়েছেন কর্মীরা। এমনকি বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বারবার ঘোষণা ও তথাকথিত আন্দোলনের যে দাবি করলেন তা তাদের দৈনতার প্রকাশ। চারদিন আগে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলনের দরকার ছিলো না। গণমাধ্যমকে আকর্ষণ করার জন্য কৌশল নেওয়া হলো নাকি কিছু বলতে চেয়ে বললেন না মির্জা আলমগীর সেই আলাপও আছে। রবিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। সেখানে তিনি গত ৮ মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান। এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছিল।  যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কে আসলো না আসলো এটা নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের ভরসা। আমাদের পুরো আস্থা (জনগণ)। সেই আস্থার ওপরেই আমরা দাঁড়িয়ে থাকি। যদিও রাষ্ট্রদূতদের কাছে গিয়ে সমাধান চাওয়া বিষয়ে বিএনপির দৃশ্যমান দৌড়ঝাঁপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে গত ছয় মাস। দ্বাদশ নির্বাচনের আগে পিটার হাসকে ‘অবতার’ বলেও উল্লেখ করেন দলটির নেতারা।  বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দেশে যে ভয়াবহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি দলের সমর্থক সঙ্গে সম্পৃক্ত ঋণ খেলাপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেহেতু এই সরকারের কোনও স্তরেই কোনও জবাবদিহিতা নেই সেহেতু লাগামহীনভাবে ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, জনগণের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোত্র তৈরি করা হচ্ছে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই এলাকা। এখানে কারা প্রবেশ করছে বা করছে না তার একটা হিসাব থাকা জরুরি। কয়দিনে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে আবারও সাংবাদিকরা অনুমতি নিয়ে ঢুকতে পারছেন। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি।  বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এটি বললে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কিন্তু এটিই সত্য —বলেন মির্জা ফখরুল। খালেদা জিয়ার অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যার কারণে ঘন-ঘন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি বাসায় থাকলেও ২৪ ঘণ্টা মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ঠিক কবে থেকে খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন জানতে চাইলে একাত্তরের ঘাতক ও দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, আমাদের এখানে একাত্তরে যারা নির্যাতনের ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সেই বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযুদ্ধের সম্মান দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া যদি মনে করেন তিনি পাকিস্তান বাহিনী দ্বারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করতে পারেন। তা নাহলে তিনি কিসের ভিত্তিতে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন কেনো? ইতিহাস বলছে, অন্য সেক্টর কমান্ডাররা যুদ্ধে যাওয়ার সময় পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমান একা গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া যেতে চাননি। স্বেচ্ছায় তিনি সেনানিবাসে গিয়ে ছিলেন।