• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
শেষ মুহূর্তের গোলে মায়ামির জয়
মেসির ন্যাপকিন পেপারের দাম সাড়ে ১১ কোটি টাকা!
সেই ২০০০ সালে ১৩ বছর বয়সী লিওনেল মেসিকে বার্সার ডেরায় ভেড়াতে কি কাণ্ডটাই না করেছিল সে সময়ের ক্লাব কর্তারা। মেসিতে মুগ্ধ সে সময়ের বার্সা কর্তারা সে বছরের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনা টেনিস ক্লাবে মেসির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, আর সে চুক্তিটি হয়েছিল একটি ন্যাপকিন পেপারে।   এ গল্প আপনারা অনেকেই জানেন। ১৩ বছর বয়সী মেসির লুকায়িত ফুটবল মেধাকে ঠিকই দেখে ফেলেছিলেন সে সময়ের বার্সা কর্তারা। তাকে যাতে অন্য কোনো ক্লাব নিতে না পারে, সে জন্য তাড়াহুড়ো করে একটি ন্যাপকিন পেপারের ওপর সেই চুক্তি করা হয়েছিল।  গত ফেব্রুয়ারিতেই ঘোষণা হয়েছিল, ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার মার্চে নিলামে তুলবে ব্রিটিশ নিলাম প্রতিষ্ঠান বোনহামস। চলতি বছর মার্চে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছিল, নিলামে ন্যাপকিন পেপারের দাম উঠতে পারে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাস্তবে সে দামকেও ছাড়িয়ে গেল। বোনহামস জানিয়েছে, ৩ লাখ ডলার ভিত্তিমূল্যের ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  মেসির কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু সেই ক্যাম্প ন্যু থেকেই। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেসির সঙ্গে করা সে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস। মেসির নাম প্রথম সুপারিশ করেছিলেন আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি।  বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে।  চুক্তির শুরুতে অবশ্য কিছুটা বাধ সেধেছিলেন মেসির বাবা হোর্হে মেসি। তিনি তার ছেলেকে আর্জেন্টিনায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তবে হোর্হেকে আশ্বস্ত করতে বার্সা তড়িঘড়ি করে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তিটি সম্পন্ন করে। এই ন্যাপকিন পেপারে গ্যাগিওলি, মিনগেলা ও রেক্সার্সের সই আছে। সেখানেও আছে এক মজার ঘটনা।  বার্সার সেই সময়ের ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স সে সময় ঘটনাস্থলে একজন ওয়েটারের কাছে কাগজ চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ওয়েটার হাতের সামনে কোনো কাগজ না পেয়ে সামনে থাকা ন্যাপকিন তুলে দেন রেক্সার্সের হাতে। ব্যাস! এরপরই এই ন্যাপকিনেই চুক্তি সেরে নিয়ে ইতিহাস তৈরি করে মেসি ও বার্সা। সেই ন্যাপকিন এবার নিলামে বিক্রি হলো রেকর্ড দামে। মেসির বার্সা অধ্যায় শেষ হবার পর এই ন্যাপকিন নিলামে ওঠার গুঞ্জন ওঠে। চলতি বছরের শুরুর দিতে সবকিছু প্রকাশ্য হয়।  বার্সার হয়ে ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ, ১০ বার লা লিগা জয়ের পর ২০২১ সালে মেসি পিএসজিতে যোগ দেন। এরপর গত বছর মেসি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।  
লিভারপুলের নতুন কোচ চূড়ান্ত
প্রথমবার কিংস অ্যারেনায় গিয়ে যা বললেন পাপন
ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের ইস্যুতে আইনি পরামর্শ চায় ফিফা
নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের ফুটবল
২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে জোট বেঁধেছিল ইউরোপের তিন দেশ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম। তবে আয়োজক হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত ফলাফল তাদের পক্ষে আসেনি।  ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে ব্রাজিল। এককভাবে নারী বিশ্বকাপের দশম আসরের আয়োজন করবে তারা। আর লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে এই দায়িত্ব পেয়েছে সেলেসাওরা। শুক্রবার (১৭ মে) ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। ফলাফলে ১১৯টি ভোট পেয়েছে ব্রাজিল। অন্যদিকে মাত্র ৭৮টি ভোট পেয়েছে ইউরোপের তিন জায়ান্ট। এদিকে চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগেই ব্রাজিলের পাল্লা ভারী ছিল। মূলত ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে এগিয়ে ছিল লাতিন দেশটি। এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেসের ভাষ্য, ‘আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।’ ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর আশা, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।’ এর আগে, আয়োজক হওয়ার দৌড় থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। অতিরিক্ত চাপ বিবেচনায় বিড থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় তারা। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করছে ফিফা। সবশেষ গেল বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছিল বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের নবম আসর। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন।
কোপার আগে আরও দুই ম্যাচ আর্জেন্টিনার, প্রতিপক্ষ কারা?
আগামী ২০ জুন থেকে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে আর্জেন্টিনা। তবে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের আগে আরও দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লিওনেল মেসির দল। এর মধ্যে একটিতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার ইকুয়েডর এবং অন্য ম্যাচে গুয়েতেমালার মোকাবিলা করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ দুটির প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এই দুটি ম্যাচের সংবাদ আগেই জানা গিয়েছিল। তবে প্রতিপক্ষ ও ম্যাচের ভেন্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। এবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে এএফএ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ইকুয়েডর এবং ১৪ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে গুয়েতেমারার বিপক্ষে ম্যাচগুলো হবে। এদিকে প্রস্তুতির জন্য লাতিন আমেরিকান দল ইকুয়েডরকে সেরা প্রতিপক্ষ মনে করছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ৩ জয় আর ২ ড্রয়ের বিপরীতে মাত্র একটিতে হেরেছে ইকুয়েডর। এই ম্যাচ নিয়ে স্ক্যালোনির ভাষ্য, ‘খেলোয়াড়েরা লম্বা একটা মৌসুম শেষ করে খেলতে নামবে। অনেকেরই মৌসুমজুড়ে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। যে দুটি ম্যাচ আছে, এর মধ্যেই দল প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইকুয়েডর কঠিন প্রতিপক্ষ। আর গুয়েতেমালা ম্যাচে অনেক দর্শক হয়। সেটাও ভালো ম্যাচই হবে। কারণ, মানুষ দিন শেষে ভালো ফুটবলই দেখতে আসে।’ উল্লেখ্য, কোপায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ২০ জুন আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। ২৫ জুন নিউজার্সিতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ চিলি। এ ছাড়া গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে মেসিদের প্রতিপক্ষ পেরু।
ইউরোর জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের
আর মাত্র ২৯ দিন পর জার্মানিতে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের। টুর্নামেন্টটিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করতে শুরু করেছে জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো বড় বড় দলগুলো। সেই তালিকায় এবারে যুক্ত হলো নেদারল্যান্ডসের নামও।  শুক্রবার (১৭ মে) ইউরোর জন্য দল শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে ডাচ ফুটবল ফেডারেশন। দলে ফেরানো হয়েছে ইনজুরিতে আক্রান্ত ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে। ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে চূড়ান্ত দলে রাখা হতে পারে তাকে। এদিকে ৯ মাস বিরতির পর আবারও নেদারল্যান্ডসের দলে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক জর্জিনিও ভাইনালদাম। লিভারপুলের তিন ফুটবলার ফন ডাইক, রায়ান গ্রাভেনবার্খ এবং কোডি গাকপো দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে ডাচদের হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা জাভি সিমন্স, ব্রায়ান ব্রবি এবং ডনিয়েল ম্যালেনও রয়েছেন দলে।  ৩০ জনের দল দিলেও ডাচ কোচ কোম্যান বলেছেন, আগামী ২৯ মে চূড়ান্ত ২৬ জনের দল ঘোষণা করবেন তিনি।   ইউরো ২০২৪-এ গ্রুপ 'ডি' তে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। যাদের গ্রুপে রয়েছে সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাকি দুই দল হিসেবে রয়েছে অস্ট্রিয়া ও পোল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসের ইউরো প্রাথমিক দল: গোলরক্ষক: বার্ট ভারব্রাগেন, নিক ওলি, জাস্টিন বিলো, মার্ক ফ্লেকেন। ডিফেন্ডার: ডেনজেল ডামফ্রাইস, জেরেমি ফ্রিমপং, লুটশারেল গার্টরুইডা, নাথান আকে, ডেলি ব্লিন্ড, ভার্জিল ফন ডাইক, মাথিয়াস ডি লিট, ইয়ান মাতসেন, মিকি ফন দি ফেন, স্টেফান দি ভিজ। মিডফিল্ডার: মার্টেন ডি রুন, রায়ান গ্রাভেনবার্খ, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, টিউন কুপমেইনার্স, টিয়ানি রেইনডার্স, জার্ডি শাউটেন, জাভি সিমন্স, কুইন্টেন টিম্বার, জোয়ে ভিরম্যান ও জর্জিনিও ভাইনালডাম। ফরোয়ার্ড: স্টেভেন বার্গউইন, ব্রায়ান ব্রবি, মেম্ফিস ডিপাই, কোডি গাকপো, ডনিয়েল ম্যালেন, ভাউট ভেগহোর্স্ট। 
আয়ে সবার শীর্ষে রোনালদো, মেসি কোথায়?
বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে পাড়িজমিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফলে আয়ও বেড়েছে এই পর্তুগিজ পোস্টারবয়ের। সেই সঙ্গে আবারও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্যনকারি খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এর মতে বাৎসরি সর্বাধিক ২৬ কোটি ডলার আয় করেন রোনালদো। সৌদি লিগের ক্লাব আল নাসর থেকে রোনালদোর আয় প্রায় ২০ কোটি ডলার। আর বাকি ৬ কোটি আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে করা চুক্তি থেকে। এদিকে গত বছর দুই নম্বরে থাকলেও এবার তালিকার তিনে নেমে গেছে রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। এই আর্জেন্টাইনকে টপকে দ্বিতীয় সেরা আয় করা খেলোয়াড় এখন স্প্যানিশ গলফার জন রাম রদ্রিগেজ। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা উপার্যন করেন ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাৎসরিক ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার উপার্যন করে তৃতীয় সেরা লিওনেল মেসি। ফোর্বসের এর আগের তালিকায় একই আয় নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে ছিলেন এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা। পরের দুই স্থান বাস্কেটবল সুপারস্টারদের। ১২ কোটি ৮২ লাখ ডলার আয় নিয়ে চতুর্থ সেরা কিংবদন্তি লেব্রন জেমস। পঞ্চম স্থানে আছেন ইয়ানিস আটিটোকোম্পো। এই নাইজেরিয়ান বংশদ্ভুত গ্রীক তারকার আয় ১১ কোটি ১০ লাখ ডলার। খুব কাছাকাছি আয়ে পরের তিনস্থান দখল করে আছে ফুটবলাররা। ষষ্ঠ সেরা উপার্যন করা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজি ছাড়তে যাওয়া এই তারকার আয় ১১ কোটি ডলার।  বছর জুড়ে ইনজুরিতে থাকলেও আয় কমেনি নেইমারের। আল হিলালের এই ব্রাজিলান ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করে আছেন ৭ নম্বরে।  পরের স্থানেও আছেন সৌদি লিগে খেলা আরেক তারকা করিম বেনজেমার। ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় করে তালিকার ৮ নম্বর স্থান দখল করে আছেন আর ইত্তিহাদের এই ফরাসি স্টার। বাস্কেটবলে আরেক নক্ষত্র স্টিফেন কারি আছেন তালিকার ৯ নম্বরে। ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার আয় করেন এই তারকা। ১০ স্থান পেয়েছেন রাগবি খেলোয়াড় লামার জ্যাকসন। এনএফএলের এই তারকার বাৎসরিক আয় ১০ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এমবাপ্পেকে অধিনায়ক করে ইউরোর স্কোয়াড ঘোষণা ফ্রান্সের
২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের কারিগর ও কাতার বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলতে দারুণ অবদান রেখেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। যার ফলে গত বছর জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পান এই ফরাসি তারকা। এবার তার নেতৃত্বে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স। এমবাপ্পেকে অধিনায়ক করে ইউরোর ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। এই দলে সবচেয়ে বড় চমক ফারল্যান্দ মেন্দি ও এন’গোলে কাঁতে। দুজনকেই দুই বছর পর স্কোয়াডে ডাকা হলো। দলে একমাত্র নতুন মুখ পিএসজির ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার ব্রাডলি বারকোলা। লিওঁর যুব দল থেকে উঠে আসা ড্রিবলিংয়ে দারুণ পারদর্শী এই ফুটবলার নিজেকে তুলে ধরতে চাইবেন।  ৩৭ বছর বয়সী অলিভিয়ের জিরুদ শেষবার বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা অরেলিয়েন চুয়োমেনি ও বায়ার্ন মিউনিখের কিংসলে কোমানকেও ডাকা হয়েছে। আগামী ১৭ জুন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচ খেলবে ফ্রান্স। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ড। ফ্রান্সের ইউরো স্কোয়াড: গোলরক্ষক: আলফোন্সো আরেওলা, মাইক মাইগনান ও লোইস সাম্বা। ডিফেন্ডার: বেঞ্জামিন পাভার্দ, ইব্রাহিম কোনাতে, দায়োত উপামেকানো, জুলেস কোন্দে, জোনাথন ক্লাউস, উইলিয়াম সালিবা, থিও হার্নান্দেজ ও ফার্নান্দ মেন্দি। মিডফিল্ডার: অরেলিয়েন চুয়োমনি, আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, ইউসুফ ফোফানা, এন’গোলে কাঁতে, আদ্রিয়েন রাবিওত ও ওয়ারেন জাইরে এমেরি। ফরোয়ার্ড: কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্কাস থুরাম, কিংসলে কোমান, উসমান দেম্বেলে, অলিভিয়ের জিরুদ, রান্দাল কোলো মুয়ানি,  ব্রাডলি বারকোলা।
লা লিগায় জাভির শততম ম্যাচটি জয় দিয়ে রাঙালো বার্সেলোনা
লা লিগার শিরোপার লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে বার্সেলোনা। তিন ম্যাচ হাতে থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে আলমেরিয়াকে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান নিজেদের দখলে নিয়েছে কাতালানরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে আলমেরিয়াকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে লা লিগায় জাভির শততম ম্যাচ ছিল এটি। উপলক্ষটা জয়ে রাঙালেন দলটির সাবেক এই মিডফিল্ডার। এতে ৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৭৯। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে জিরোনা। আগেই শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদের ৯৩ পয়েন্ট। বাকি আর দুই রাউন্ড। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে পাউ কুবারসির দারুণ থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে উড়িয়ে মারেন পোলিশ তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কি। তবে গোলের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি তাদের। চার মিনিট পরই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বাম দিক থেকে ১৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার এক্তর ফোর্তের ক্রসে ছয় গজ বক্সে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফের্মিন। ২২তম মিনিটে সমতা টানার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন লিও বাতিস্তো। বল ধরে বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মেরে বসেন এই ফরোয়ার্ড। ২৮তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে লামিনে ইয়ামালের শট পোস্টে লাগে। ৪২তম মিনিটে আলমেরিয়ার অদ্রি এমবার্বার শটও পোস্টে বাধা পায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে ফের্মিনের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন আলমেরিয়া গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আরেকটি সুযোগ হারায় আলমেরিয়া। বক্সে বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে বল পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পান আন্তোনি লোসানো, কিন্তু বাইরে মেরে বসেন তিনি। ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফের্মিন। বাম দিক থেকে সের্হি রবের্তো পাস দেন বক্সে, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফের্মিন। বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গোল হলো ১০টি, মৌসুমে দলটির কোনো মিডফিল্ডারের যা সর্বোচ্চ। দুই মিনিট পর রবের্তো ও লেভানদোভস্কিকে তুলে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন ও জোয়াও ফেলিক্সকে নামান শাভি। খানিক পর ফেররান তরেস ও ফোর্তকে তুলে ভিতো হকে ও জোয়াও কান্সেলোকে নামানো হয়। ৮০তম মিনিটে একটি সুযোগ পান ফেলিক্স। বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে থেকে তার শট পাশের জালে লাগে। শেষ দিকে তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হকের শট অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক, ব্যবধান তাই আর বাড়েনি।
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে বড় ধাক্কা
আর মাত্র এক মাস পরেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ খ্যাত টুর্নামেন্ট ‘কোপা আমেরিকা’। ইতোমধ্যে স্কোয়াডও ঘোষণা করে ফেলেছে দলগুলো। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ব্রাজিল শিবিরে ইনজুরির আঘাত। চোট পেয়েছেন গোলরক্ষক এদারসন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মঙ্গলবার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে দলের ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে ৬২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ক্রিস্তিয়ান রোমেরোর সঙ্গে সংঘর্ষে মুখে ও চোখে আঘাত পান এদারসন।  লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরই তাকে তুলে নেন কোচ পেপ গার্দিওলা। বদলি নামা স্টেফান ওর্টেগা পরে দারুণ এক সেভ করে রক্ষা করেন দলকে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে ম্যানসিটি জানিয়েছে, স্ক্যানের পর এদারসনের ডান চোখের সকেটে ছোট একটি ফাটল ধরা পড়েছে। মৌসুমের বাকি অংশে তাকে আর পাওয়া যাবে না। লিগে শেষ ম্যাচে তাকে পাবে না ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু এমন সময় চোট পেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক, যাতে কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আগামী ২০ জুন শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। আর এমন এক টুর্নামেন্টের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে চাইবে না তারা।  যদিও কোপা আমেরিকার দলে আরও দুইজন গোলরক্ষক আছেন। তাদের একজন লিভারপুলের অ্যালিসন। সাধারণত এদারসন কোন ম্যাচে না খেললে অ্যালিসনই থাকেন ব্রাজিল কোচের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক।