নিখোঁজের একদিন পর কেরানীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় রক্তমাখা গাড়িও। হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতেই তার স্বামী নোবেলসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। পরিবারের অভিযোগ ভিন্ন হলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা জায়েদ খানকে সন্দেহ করছে শিমুর সহকর্মীরা। অন্যদিকে শিমু হত্যা ইস্যুতে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন জায়েদ খান।
-
আরও পড়ুন... অভিনেত্রী শিমু হত্যা: বন্ধুসহ স্বামী নোবেল আটক
শিমুর সহকর্মী প্রডিউসার ফিরোজ শাহী বলেন, ‘কেন ইউটিউবে গিয়ে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিল শিমু, এ কারণে জায়েদ খান শিমুর নামেও মামলা দিয়েছিল।’
একইভাবে অভিনেত্রী তাহমিনা হোসেন বেবি বলেন, ‘উনি (জায়েদ খান) সব পারবে। একটা সিটের জন্য উনি সব পারবে। না হয় এ রকম কেন হলো বলেন...। তুই তুকারি কেন করতে যাবে।’
-
আরও পড়ুন... অভিনেত্রী শিমুর পরিচয়
এ ছাড়াও অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা বলেন, ‘শিমুর অস্বাভাবিক মৃত্যু, এটা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা এটা মানব না। ১৮৪ জন (চলচ্চিত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত) আমরা যারা আছি, তারা কি একার জন্য লড়াই করছি!’
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তার বিরুদ্ধে সন্দেহের বিষয়ে বলেন, ‘তিন-চারটা ছেলেমেয়ে যাদের নাম বলতে হয়- ফিরোজ শাহী ও সাদিয়া মির্জাসহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে সাদিয়া মির্জা নোংরামি শুরু করেছে। ইউটিউবে গেলে দেখা যায় ‘আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে জায়েদ খান’ উল্লেখ করে সে ছড়িয়ে দিচ্ছে, আসলে এসব নোংরামির অবসান হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
-
আরও পড়ুন... অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
কেএফ/টিআই