পাবনা সুগার মিলের ৬ মাসের বেতন বকেয়া, অবিক্রিত প্রায় ২৪ কোটি টাকার চিনি
পাবনার দাশুড়িয়ায় অবস্থিত সুগার মিলের গোদামে অবিক্রিত অবস্থায় পরে আছে প্রায় ৪ হাজার টন চিনি, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা। এদিকে, মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাকি আছে ছয় মাসের। সেই সঙ্গে মিলের কাছে আখচাষিরাও পাবেন ১১ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করলেও কোনও সুফল পাচ্ছেন না শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা।
পাবনা সুগার মিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এখনও প্রায় ২৪ কোটি টাকার সমমূল্যের ৪ হাজার টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় মিলের গোদামে পড়ে আছে। এ চিনি বিক্রি হলে শ্রমিকদের এ বকেয়ার টাকা পরিশোধ করা সহজেই সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে মিলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের সমস্যার কথা জানালেও সমাধানের কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তারা।
বর্তমানে পাবনা সুগার মিলে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছেন ৪০০ জন, মৌসুমী শ্রমিক রয়েছেন ২০০ জন এবং চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক রয়েছেন ১০০ জন। শ্রমিক ও কর্মচারীরা টানা ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া এসে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি টাকায়। বকেয়া বেতন ও ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আর যারা এ মিলে আখ সরবরাহ করেন, সেসব চাষিদের পাওনা রয়েছে ৩ কোটি টাকা। তারা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ-সমাবেশ করে সুফল না পাওয়ায় আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ করে আগামী সাতদিনের মধ্যে বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানান। তা না হলে সমাবেশকারীরা বৃহত্তর আন্দোলন ও কর্মসূচিতে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ উদ্দিন আহম্মেদ আরটিভি নিউজকে বলেন, গত মৌসুমের অবিক্রিত ২৪ কোটি টাকার চিনি এখনও মজুদ আছে। এ চিনি বিক্রি হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও কোনও নির্দেশনা আসেনি আমাদের কাছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশা করছি, এবং খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তবে গত মৌসুমেও দেনার দায় মাথায় নিয়েই আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সামনে নভেম্বর মাসে আবার নতুন বছরের আখ মাড়াই শুরু হবে। নতুন আখ মাড়াই শুরু আগেই এ সমস্যা সমাধানের দাবী জানান শ্রমিক ও আখচাষিরা। এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য সুগার মিল করপোরেশনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্রমিকরা।
এসএস
মন্তব্য করুন