বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিহত ১
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার কুসুন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস।
নিহত মিলন হোসেন (১৫) সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার জান্না আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ ছাড়া সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও একই উপজেলার উত্তর কাউন্নরা গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেল (১৪) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এ দুর্ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কর্যক্রম চালাচ্ছে।
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সাটুরিয়ার গোলড়া কামতা এলাকার ৬০ জন স্থানীয় বাসিন্দা যমুনা সেতু এলাকায় নৌ ভ্রমণে যান। নৌ ভ্রমণ থেকে ফেরার পথে রাতে ঘিওর উপজেলার কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে তাদের ট্রলারের সঙ্গে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৮ জন সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দুজন স্রোতে ভেসে যান।
স্থানীয়রা আরও জানান, ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন মিলন হোসেন। পরে সাঁতরে নদীর তীরে ওঠার পর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আরিচা স্থলকাম নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর নাদিম মাহমুদ বলেন, ‘ট্রলারটি শনাক্ত করতে পারলেও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে তা উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজ দুজনের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।’
মন্তব্য করুন