কুষ্টিয়ায় বড় ধরনের দরপতন হয়েছে শাক সবজি ও মাছের বাজারে। আলুর দাম কমেছে কেজিতে কমপক্ষে ৬ টাকা। এ ছাড়াও কমেছে অধিকাংশ সবজির দাম। উল্লেখ করার মতো দাম কমেছে মাছেরও।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর ৭ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকায়। একটু ছোট আলু ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। খুশি ক্রেতারাও বেশি পরিমাণ আলু কিনছেন।
এ ছাড়াও অধিকাংশ শাক সবজির দাম কমেছে। দাম কমেছে মাছের। গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা কমে পুঁইয়ের আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আর শাকের ডাটার আটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ১০ টাকা কমে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ৭০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। ১০ টাকা কমে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এ ছাড়াও টমেটো, ঝিঙ্গে, কাচা কলা, মিষ্টি কুমড়াসহ দেশীয় প্রায় সব সবজির দাম কমেছে।
তবে ঝাঁজ বেড়েছে ঝালের। ৬০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেড়েছে পটলের দাম। ৫০ থেকে ৫৫ টাকার পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।
স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। গত সপ্তাহের মতই পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি।
এ দিকে উল্লেখ করার মত দাম কমেছে সব ধরনের মাছের। সাড়ে ৪০০ টাকার রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি। একটু ছোট হলে ৩২০ টাকা কেজি। ১৮০ টাকা কেজির গরিবের তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ২২০ টাকা কেজি বাটা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ১৬০ টাকার সিলবার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়াও কাতল, জাপানি পুটি, স্বরপুটি ও মৃগেলসহ প্রায় সব ধরনের মাছের কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। সবজি ও মাছের দাম কমায় কিছুটা খুশি ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, অনেক পণ্যের দাম ঠিকঠাক রয়েছে। বিশেষ করে আলুর দাম কমেছে। এ ছাড়াও সবজি ও মাছের বাজারেও দাম অনেকটাই কম রয়েছে। তবুও কিছু কিছু পণ্যের দাম বিক্রেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
তবে বাজার মনিটরিং চালু থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই ক্রেতাদের আশা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কুষ্টিয়া জেলার সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। আমারা বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। সুনিদিষ্ট প্রমাণ পেলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/এমকে