চট্টগ্রামের রাউজানে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দুই দফা মারধরে গুরুতর আহত তরুণ আব্দুল্লাহ রিমনের (২১) বড় বোন গত ২৫ মে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী রুশমি আক্তার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন রাউজান থানায়।
বুধবার (২৮ মে) অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রিমনকে দুই দফা মারধর করে তাকে একেরপর এক প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিনপাড় করছেন বাবা-মা হারা এতিম ছেলেটি।
রাউজান থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ রিমনের সঙ্গে রাউজান থানার ১০ নম্বর পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন অলিমিয়া হাট এলাকার বাসিন্দা মীম ফাতেমা ইমুর (১৬) প্রেমের সম্পর্ক থাকার প্রেক্ষাপটে গত ৩ মার্চ সকাল ১১টার দিকে অলিমিয়া হাটের স্কুলের রাস্তায় সাক্ষাৎ হয়। সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে মীম ফাতেমা ইমু তার বান্ধবীসহ বাড়িতে চলে যায়। আগে থেকে ওৎপেতে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য রিমনকে অলিমিয়া হাটের রাস্তা থেকে ধরে স্কুল ও মাদরাসার মাঠে নিয়ে যায় এবং আটক করে অলিমিয়া হাট মাদরাসার ভেতরের একটি খালি কক্ষে নিয়ে মারধর করে। তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে ও ব্যক্তিগত মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। একইভাবে তার ওপর দ্বিতীয়বার হামলা করে তারা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন অলিমিয়া হাটের ইমাম তালুকদার বাড়ির হায়দার আলীর ছেলে মো. মারুফ, বাচা মিয়ার ছেলে মো. ফাহিম, আনোয়ার সিকদারের নতুন বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম, আজগর আলী সিকদার বাড়ির জানে আলমের ছেলে মো. তারেক (ফোনে হত্যা ও হুমকি দাতার রেকর্ড সংরক্ষিত), আউলাপিতার বাড়ির মৃত শাহ পরানের ছেলে মো. সায়েক। কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারী প্রধানের নাম মো. রাশেদ ডাক নাম (জাসসো)।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে/এআর