• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আ.লীগ হতে পারে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ডাকাত না, জালেম না, অত্যাচারী না, তাদেরকে অত্যাচার করা যাবে না। আমি ওইসব ভাইদের বলব- যারা আওয়ামী লীগ করেছিলেন, যারা আদর্শবান, মনে রাখবেন, আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না। সময় আছে তওবা করুন। আগের দেশ আর আমরা চাই না। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি দূর করতে না পারলে এ দেশের পরিবর্তন হবে না। এ দেশে ওসি পরিবর্তন হয়, এসপি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঘুষ ঠিকই থাকে। আমরা ঘুষ ও চোর মুক্ত বাংলাদেশ চাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বারের বেশি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু আমি মনে করি, শুধু ব্যক্তি পরির্বতন নয়, সুন্দর দেশ গড়তে নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সমান অধিকার ভোগ করতে পারি। দলটির উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী নূরুল আমিন খাঁনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল হাসেমী, জেলার ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন, জেলার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের পাশে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ সোনারগাঁয়ে ২৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
‘মাথায় গুলি লেগে আমার ছেলের মগজ বের হয়ে গেছে’
লাখো মানুষ হত্যা করে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল হাসিনা: মামুনুল হক
সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিক জনি নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ  ১৮৭ জনের  বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি করেন নিহত জনির বাবা ইয়াসিন। মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত জনি নাফ গাড়িতে হেলপারের কাজ করতেন। ২০ জুলাই আন্দোলন পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক জোট হয়ে পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাঠি নিয়ে কাঁচপুর নার্সারির সামনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ সময় ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করে তারা। এতে ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে কাঁচপুর সেতুর ঢালে বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ হন জনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বেগম জিয়ার জন্মদিনে সোনারগাঁয়ে মিলাদ মাহফিল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত-আহতদের স্মরণেও এ সময় দোয়া মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ সময় তিনি সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে যাতে কোনো আক্রমণ না হয় সে বিষয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বকর সিদ্দিক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মেম্বার, নোয়াগাঁ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মামুন ফকির, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সিনিয়ার রহমানযুগ্ন আহ্বায়ক আতাউর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কবির হোসেনসহ নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এ সময় মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মোজাম্মেল হক সোহেল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক।   
সোনারগাঁয়ে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতবিনিময়
সারাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. গিয়াস উদ্দিন, সোনারগাঁ দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আসাদ, কাঁচপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ জামায়াতের সভাপতি মো. নাঈম, সাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মো. আজিজুর রহমান, সোনারগাঁ উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মো. ইবারাহীম, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় ড. ইকবাল বলেন, জামায়াত ও ছাত্রশিবির কোনো সহিংসতার রাজনীতি পছন্দ করে না। এখন দেশের একটা ক্রান্তিকাল চলছে। এ সময় তৃতীয় শ্রেণির একটা দল মানুষের ওপর হামলা করে আমাদের ওপর দোষারোপ করছে। যারা হিন্দু ভাইদের মন্দিরে হামলা করছে, আসলে তারা দুর্বৃত্তপরায়ন। তারা দেশের শান্তি চায় না। জামায়াত উপজেলার প্রতিটি হিন্দু মন্দিরে পরিদর্শন করে তাদের নিরাপদে বসবাস করার আশ্বাস দিচ্ছে। একটু আগেও আমরা ভট্টপুর মন্দির পরিদর্শন করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি আপনার কাছে আশ্বাস দিচ্ছি জামায়াত কোনো আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করবে না। আওয়ামী লীগ সব সময় শত্রু আমাদের ভাবতো, এখন তারাই আমাদের সবচেয়ে বেশি ফোন দিচ্ছে। একটু আগেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া আমাকে ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সার্বিকভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সভায় ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, আসলে যে যেমন কর্ম করে, সে তেমন ফল ভোগ করবেই। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই। সেজন্য কেউ কারো ওপর হামলা করবে এটা কাম্য নয়। জামায়াতের লোক হিংসা করে না, এটা আমি বিশ্বাস করি। সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো বান্দার হক আদায় করা।  পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া। 
সোনারগাঁয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে গণপিটুনি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন তারা।  সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে ওষুধ প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন এই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট।  আটক ব্যক্তির নাম মো. সারোয়ার হোসেন (৫২)। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার রাধীখাল গ্রামের ডা. হানিফ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসাবো এলাকায় বসবাস করেন। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নয়াপুর বাজারে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে নিজেকে ওষুধ প্রশানের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যান। এ সময় তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তার পরিচয়পত্র ও চাকরিজীবীর প্রমাণপত্র চাওয়ায় তা দেখাতে পারেননি। যদিও তার সঙ্গে পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ ছিল না। পরে বাজারে থাকা লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে আটকের পর থানায় পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে বাধা দেওয়ায় রাকিব মিয়া (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।  শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাকিব মিয়া পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার ভাটি বালিয়াপাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। নিহতের মামা বেলায়েত হোসেন জানান, তার ভাগিনা রাকিব মিয়া ব্যবসার এক লাখ টাকা নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে এ খবর পেয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী মাসুদ, আমিনুল ও সাইফুল তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বাধা দেওয়ায় তাকে মাসুদ পিস্তল দিয়ে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় মারাত্মক আহত অবস্থায় তার স্বজন ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলের ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।