• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
গাজী টায়ারস ভবনে মেলেনি জীবিত বা মৃত মানুষের অস্তিত্ব
গাজী টায়ার কারখানার সামনে স্বজনদের অপেক্ষার চতুর্থ দিন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার ভবনে আগুন তিন দিনেও নেভেনি। ছয় তলা ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কায়। আগুনে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় লোকজন নিখোঁজ ব্যক্তিদের ১৭৪ জনের তালিকার কথা বললেও আমাদের জানা নাই। মঙ্গলবার ওই এলাকায় নিখোঁজদের নিয়ে কাজ করা ছাত্ররা ৯৯ জনের নাম, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি টানিয়ে দেয়। তাদের নিখোঁজ বলা হচ্ছে। ভবনের সামনে এখনো অনেক লোকের ভিড়। তারা দাবি করছেন, তাদের স্বজনরা ওই ভবনে ছিলেন। কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মো. ডাবলু নামে একজন জানান, তার ভাই ওই এলাকায় ছিলেন, তবে আগুন লাগার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  সালেহা বেগম নামে একজন বলেন, আমরা ছেলে অটোরিকশা ড্রাইভার। সে-ও ওই এলাকায় ছিল। বাসা থেকে গাজী টায়ারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক আমীর হোসাইন জানান, আগুন লাগার পর থেকে ছাত্ররা ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ করছে। তারা মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৯ জন নিখোঁজের তালিকা করেছেন। তবে এটা প্রশাসন বা ফায়ার সার্ভিসের তালিকা নয়। ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আমরা কোনো নিখোঁজের তালিকা করিনি। আমরা আগুন লাগার পর ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। কোনো মৃতদেহ আমরা এখনো পাইনি। উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আসলে ছয়তলা ভবনটি পুরো পুড়ে গেছে। এখানে রাবার ও কেমিকেল থাকায় আমরা ১৬টি ইউনিট নিয়ে কাজ করেও আগুন নেভাতে পারিনি। এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুরো নেভাতে সময় লাগবে। তিনি জানান, সরকারের পতনের দিন (৫ আগস্ট) থেকেই কারখানাটি বন্ধ ছিল। ফলে ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কোনো লোক ছিল না। গত ২৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। এরপর থেকে শত শত মানুষ এসে সেখানে জড়ো হচ্ছেন। গত ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জের আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর পেয়ে সর্বশ্রেণির মানুষ কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চালায়। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েন বলে স্থানীয়রা জানান। গাজী টায়ারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট থেকেই আসলে গাজী টায়ার ভবন এলাকায় লুটপাট শুরু হয়। চত্বরে মোট ছয়টি ভবন। আরো চারটি শেড আছে। ফ্যাক্টরি ভবনটি ছয় তলা। ওই ভবনটি ছাড়া বাকি ভবন ও শেডে আগেই ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। যে যার মতো মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গেলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২৫ তারিখ ফ্যাক্টরি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ভবন বা অন্য কোনো ভবনে আমাদের কোনো কর্মচারি ছিল না। গেটে কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন৷ তারা লোকজন আসতে দেখে আগেই চলে যান। ভিতরে কেউ যদি তখন থেকে থাকেন তারা আমাদের লোক নয়, তারা হয়ত লুটপাট করতে এসে ভবনে ঢুকেছিল। গাজী টায়ার কারখানাটি রূপগঞ্জের রপসী এলাকায়। ৯৬ বিঘা জমির ওপরে ২০১৩ সালে টায়ারের কারখানাটি করা হয়। কারখানায় দুই হাজার ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। ছয় তলা ভবনটির প্রথম তিনটি ফ্লোরে ফ্যাক্টরি এবং বাকি তিনটি ফ্লোরে গোডাউন ছিল। এখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। কারখানায় লুটপাট ও আগুনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, কেউ আগুন দিয়েছে না কোনো কারণে আগুন লেগেছে তা তারা তদন্ত করে দেখছেন। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা-ও তদন্তের পর বলা যাবে। নারায়ণগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি আমির খসরু বলেন, আসলে ওই ভবনটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হওয়ার আগে উদ্ধার কাজ চালানো যাবে না। এখনো থেকে থেকে আগুন জ্বলছে। রাবার ও কেমিক্যালের কারণে ফায়ার সার্ভিস ভবনের ভেতরে যেতে পারছে না। তারা বাইরে থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর নিখোঁজদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর স্থানীয়রা ১৭০-১৮০ জন নিখোঁজ বলে তালিকা দেন। তবে আসলে কতজন নিখোঁজ তা বলা যাচ্ছে না।
রূপগঞ্জে শেখ হাসিনা-গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
আপত্তিকর অবস্থায় নারীসহ এসআই আটক
শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে রূপগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ
পরীক্ষার হলে ছাত্রের পকেটে মিলল গাঁজা, অতঃপর...
নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অপতৎপরতা ও সহিংস ঘটনায় সৃষ্টির লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দুই সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় তাদেরকে।  সোমবার (১০ জুন) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বরগুনার বান্দরগাছিয়া এলাকার আবদুল রহিম আকন্দের ছেলে তানভীর ওরফে মেহেদী ওরফে আবীর ওরফে মুশফিক ও রংপুরের কোতয়ালীর মাহিগঞ্জ এলাকার কাশেম আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে বাদল।   বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর রূপগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াবো এলাকা থেকে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
‘ক্যাসিনো’ সেলিমের প্রার্থিতা স্থগিত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আদালতে আটকে গেল।  সোমবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর এই আদেশ জারি করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান।  গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২ মে বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। তার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। পরে বিচারক এম. এনায়েতুর রহিমের আদালত সেলিম প্রধানের করা রিটের বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে। হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এ সময় তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর স্থায়ীভাবে স্থিতাবস্থা জারি করেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূলহোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ঘটনায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।  
নারায়ণগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৮
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমির ব্যবসা নিয়ে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশুসহ অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ৯ বছরের শিশু মো. আরিফ, মুক্তার হোসেন (৬০), মো. আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), নুর হোসেন (২৪) ও রোমান (২০)। তারা সবাই মোশারফ হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রফিকুলের অনুসারী কারও আহত হওয়ার খবর জানা যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত ব্যক্তিরা শটগানের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার রাতে রফিকুল ইসলামের অনুসারী নাওড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন নামে এক তরুণকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করলে এর জেরে সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি বলেন, পুরোনো বিরোধ থেকে রোববার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে আজ সকালে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন বলে জেনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাওড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
রূপগঞ্জে কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট 
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় একটি কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট । শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ৪টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের আড়াইহাজার, কাঞ্চন নদী, ডেমরা ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। সর্বশেষ ভোর ৫টা পর্যন্ত আগুনে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 
নারায়ণগঞ্জে শিশু জয়ন্ত হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিশু জয়ন্ত হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উম্মে সারাবন তহুরা এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রূপগঞ্জের মঙ্গলকালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহীন, বলাইনগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর, বনিয়াদি এলাকার রাজকুমারের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস ও একই এলাকার সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে আশিক চন্দ্র দাস। তাদের মধ্যে শুধু অনিক চন্দ্র দাস রায় ঘোষণার সময়ে উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ও শিশুটির বাবা-মা জানান বলেন, ২০১৮ সালের ৫ জুন শিশু জয়ন্তকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশু জয়ন্তকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। এ সময় একজন আসামি হাজির থাকলেও বাকিরা পলাতক ছিলেন।
কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, মূলহোতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মূলহোতা ফাহিম হাসান দিহানকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলে কনসার্টে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতের পাতিরা এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এদিন র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান। মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, চলতি মাসের ৩ তারিখ রাতে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলের ময়েজ উদ্দিন চত্বরে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রাতে ওই তরুণীর নিকটাত্মীয় সাব্বির (১৯) তাকে কনসার্টে নিয়ে যায়। সেখানেই সাব্বির ও আনাস কাজী তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর কনসার্ট শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে দিহান তার প্রাইভেটকার নিয়ে আসে। গাড়িতে দিহান, শাকিল, জাহিদ ওরফে শুভ, সালমান ও আরাফাত অবস্থান করে। সাব্বির একটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগীকে কনসার্ট এলাকা থেকে একটু দূরে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায়। আসামী দিহান তার প্রাইভেটকারে শাকিল, জাহিদ, সালমান ও আরাফাতকে নিয়ে সেখানে যায়। সেখানে পৌঁছে তারা ৭ জন আবার পরামর্শ করে ও ভুক্তভোগীকে প্রাইভেটকারের পেছনে বসায়। অল্প কিছুক্ষণ আসামি সাব্বির ও আনাস কাজী ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে তারা ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত আড়াইটার পর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।  এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-১ এর দল রাজধানী ঢাকা খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরা এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার মূল হোতা ফাহিম হাসান দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহান দলবেঁধে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।