• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, পাশেই পড়ে ছিল রক্তমাখা ছুরি
নারায়ণগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় পৃথক ঘটনায় পাচঁজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের হাটাবো জেলেপাড়া এলাকার রূপসী-কাঞ্চন সড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—হাটাবো আতলাশপুর এলাকার মৃত ফালান দাসের ছেলে রাম দাস (৭০), একই এলাকার মৃত গোলাম রহমানের ছেলে ইবাদুল্লাহ (৭০) ও নতুন বাজার এলাকার হৃদয় (২৭)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুলতা পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৯ টার দিকে হাটাব জেলেপাড়া এলাকার রূপসী-কাঞ্চন সড়কের পাশে ফুটপাত থেকে জেলেদের কাছ থেকে রাম দাস ও ইবাদুল্লাহ মাছ কিনছিলেন। এ সময় দ্রুতগতিতে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে গেলে রাম দাস ও ইবাদুল্লাহ চাপা পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন এবং আবু তাহের, রাধামন ও সর্বস্বর নামে আরও তিনজন পথচারী আহত হন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যদিকে বুধবার সকাল ভোরে রাজধানী ঢাকার নতুন বাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে হৃদয়, মুন্না ও শান্ত নামে তিন যুবক খেজুরের রস খেতে রূপগঞ্জে আসেন। সকাল ৭টার দিকে খেজুরের রস খেয়ে রূপগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার পথে তারা জেলাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি ইট বহনকারী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই হৃদয় নিহত হন। এ সময় মুন্না ও শান্ত গুরুতর আহত হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ভুলতার ফাঁড়ির এসআই মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে। প্রাইভেট চালক ও ইট বহণকারী ট্রলি চালককে আটক করা হয়েছে। প্রাইভেটকার ও ইট বহকারী ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। দুটি ঘটনার আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ আরটিভি/এমকে 
রূপগঞ্জে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
পূর্বাচলে সড়ক দুর্ঘটনায় বুয়েট ছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল ২ ব্যবসায়ীর 
৩০০ ফিটের লেক থেকে উদ্ধার তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে
রূপগঞ্জে বাবুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোচালক বাবুল মিয়া হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শুক্কুর মিয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আহাদ মোল্লা (গাজীপুর), হাবিবুর রহমান (হবু) (গাজীপুর), সোহান (মানিকগঞ্জ), দেলোয়ার হোসেন (নরসিংদী)। জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর বাবুল মিয়া তার অটোরিকশাটি নিয়ে গাজীপুরের পূবাইল কাজীপাড়া থেকে বের হন। পরদিন ২৪ নভেম্বর রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের আগলা এলাকার ধানখেত থেকে বাবুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার শিকার বাবুলের ছেলে সোহাগ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশের অভিযান শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার করে, যা তারা বাবুলের হত্যার পর ছিনতাই করেছিল। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ দেলোয়ার হোসেনকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’  তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদেরকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে/এআর
শীতলক্ষ্যায় কলসি বাঁধা লাশ, জানা গেল রহস্য
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ওমর আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  ওমর আলী রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত ফৈজদ্দিনের ছেলে। নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই তার বাবা ওমর আলীকে হত্যা করে গুমের উদ্দেশ্যে কলসির সঙ্গে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ইছাপুড়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) আমিরুল সিকদার জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় একটি পানি রাখার কলসি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর গুমের জন্য মরদেহটির গলায় কলসি বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে যায়। পরে ছেলে শফিকুল ইসলাম তার বাবা ওমর আলীর মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে ওমর আলী নিখোঁজ রয়েছে মর্মে ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওমর আলীর আরেক ছেলে রফিকুল ইসলাম একই এলাকার লিপি আক্তার নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই রফিকুল ইসলাম ও লিপি আক্তার মিলে নানাভাবে অত্যাচার ও ভয়ভীতি করতেন ওমর আলীকে। এছাড়া উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরাও করতেন। এ কারণে রফিকুল ইসলামকে ত্যাজ্যপুত্র করে দেন বাবা ওমর আলী। গত প্রায় ৬ মাস আগে ছেলে রফিকুল মারা যায়। এরপর লিপি আক্তারের কোনো জায়গা জমি না থাকায় ওমর আলী নিজ বাড়িতে একটি ছাপড়া ঘরে এক মাসের জন্য লিপি আক্তারকে থাকতে দেন। একমাস পার হওয়ার পর লিপি আক্তারকে ছাপড়া ঘর ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে শফিকুল ইসলাম ও তার বাবা ওমর আলী। এ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর লিপি আক্তারসহ লিপি আক্তারের বাপের বাড়ির লোকজন মিলে শফিকুল ইসলামকে বেধরক মারপিট করে। এ ঘটনা নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে শফিকুল ইসলাম। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে কয়েক মাস ধরেই লিপি আক্তারের সঙ্গে ওমর আলী ও শফিকুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। হত্যাকাণ্ড উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। আরটিভি/এএএ/এআর  
তিন দিন নিখোঁজের পর ৭ টুকরো লাশ মিলল শিল্পপতির
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি লেক থেকে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো এক ব্যক্তির সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টর থেকে তিনটি পলিথিন ব্যাগে লাশের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। পরে মধ্যরাতে দাড়ি, নখ ও পায়ের কিছু চিহ্ন দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা। নিহত জসিম উদ্দিন মাসুম (৫৯) একজন শিল্পপতি। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। জড়িতদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে।  নিহতের বড় ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু বলেন, দাড়ি, নখ ও বাঁ পায়ের কিছু চিহ্ন দেখে বাবার মরদেহ শনাক্ত করি। গত ১০ নভেম্বর বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি জিডিও করেছি। সেরা করদাতা হিসেবে আমার বাবা একাধিকবার কর বাহাদুর পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন শিল্পপতি। চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ আমাদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা রয়েছে বলে জানা নেই। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে গুলশান যান জসিম উদ্দিন। এর পর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় জিডি করেন তার বড় ছেলে। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. রাশেদ বলেন, শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের সর্বশেষ লোকেশন কাফরুলে দেখা গিয়েছিল। এরপর আর তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্রে জানা যায়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। একাধিক ব্যক্তি এই হত্যায় জড়িত। ঢাকায় কোনো একটি বাসায় হত্যার পর তার মরদেহ রূপগঞ্জে  নিয়ে ফেলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে একজন নারী থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ। এদিকে, সাত টুকরা লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে পুলিশ বলেছিল, তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দেখা গেছে, তার বয়স ৫৯। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে কাঞ্চন-কুড়িল সড়কের পাশে লেকের পানিতে হাত ধোয়ার সময় দুর্গন্ধ পান এক রিকশাচালক। পরে তিনি স্থানীয় আরও কয়েকজনকে ডাক দিলে পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগগুলো দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কালো রঙের তিনটি পলিথিন ব্যাগে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।  রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি অন্তত তিন দিন আগে মারা গেছেন বলে ধারণা করছি। হত্যার পর তার দেহের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা করে পলিথিন ব্যাগে ভরে লেকে ফেলে দেওয়া হয়। তার শরীরের দুটি অংশ এখনও পাওয়া যায়নি। আমরা যথাসম্ভব খুঁজেও পাইনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। খণ্ডিত টুকরা পচে-গলে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জিডির সূত্র ধরে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হয়। আরটিভি/এফআই-টি
লেকে মিলল যুবকের ৭ টুকরো লাশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ব্রাক্ষ্মখালী লেক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা লেকের পানিতে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ৫-৬ দিন আগে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তারপর লাশটি টুকরো টুকরো করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে নিহতের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা যাবে বলে তিনি জানান। আরটিভি/এএএ
স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বলাইখা এলাকার মোঘল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ঘরের আড়ার সঙ্গে রাব্বির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রাব্বি মিয়া (২০) চাঁদপুরের মতলব এলাকার মকবুল প্রধানের ছেলে। জানা গেছে, রাব্বি মিয়া ছয় মাস ধরে রূপগঞ্জের বলাইখা গ্রামের মোঘল মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কথা বলেন রাব্বি।   এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই রাব্বি গলায় ফাঁস দেন। বিকেলে চাঁদপুর থেকে নিহতের স্ত্রীসহ লোকজন এসে ওই ভাড়া বাসায় রাব্বির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাব্বির স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভিডিও কলে রাব্বির সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় তিনি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস নেন। বার বার অনুরোধ করলেও তিনি আমার কথা শোনেননি। পরে আমরা পরিবার নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। আরটিভি/এএএ   
রূপগঞ্জে বিস্ফোরণ, বাঁচানো গেল না দগ্ধ ২ ভাইকে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ ভাই মো. সোহেল (২০) ও মো. ইসমাইল (১১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসানা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সোহেল ৭০ শতাংশ দগ্ধ এবং শিশু ইসমাইল ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আমাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের বাবুল ৬৬ শতাংশ, শেলী ৩০ শতাংশ, মুন্নি ২০ শতাংশ ও তাসলিমা ৬৩ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। জানা যায়, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করতেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তারা। ধারণা করছি, লাইনের গ্যাস লিকেস হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। এ সময় মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ৬ জনই দগ্ধ হন। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরের দিকে আমার ২ ভাগ্নে সোহেল ও ইসমাইল মারা যান। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আরটিভি/এমকে