• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
লেখাপড়া না করে দেশ চালাতে গেলে আ.লীগের মতো ভুল করবে: মঈন খান
ইটভাটার কলোনী থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
নরসিংদীর পলাশে নার্গিস বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার কাজৈর গ্রামের এক শ্রমিক কলোনী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) কুতুব উল আলম। নিহত নার্গিস বেগম ও তার স্বামী রকিব (২৩) মিয়ার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায়।  তারা কাজৈর গ্রামের ইটভাটার কলোনীতে থাকতেন এবং স্বামী রকিব বাসার পাশের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়রা জানান, রকিব মিয়া (২৩) ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম ডাংগা ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামের একটি ইটভাটার কলোনীতে বসবাস করতেন। এই কলোনী থেকেই আবদুস সাদেকের মালিকানাধীন এম এইচবি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার ভোরে তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে রেখে ইটভাটায় কাজ করতে যান। পরে দুপুর ১২টার দিকে খাবার খেতে ইটভাটার কলোনীতে যান রকিব।  সেখানে যাওয়ার পর ঘরের ভেতর দরজা লাগানো দেখে তার স্ত্রীকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েকবার ডাকার পরও তার স্ত্রীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ। এ ঘটনার পর কলোনীর প্রতিবেশীরা ভিড় জমায়। পরে পুলিশকে খবর দেয় তার স্বামী। পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত অবস্থায় নার্গিস বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) কুতুব উল আলম বলেন, নিহত নার্গিসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রকিব ও তার বাবাকে থানায় নেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এমকে-টি
সড়কের ইট তুলে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ
ঘোড়াশালে ট্রেনে কাটা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পলাশে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা।  শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমিনা বেগম ঘোড়াশাল শান্তানপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী। নিহতের স্বামী মাহফুজ মিয়া জানান, ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে সকাল ৭ টায় ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রথমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা চালানো হয়। পরে বেলা ১০টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিজার করতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে ভুলভাবে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে স্টোক করে তার স্ত্রী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরও প্রায় ১ ঘণ্টা গর্ভের সন্তান জীবিত ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা তাকেও বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি।    এদিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় স্বজন ও এলাকাবাসী। একই সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবিরকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে পলাশ থানা পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ-স্বজনরা দ্বায়িদের শাস্তির দাবি জানান। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে পূর্বেও ভুল চিকিৎসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবির অনেক সময় সিজার অপারেশনের রোগীদের গাইনি সার্জন দিয়ে অপারেশন না করিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন।  এ প্রসঙ্গে বিষয়ে নরসিংদী সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. আমিরুল হক জানান, হাসপাতালে মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে পলাশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এসএপি-টি
সকল ফরম থেকে ধর্মাবলম্বী অপশন তুলে দেওয়া হবে: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি আরও মজবুত করতে দেশের সকল ফরম থেকে কে কোন ধর্মাবলম্বী সেই অপশন তুলে দেওয়া হবে।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর রাবান উচ্চবিদ্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।  মঈন খান বলেন, দেশের মানুষের একটাই পরিচয়, তারা বাংলাদেশি। কে কোন ধর্মের, সেটি বড় কথা নয়।  তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে অন্যায় প্রতিরোধ করা হয়েছে, স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনীতিকে কেউ যেন কলুষিত করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জিনারদীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নারায়ণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন, রাবান দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি জাদব কর, সাবেক ইউপি মেম্বার যানকি বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীতে দেশ পরিচালিত হবে মেধার ভিত্তিতে: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, কারো ইচ্ছায় নয়, আগামীতে দেশ পরিচালিত হবে মেধার ভিত্তিতে। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদীর চিনিশপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী তাহমিদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে এ মন্তব্য করেন তিনি। মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তা পুনরুদ্ধার করা হবে। আগামীতে দেশ মেধার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। কারো ব্যক্তিইচ্ছায় পরিচালিত হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ইন্টারনেট পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দুকের গুলির চেয়ে ইন্টারনেটের গুলির শক্তি বেশি তা ছাত্র-জনতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষকে অত্যন্ত সরল ও সাধারণ উল্লেখ করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশের মানুষ অর্থ সম্পদ চায় না, তারা মুখে কথা বলতে চায়, মন খুলে কথা বলতে চায়, ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যার কারণে দেশেরে মানুষ তাদের বিতাড়িত করেছে। কবর জিয়ারত শেষে তিনি নিহত তাহমিদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক সহযোগীতা করেন। এরপর তিনি কোটা আন্দোলনে নিহত পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নের কলেজ শিক্ষার্থী ইমন ও আমজাদ হোসেনের কবর জিয়ার করে তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা করেন। কবর জিয়ারত শেষে তিনি নিহত তাহমিদের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং আর্থিক সহযোগিতা করেন। এরপর তিনি কোটা আন্দোলনে নিহত পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নের কলেজশিক্ষার্থী ইমন ও আমজাদ হোসেনের কবর জিয়ার করে তাদের পরিবারকেও আর্থিক সহযোগিতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লা, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।   
শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক
নরসিংদীর পলাশে নাভহান আকন্দ ফাজিম (১০) নামে পঞ্চম শ্রেণির একটি শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন।  শিক্ষার্থীর বাবা মোকতারুল হোসেন বলেন, গতকাল স্কুল ছুটির পর ফাজিম একটি বল নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় বলটি ছুটে গিয়ে বিদ্যালয়ের অন্য একটি মেয়ে শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। ওই শিক্ষার্থী তখন প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দিলে শিক্ষক মিজানুর রহমান ফাজিমকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় সে বাড়ি ফেরে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখে ডাক্তারের পরামর্শে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  তিনি আরও বলেন, সামান্য একটু অন্যায়ের কারণে একজন শিক্ষক এমন শিশু বাচ্চাকে এতটা নির্দয়ভাবে মারতে পারে তা কখনও ভাবতে পারিনি। বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদকে অবগত করা হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
এক মুঠো বালু ছিটানোই কাল হলো শিশু মাইশার
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের চারদিন পর সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মাইশা আক্তার। এ ঘটনায় জালাল শেখ (৪৯), স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লাল নামে তিনজনকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃতদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি গ্রামে। পলাশে তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকত। নিহত মাইশা আক্তার জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে। শিশুটি ২১ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শিশু মাইশা নিখোঁজের ঘটনায় ডাংগা থেকে জামাল শেখ নামে বাড়ির ভাড়াটিয়াকে র‍্যাব আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে ছাদে সেপটিক ট্যাংক থেকে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমরা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া জালাল শেখ, স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে র‍্যাব আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। শিশুটিকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা আটকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব। শিশুটির বাবা মেহেদি হাসান বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে সহপাঠীদের নিয়ে খেলা করছিল মাইশা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে উঠলে তার কোন সন্ধান না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় নিখোঁজের জিডিও করি আমরা।তবে কে জানতো বাড়ির পাশের প্রতিবেশীদের কাছে নির্মম হত্যার শিকার হতে হবে আমার মেয়েকে। আইসক্রিম তৈরির দুধে বালু পড়ায় প্রতিবেশী জালাল মিয়া, তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন ও ছেলে বিল্লাল শেখ আমার মেয়ে মাইশাকে ধরে এনে বাড়ির মধ্যে হত্যা করে। তারপর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে।’ এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের এএসপি নিশাত তাবাচ্ছুম বলেন, ‘শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে তদন্তে নামে র‌্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের একটি টিম। ঘটনার দিন পাশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও দেখে জালাল শেখের ছেলে বিল্লাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালাল শেখ ও মাহফুজা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রাখার তথ্য পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বালু ছিটানো নিয়ে শিশুটিকে অসতর্কতামূলকভাবে মারধরের কারণে তার মৃত্যু হলে মরদেহ গুম করার চিন্তায় বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে বলে স্বীকার করেছে আসামিরা।’ এ দিকে শিশু মাইশার মৃত্যুতে শোকে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো গ্রাম। তুচ্ছ বিষয়ে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মানতে পারছেন না কেউ। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন মঈন খান
নরসিংদীর পলাশে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে ওই আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় কেউ আহত হননি। পলাশ উপজেলার চরনগরদী বাজারসংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। মঈন খান বলেন, সরকার ভোটের বাক্স নিজেরা দখল করে যাকে খুশি তাকে এমপি করে নিচ্ছে। এমপির পর্যায় তারা কোথায় নামিয়ে এনেছে, তা আপনারা সাম্প্রতিক ঝিনাইদহের ঘটনায় দেখছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে মঈন খান বলেন, বিএনপির ভোটাররা যেমন ভোট বর্জন করছেন, তেমনি আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট বর্জন করছেন। এই নির্বাচনে নিজেরাই বিভেদ তৈরি করেছে সরকার। তিনি বলেন, সরকার যতই গলাবাজি করুক না কেন তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নৌকা ডুবে যায়, তাই তারা স্থানীয় নির্বাচনে মার্কা উঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোচনা সভা উপলক্ষে তৈরি করা ছোট মঞ্চটিতে দাঁড়িয়ে মঈন খান যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কিছু নেতা-কর্মী। অতিরিক্ত ভার নিতে না পেরে মঞ্চটি ভেঙে গেলে মঈন খানসহ নেতা–কর্মীরা পড়ে যান। এ সময় নেতা–কর্মীরা তাকে ধরে তোলেন। মঞ্চ ভেঙে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী জানান, ছোট মঞ্চে বেশি সংখ্যক নেতা–কর্মী উঠেছিলেন। নেতার সঙ্গে ছবি তুলবেন বলে আরও কিছু লোক মঞ্চে উঠলে সেটি একপর্যায়ে ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আবদুল মঈন খান। তার বক্তব্য দেওয়ার আগে উপজেলা, পৌর বিএনপিসহ দলের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বক্তব্য দেন।