• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
হত্যা মামলার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, এসআই আহত
ছেলের দায়ের কোপে মা নিহত
নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় ছেলের দায়ের আঘাতে সাফিয়া বেগম (৭০) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফিয়া বেগম উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তৌহিদ হোসেন বাদী হয়ে তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন সুজন, ভাইয়ের স্ত্রী রেখা আক্তার এবং ভাতিজা আসিফ মিয়াকে আসামি করে বেলাবো থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সুফিয়া খাতুন বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করার সময় সুজন তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় তার মা সুফিয়া খাতুন প্রতিবাদ করলে সুজন তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তখন ধারালো দায়ের আঘাতে মাথা ফেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুফিয়া খাতুন। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (বেলাবো-রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছোট ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মারামারির মামলা হলেও, ওই নারী মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলার ধারা সংযুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে আসামি তোফাজ্জল হোসেন সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এসএপি-টি
হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় রাবেয়াকে, গ্রেপ্তার ৩
নরসিংদীতে কাঠমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে ছাত্রদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৪
রিমান্ড নামঞ্জুর করে সাবেক শিল্পমন্ত্রীকে কারাগারে প্রেরণ
‘দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’
নরসিংদী জেলখানাসহ সারাদেশে যারা নজিরবিহীন তাণ্ডব ও নৈরাজ্য চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়নে বদ্ধপরিকর এবং এ জন্য যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছে। নরসিংদী জেলখানায় যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে এজন্য সরকার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে নরসিংদীর পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।   এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক), নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
নরসিংদী কারাগারের জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত
নরসিংদী কারাগার থেকে ৮২৬ বন্দির পালানোর ঘটনায় জেল সুপার আব্দুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নরসিংদী কারাগারের জেল সুপার ও জেলারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ। যারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে গেছে, তারা যেন দ্রুত আত্মসমর্পণ করে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি গ্রাম ও ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।’  এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ কারাবন্দি পালিয়ে যায়। ওই সময় জেলখানার অস্ত্রাগার থেকে ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, আট সহস্রাধিক গুলি ও প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করা হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি ও আসবাবে আগুন দেয়ারও ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে এবং পলায়নরত আসামিরা যাতে আত্মসমর্পণ করে, সেজন্য গত রোববার রাত থেকে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।  পরে গত সোমবার ১০ জন ও মঙ্গলবার ১২৬ জনসহ মোট ১৩৬ জন পলায়নরত কারাবন্দি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হকের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
নরসিংদীতে সিএনজি-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ২
নরসিংদীর পাঁচদোনায় কাভার্ডভ্যানের ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন সিএনজির আরও চার যাত্রী।   রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের নগর পাঁচদোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন, শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা মুনসেফের চর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (৬০) এবং টাঙ্গাইলের আবুল কালামের ছেলে জারিফ (৪)।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলে সিএনজি অটোরিকশাটি ইটাখোলা থেকে যাত্রী নিয়ে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরে ঘোড়াশাল পাঁচদোনা মহাসড়কের নগর পাঁচদোনা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু জারিফসহ এনামুল হকের মৃত্যু হয়। আহত হয় সিএনজিতে থাকা আরও চার যাত্রী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।  মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।’ 
ছাগলকাণ্ডে লাপাত্তা মতিউরের প্রথম স্ত্রী লাকি, জনমনে নানা প্রশ্ন
ছাগলকাণ্ডের পর থেকে দেশজুড়ে আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি আত্মগোপনে রয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের পাহাড়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মুঠোফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তিনি এখন কোথায় আছেন, তা-ও কেউ বলতে পারছেন না। কিন্তু তিনি কেন আত্মগোপনে চলে গেলেন, তাহলে কি তার গড়া সম্পদও অবৈধ? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। রায়পুরা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের দুদিন আগে সর্বশেষ অফিস করেছেন লায়লা কানিজ লাকী। ঈদের ছুটি শেষে এ পর্যন্ত একবারের জন্যও কার্যালয়ে আসেননি তিনি। তাদের ধারণা, তিনি ছাগলকাণ্ডে বিব্রত। সাংবাদিকরাও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেতে তার কার্যালয়ে এসে খোঁজাখুঁজি করছেন। তাই হয়তো আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হাসান বলেন, ঈদের পর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ তার কার্যালয়ে আসেননি। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাতেও অংশ নেননি। ব্যক্তিগত কারণে তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কবে আসবেন তা বলেননি, কোনো ছুটিও নেননি। জানা গেছে, লায়লা কানিজ লাকী ছিলেন রাজধানীর তিতুমির সরকারি কলেজের বাংলা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক। শিক্ষকতার পাশাপাশি রায়পুরা উপজেলার মরজালে নিজ এলাকায় প্রায় দেড় একর জমিতে ‘ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট’ নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে পরিচয় হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তার হাত ধরেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন লাকি। একই সঙ্গে ২০২৩ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক মারা গেলে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন এবং সংসদ সদস্যের প্রভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন লায়লা কানিজ লাকি। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে দুর্যোগ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। 
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত ১
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক রিকশা আরোহী নিহত হয়েছেন। তার নাম নাইম মিয়া (২৮)। এ সময় আহত হয়েছেন রিকশাচালক। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের নগর পাঁচদোনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাইম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌরসভার টাটাপাড়া মহল্লার আনিস মিয়ার ছেলে।  তিনি পেশায় খুচরা কাপড় বিক্রেতা ছিলেন। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নাইম মিয়া মাধবদী থেকে গজ ও প্রিন্ট কাপড় নিয়ে বিক্রির জন্য পলাশের ঘোড়াশাল ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের বাজারে যাচ্ছিলেন। তাকে বহনকারী রিকশাটি পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের নগর পাঁচদোনার পোশাক কারখানা পাকিজা গ্রুপের মমটেক্সের গেইটে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান অপর একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে সামনে আসার সময় রিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশার যাত্রী কাপড় ব্যবসায়ী নাইম মিয়ার মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন রিকশাচালক। পরে স্থানীয়রা আহত অজ্ঞাতনামা চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় সড়কে প্রায় ৩০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে।  খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ও মাধবদী থানা পুলিশ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘নাইম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
নরসিংদীতে আ.লীগ নেতাকে হত্যা / ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের নামে মামলা
নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান (৪০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত ও ইউপি সদস্য আতাউর ভূঁইয়াসহ ২২ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ৪২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নিহতের ছোট ভাই হাফিজ ইসলাম বাদী হয়ে মাধবদী থানায় মামলাটি করেন। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তবে গ্রেপ্তারের স্বার্থে অন্য আসামিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজী হননি তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলের সামনে মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সঙ্গে থাকা সাঈদ হাসান (৩৮) ও ফরহাদ মিয়া (৩৭) নামের দুই কর্মী। নিহত মাহাবুবুল হাসান সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর এলাকার মো. ইমাম উদ্দীনের ছেলে।তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত গত মঙ্গলবারও বেশ রাত পর্যন্ত কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছিলেন মাহাবুবুল হাসান। পরে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কর্মীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। রাত পৌনে ১২টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিতের ব্যক্তিগত কার্যালয়সংলগ্ন ওবায়দুল্লাহ টেক্সটাইল মিলের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে। টেক্সটাইল মিলটির বিপরীত পাশের গলির মুখে দাঁড়ানো একটি বালুভর্তি ট্রাকের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন আসামিরা। ট্রাকটি অতিক্রম করার সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ও গুলি ছুড়ে। হামলাকারীদের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহাবুবুল হাসানের কান থেকে ঘাড় বরাবর কোপ দেয়। মাহাবুবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সাঈদ ও ফরহাদ নামের তাঁর দুই কর্মী। পরে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ধারালো অস্ত্রের কোপে মাহাবুবুলের বামপাশে কানের ওপর থেকে ঘাড় পর্যন্ত প্রায় ৮ ইঞ্চির মত গভীর ক্ষত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তিনি মারা যান। পরদিন ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসক তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি গুলির অস্তিত্ব পান। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, নিহতের ছোটভাই হাফিজ ইসলাম ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আগে আটক করা ৬ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।