• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ২ নেতা আটক 
মেহেরপুরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান, ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দায়িরয়াপুর গ্রাম থেকে তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল।  মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে তাদের আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন, দারিয়াপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), কাউছার আলীর ছেলে এনামুল হক (২৮) এবং মিন্টু শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬)।  জানা যায়, অস্ত্র ব্যবসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি বিশেষ আভিযানিক দল কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার আটক করে। মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার তুফানের ছেলে আলিফের কাছে তারা অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে নিয়ে বুধবার ভোরে স্টেডিয়াম পাড়ায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে আালিফের সন্ধান না মিললেও অস্ত্রের সন্ধান মেলে। বাবলু নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে মাটির নিচে তারা অস্ত্রটি পুতে রেখেছিল। সেখানে মাটি খুঁড়ে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করতে সক্ষম হন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।  উদ্ধার হওয়া অত্যাধুনিক নাইন এমএম পিস্তলটি ইতালির তৈরি বলে জানা গেছে।  আটক তিনজনের নামে অস্ত্র মামলা দিয়ে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরটিভি/এমকে/এআর
মেহেরপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
মেহেরপুরে স্বস্তির বৃষ্টি, মাঝারি ঝড় 
আমদানির পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে কাঁচামরিচ 
মেহেরপুরের ২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ বুধবার, প্রচার-প্রচারণা শেষ 
উপজেলা নির্বাচন : মন্ত্রীর ভাইয়ের হুমকিতে তোলপাড়  
মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই ও মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনের হুমকিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলেরই আরেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। ভোটকেন্দ্রে ওই প্রার্থীর কোনো এজেন্ট থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নিলেও তার ভাইয়ের এ বক্তব্য মন্ত্রীকে বিব্রত করেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।  নেটিজেনদের মাধ্যমে পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছেন ইকবাল হোসেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী।  তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইকবাল হোসেন বলেন, ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল প্রতীক) ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোনো এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড স্কুলপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এক সভার আয়োজন করে। এতে ইকবাল হোসেন তার ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  নির্বাচনী সভায় ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘আনারুল ভাইসহ আরও চারজন প্রার্থী আছেন। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাঁড়াতো তাহলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুল ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে, যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে পারবে, যে নিজের জমি বেচে আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরনের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুল ভাই ছাড়া এই ধরনের কোনো লোক নেই। আর কোনো প্রার্থী নেই। তাই আজকে সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মতো ওই রকম ভোট চাই আনারুল ভাইয়ের জন্য। একচেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোনো এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কায় সিল মারতে হবে। অন্য কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।’ এ দিকে ইকবাল হোসেনের এ বক্তব্য নেটিজেনদের কাছে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। তিনি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের বড় ভাই। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের গ্রুপ রাজনীতির হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষের প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন ও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি হাসেম আলী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।  নেতাকর্মীরা জানান, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর পক্ষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন ও আনারুল ইসলামের মধ্য থেকে একজনকে সমর্থন দেওয়ার দাবি ছিল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী, এমপি ও তাদের স্বজনরা অবস্থান না নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কঠোরতা থাকায় জনপ্রশাসনমন্ত্রী নীরবতা পালন করেছেন। এরমধ্যে তার আপন ভাইয়ের এমন বক্তব্য মন্ত্রীকে বিব্রত করেছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। ইকবাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি বক্তব্য দেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে। জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় খুব জনপ্রিয় নেতা। আমি এ কারণে অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই। তবে লিখিত অভিযোগ কিংবা ভিডিও ক্লিপ হাতে না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি এ নির্বাচনের রির্টার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন অফিসার ওয়ালিউল্লাহ। 
মেহেরপুরে মিলছে না স্বস্তি, বাড়ছে তাপপ্রবাহ 
মেহেরপুর জেলাসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকৃতিতে স্বস্তির দেখা নেই। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মেহেরপুরের প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।  প্রতিদিন সকালের সূর্যের চোখ রাঙানি সারাদিনের তীব্র উত্তাপের আভাস দেয়। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র রোদের সঙ্গে গরম হাওয়া বয়ে যায় দিনজুড়ে। ফলে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় পার করেন ঘর থেকে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষ। প্রাণ শীতল করতে তাই শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে অনেকে পান করছেন ঠান্ডা শরবত।  এদিকে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনের পাশাপাশি খেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে চাষিদের মনে। বোরো ধান, আম লিচু ও পাট আবাদ পড়েছে হুমকির মুখে।
তীব্র তাপপ্রবাহে মেহেরপুরে স্কুল ছুটি দেওয়ায় স্বস্তি
মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র থেকে খুব তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে সোমবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আজ মেহেরপুর জেলাসহ ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ রয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  মেহেরপুর জেলার প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের দেশের সর্বোচ্চ।  অব্যাহত তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। ভ্যাপসা গরম আর ঘামে নাকাল অবস্থায় সময় পার করছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।  এ দিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালের সূর্য উঠার পর পরই শুরু হয় গরমের তীব্রতা। সকাল নয়টার পর রাস্তাঘাটে চলাফেরায় অস্বস্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তীব্র তাপদাহের ফলে ৫ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। তবে মেহেরপুর জেলা বন্ধের আওতায় না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে। বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হলেও ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। শেষ পযন্ত সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগের সব জেলাসহ দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে আসে মেহেরপুরে।  কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। যা পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকার সঙ্গে রাজশাহী থেকে শুরু করে যশোর হয়ে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বহমান। তাই রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরসহ ৫টি জেলায় তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। যার মধ্য থেকে বাদ পড়ে চুয়াডাঙ্গা-যশোরের প্রতিবেশী জেলা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর। এ তিন জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ডের জন্য আবহাওয়া অফিস নেই। ফলে অসহনীয় গরম আর তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত জেলাগুলোর তাপমাত্রা নিয়েই বেশি মাতামাতি হয়। 
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
মেহেরপুরে গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা, যত্রতত্র দোকান
দেশের যে কয়টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এতে গেল কয়েক দিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠান্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে ভিড় বাড়ছে পথচারীদের। গরমের মধ্যে ঠান্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান। গরমে ঠান্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা শরবত পান করলে সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়বে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।  তবে ঠান্ডা পানি নয়, টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন অনেকে। তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকি জেনেও নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ভারী কাজ করছেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 
ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে। স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।’ এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনম্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।