গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করেন নিহত নুরুন্নবীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ফুলছড়ির দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোলজার মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গতকাল সোমবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে নুরুন্নবী মিয়া আসলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালান। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে আজ সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে মরদেহ কেড়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে।
পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাফিকুজ্জামান বসুনিয়া।
তিনি বলেন, নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে থানায় এলে পুলিশের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মরদেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।