ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্যের মৃত্যু
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় রুহুল আমিন (৪৫) নামে এক সাবেক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সেনা সদস্য রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৭) ও রতন মিয়া (৪০) জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেনা সদস্য রুহুল আমিনের বাবা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মধুর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত সোমবার দুপুরে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মধু মেম্বারের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আনছার আলীর তিন ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দেশিয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন সেনা সদস্য রুহুল আমিন (৪৫), পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন ও রতন মিয়া।
স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেনা সদস্য রুহুল আমিনকে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তার মৃত্যুতে পরিবার, স্বজন, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম মধু মেম্বারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার মূল আসামি আব্দুর রহিম মধু মেম্বারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরটিভি/এএএ/এস
মন্তব্য করুন