জেলের দুর্বিষহ অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী
বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। কাজ নিয়ে খুব একটা আলোচনায় নেই তিনি। তবে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বার বার অভিযোগের আঙুল উঠেছে তার দিকেই। কারণ, সে সময় অভিনেতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এই অভিনেত্রী।
সুশান্তের মৃত্যুর পর যেন হাজারও বিতর্কের জালে বাঁধা পড়েন রিয়া। এমনকি জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। এবার জেলের দুর্বিষহ অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী।
-
আরও পড়ুন : সন্তানকে নিয়ে মাহির আবেগঘন স্ট্যাটাস
সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়ার নামে থানায় অভিযোগ করেন অভিনেতার বাবা। এ কারণে প্রায় দুইমাস মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ছিলেন রিয়া। সুশান্তের রহস্যমৃত্যুতে শুধু রিয়া নন, জেল খাটতে হয়েছে অভিনেত্রীর ভাই শোইক চক্রবর্তীকেও।
জেলে কাটানো জীবন কেমন ছিল রিয়ার? ভারতীয় গণমাধ্যমে এবার সেই বর্ণনাই দিলেন অভিনেত্রী।
সুশান্ত যখন মারা যান সে সময় দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল। আর করোনাকালে জেলবন্দি হওয়ায় প্রায় ১৪ দিন একা একটা কক্ষে থাকতে দেওয়া হয় রিয়াকে। পাশাপাশি তাকে খাবার হিসেবে দেওয়া হতো রুটি আর ক্যাপসিকাম।
আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রিয়া বলেন, করোনাকালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের জন্যই ১৪ দিন জেলের একটা ঘরে সম্পূর্ণ একা রাখা হয়। আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো দুপুরে খাব কি না। সত্যি বলতে এতো ক্ষুধা পেতো এবং ক্লান্ত থাকতাম যে, যেটাই খেতে দেওয়া হতো আমাকে সেটাই খেয়ে নিতাম।
অভিনেত্রী আরও বলেন, সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেওয়া হতো। সেটা কিন্তু তরকারির মতো ছিল তেমনটা ভাবারও কোনো কারণ নেই। সেটাতে শুধুই ক্যাপসিকাম এবং জল থাকত। তাছাড়া জেলে যে মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি সেখানে শারীরিক অসুবিধা কিছুই না আমার কাছে।
-
আরও পড়ুন : পরকীয়া নিয়ে অনন্ত জলিলের হুঁশিয়ারি
জেলবন্দি সময়ে বেশ কিছু বাস্তবতার সম্মুখীন হন রিয়া। বলা যায়, নিজের মধ্যে কিছু নৈতিকতা তৈরি হয় এই অভিনেত্রীর। আবার নিজেকে অনেক সময় ভাগ্যবান বলেও মনে হয়েছে রিয়ার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জেলবন্দি থাকাকালীন দেখেছি অনেক বন্দির পরিবারের সামর্থ্য নেই। তাই পাঁচ-দশ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমার তো তাও পরিবার এবং বন্ধুরা আছে। তাই নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হতো আমার।
সূত্র : আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন