ঢাকামঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্তে যা পেয়েছে পুলিশ

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১০:৪৬ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের মাঝামাঝি লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। এরপর সেই মামলা থেকে প্রিন্স মামুন জামিন পায় সোমবার (১ জুলাই)। ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য গেছে।

তদন্তে যা পেয়েছে পুলিশ

বিজ্ঞাপন

আসামি প্রিন্স মামুন একজন টিকটকার। বিভিন্ন ফেসবুক আইডিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি টিকটকার হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে বাদিনী লায়লা ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। এক পর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।

২০২২ সালের প্রথম দিকে একসঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গাঢ় করতে উভয়ে একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন মামুন। তাকে বিয়ে করবেন, এমন বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন এবং একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। যা তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্য হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। মামুন তাকে বিয়ে করবেন বলে জানালে লায়লা তাকে নিজ বাসায় থাকার অনুমতি দেন।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। তাকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাকে গালাগাল করেন।

আরটিভি /এএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |